ঢাকা ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বটিয়াঘাটা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতি ও অনিয়মে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ Logo বামনায় রাতের অন্ধকারে লোহার পুল চুরি! কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা Logo কথিত পীরের ধর্ম ব্যবসার পাশাপাশি পোল্ট্রি ফার্ম : ধ্বংসের মুখে পরিবেশ Logo নকল সিগমা লিফটে গ্রাহকরা প্রতারিত, বাড়ছে দুর্ঘটনা! Logo বিএডিসি’র আড়ালে দুর্নীতির কারখানা: গুদামরক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ Logo অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) উদাসীন Logo রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও মার্কেট নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের অবহেলা Logo হানিফ ফ্লাইওভার টোলের ১২০০ কোটি টাকা ওরিয়ন গ্রুপের পেটে! Logo ‘ফুল ভলিয়মে ভাইরাল গানে মগ্ন অন্তর্বর্তী জোট’ Logo স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্বৈরাচারের দোসর সৈয়দ হাবিবুরের দুর্নীতির ফিরিস্তি- পর্ব ১

ইসির ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১২:০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩ ২১৮ বার পড়া হয়েছে
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণ দেখিয়ে ২ লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে সরকার।সোমবার (২৩ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমকে জানান।

তিনি বলেন, ‘ইভিএম প্রকল্পটি বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা শেষে এবং বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সরকারের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় আপাতত প্রক্রিয়াকরণ না করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

পরিকল্পনা কমিশন ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানিয়েছে। রবিবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন কমিশন সচিব।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন গত বছরের অক্টোবরে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২ লাখ ইভিএম ক্রয় ও ব্যবস্থাপনার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায়।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইভিএমের বিষয়টি সামনে আসে, বিশেষ করে গত বছরের ৭ মে আওয়ামী লীগ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বলেন, নির্বাচনে ৩০০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।

নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করে পরবর্তী নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রস্তাবনা দেয়।

বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের কাছে বর্তমানে দেড় লাখের মতো ইভিএম রয়েছে এবং তা দিয়ে তারা ৭০ বা ৮০টি আসনে নির্বাচন করতে পারবে।

২০১০ সাল থেকে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার শুরু হয়। এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন নির্বাচন কমিশন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার শুরু করলেও কোনো সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার করেনি।

২০১২ সালে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনও জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করেনি।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনে নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ইভিএম পদ্ধতিটি সংশোধন করে এবং ৬টি আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ইসির ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত বাতিল

আপডেট সময় : ১২:০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৩
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণ দেখিয়ে ২ লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে সরকার।সোমবার (২৩ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা গণমাধ্যমকে জানান।

তিনি বলেন, ‘ইভিএম প্রকল্পটি বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যালোচনা শেষে এবং বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সরকারের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় আপাতত প্রক্রিয়াকরণ না করার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

পরিকল্পনা কমিশন ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানিয়েছে। রবিবার (২২ জানুয়ারি) বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে উল্লেখ করেন কমিশন সচিব।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন গত বছরের অক্টোবরে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২ লাখ ইভিএম ক্রয় ও ব্যবস্থাপনার জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায়।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইভিএমের বিষয়টি সামনে আসে, বিশেষ করে গত বছরের ৭ মে আওয়ামী লীগ সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বলেন, নির্বাচনে ৩০০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে।

নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার করে পরবর্তী নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রস্তাবনা দেয়।

বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের কাছে বর্তমানে দেড় লাখের মতো ইভিএম রয়েছে এবং তা দিয়ে তারা ৭০ বা ৮০টি আসনে নির্বাচন করতে পারবে।

২০১০ সাল থেকে বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার শুরু হয়। এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন নির্বাচন কমিশন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার শুরু করলেও কোনো সংসদ নির্বাচনে ব্যবহার করেনি।

২০১২ সালে কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনও জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করেনি।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনে নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন ইভিএম পদ্ধতিটি সংশোধন করে এবং ৬টি আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করে।