ঢাকা ০২:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




ডিএনসিসি মার্কেট এখন ধ্বংসস্তূপ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৪২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০১৯ ১২৭ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর গুলশানের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মার্কেট এখন ধ্বংসস্তূপ। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বহু ব্যবসায়ীর স্বপ্ন। অনেকের পুড়েছে কষ্টার্জিত শেষ সম্বল। মার্কেটজুড়ে এখন শুধু আহাজারি আর কান্নার রোল। শনিবার (৩০ মার্চ) ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটে আগুন লাগে গুলশান ১ নম্বরের এ মার্কেটে। খবর পেয়েই ছুটে আসেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সিটি করপোরেশনের এ মার্কেটে প্রায় ১৮৮টি দোকান ছিলো। সবগুলোই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখানে বেশিরভাগই দুধ, মশলা, খাদ্য ও শিশু পণ্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

সরেজমিনে দেখা যায়, গুলশান ১ নম্বর পয়েন্টের এ মার্কেট এখন ধ্বংসস্তূপ। সবদিকে শুধু পুড়ে যাওয়া পণ্যের ছাই। কোনো কিছুই অবশিষ্ট নেই দোকানের। আবার কোনো দোকানের সামনে পড়ে আছে আলু, পেঁয়াজ। পুড়েছে ফ্রিজে থাকা মাছ, মুরগিও। কেউ সর্বস্ব হারিয়ে নির্বাক হয়ে দোকানের সামনে বসে আছেন। আর শুধু বিলাপ করছেন।

গুলশানের এ মার্কেটের ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতে দোকান লাগিয়ে বাসায় যাই। কিন্তু কে জানতো, ভোরেই উপার্জনের এ সম্বল হারিয়ে যাবে।

মো. রিপন নামের এক ব্যবসায়ী বলছিলেন, এ দোকানেই ছিল তার সব সম্বল। পাইকারি মশলা বাজারজাত করতেন তিনি। সারা দেশের ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি পণ্য বিক্রি করতেন। অনেক ব্যবসায়ীর কাছে বড় অংকের টাকা পাওনা রয়েছে। কিন্তু সব হিসাবের খাতা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দোকানে অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন এ ব্যবসায়ী।

আরিফ হাসান নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ভাই আমরা কেমনে বাঁচবো, উপার্জনের একমাত্র সম্বল দোকানটি হারালাম। অনেক কষ্টের জমানো টাকা দিয়েই এ স্বপ্ন সাজাই। কিন্তু আগুনে আমার স্বপ্ন ছাই করে দিলো।

শনিবার ভোরে লাগা এ আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ করে। পাশাপাশি কাজ করে সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।

ঘটনাস্থলে উপস্থিথ হয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, ২০১৭ সালে ডিএনসিসি মার্কেটে আগুন লাগার পর কর্তৃপক্ষকে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখার জন্য তিন/চারবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু নোটিশের জবাবে মার্কেট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এর আগে ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি গুলশান-১ এর ডিএনসিসি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিলো। প্রায় দুই বছরের ব্যবধানে ফের ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচাবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ডিএনসিসি মার্কেট এখন ধ্বংসস্তূপ

আপডেট সময় : ০৫:৪২:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মার্চ ২০১৯

রাজধানীর গুলশানের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মার্কেট এখন ধ্বংসস্তূপ। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বহু ব্যবসায়ীর স্বপ্ন। অনেকের পুড়েছে কষ্টার্জিত শেষ সম্বল। মার্কেটজুড়ে এখন শুধু আহাজারি আর কান্নার রোল। শনিবার (৩০ মার্চ) ভোর ৫টা ৪৮ মিনিটে আগুন লাগে গুলশান ১ নম্বরের এ মার্কেটে। খবর পেয়েই ছুটে আসেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সিটি করপোরেশনের এ মার্কেটে প্রায় ১৮৮টি দোকান ছিলো। সবগুলোই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখানে বেশিরভাগই দুধ, মশলা, খাদ্য ও শিশু পণ্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

সরেজমিনে দেখা যায়, গুলশান ১ নম্বর পয়েন্টের এ মার্কেট এখন ধ্বংসস্তূপ। সবদিকে শুধু পুড়ে যাওয়া পণ্যের ছাই। কোনো কিছুই অবশিষ্ট নেই দোকানের। আবার কোনো দোকানের সামনে পড়ে আছে আলু, পেঁয়াজ। পুড়েছে ফ্রিজে থাকা মাছ, মুরগিও। কেউ সর্বস্ব হারিয়ে নির্বাক হয়ে দোকানের সামনে বসে আছেন। আর শুধু বিলাপ করছেন।

গুলশানের এ মার্কেটের ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতে দোকান লাগিয়ে বাসায় যাই। কিন্তু কে জানতো, ভোরেই উপার্জনের এ সম্বল হারিয়ে যাবে।

মো. রিপন নামের এক ব্যবসায়ী বলছিলেন, এ দোকানেই ছিল তার সব সম্বল। পাইকারি মশলা বাজারজাত করতেন তিনি। সারা দেশের ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি পণ্য বিক্রি করতেন। অনেক ব্যবসায়ীর কাছে বড় অংকের টাকা পাওনা রয়েছে। কিন্তু সব হিসাবের খাতা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দোকানে অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন এ ব্যবসায়ী।

আরিফ হাসান নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ভাই আমরা কেমনে বাঁচবো, উপার্জনের একমাত্র সম্বল দোকানটি হারালাম। অনেক কষ্টের জমানো টাকা দিয়েই এ স্বপ্ন সাজাই। কিন্তু আগুনে আমার স্বপ্ন ছাই করে দিলো।

শনিবার ভোরে লাগা এ আগুনে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট কাজ করে। পাশাপাশি কাজ করে সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।

ঘটনাস্থলে উপস্থিথ হয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, ২০১৭ সালে ডিএনসিসি মার্কেটে আগুন লাগার পর কর্তৃপক্ষকে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখার জন্য তিন/চারবার নোটিশ দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু নোটিশের জবাবে মার্কেট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এর আগে ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি গুলশান-১ এর ডিএনসিসি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিলো। প্রায় দুই বছরের ব্যবধানে ফের ডিএনসিসি মার্কেটের কাঁচাবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলো।