ঢাকা ০৮:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




ঢাকা মহানগর আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ, থানায় মামলা 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১ ১১৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সোমবার ( ২৫ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালাম থানায় নারী নির্যাতন ও যৌতুক নিরোধ আইনের ধারায়- দারুস সালাম থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম মাজহার আনাম সহ সাতজনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা রজু হয়। মামলার বাদী এবিএম মাজহার আনামের (৫০) স্ত্রী ফিরোজা পারভীন(৪৩)।
মামলা ও মামলার বাদী সূত্রে জানা যায়, মাজহার বাদীর এর সাথে দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ ঘর সংসার করে আসছে তাদের ১১ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছেলে সন্তান রয়েছে, সন্তান হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় আসামী মাজহার যৌতুকের জন্য বাদীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে বাদী দফায় দফায় বিশ লক্ষ টাকা এবং বিভিন্ন আসবাবপত্র ও নিত্যপণ্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী আসামী মাজহারকে প্রদান করেন। যেহেতু আসামী একজন লোভী লম্পট প্রকৃতির পরনারী আসক্ত ব্যাক্তি সেকারনে যৌতুক দেওয়ার পরেও তার লোভ দিন দিন বেড়েই চলেছে। একই সাথে একাধিক নারীর সাথে তার অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবি থাকার কারনে ধারনা করা যায় যৌতুকের টাকা ঐ সকল নারীর পিছনে ব্যায় করছে।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, গতবছর এপ্রিল মাসের ৪ তারিখ বিকাল তিনটায় আসামী মাজহার অন্যান্য আসামীদের কুপ্রোরচনায় বাদীর পরিবারের নিকট হতে আরও দশলক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। যার ফলস্রুতিতে গতবছর ১২ ডিসেম্বর বিকেল তিনটায় আসামী মাজহার ও অন্যান্য আসামীরা পূর্বের দাবিকৃত দশলক্ষ টাকা চাইলে বাদী দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামীগণ তাকে শারীরিক নির্যাতন করে গুরতর আহত অবস্থায় বাদীর আত্মীয় স্বজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হসপিটালে তার চিকিৎসা করায়। কিছুটা সুস্থ হয়ে বাদী একমাত্র শারীরিক এবং বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আপোষ মিমাংসার উদ্দেশ্যে সোমবার (২৫ জানুয়ারী ২০২১) সন্ধ্যা সাতটায় আসামী এবং বাদী যে ফ্লাটে বসবাস করত সেখানে গিয়ে দেখতে পায় বাদীর আলমারির তালা ভাঙ্গা এবং বাদীর বিয়ের সময় উপহার হিসেবে পাওয়া পনের ভরী স্বর্নালঙ্কার, গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র বিবাদীগণ সরিয়ে ফেলেছে। এই সময় আসামী মাজহার যৌতুকের দশলক্ষ টাকা ছাড়া বাদী কেন বাসায় ঢুকেছে এই বলে চুলের মুঠি ধরে কিল ঘুষি লাথি মারে এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করলে বাদী হাত দিয়ে ঠেকায়। যাতে তার হাত গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়। এসময় মামলার অপর আসামী মিলি বাদীকে এলোপাথারি কিল ঘুষি লাথি মারে এবং বাদীর প্রতিবন্ধী সন্তানকে মারধর করে। তখন বাদীকে অন্যান্য আসামীরা মারধর করা অবস্থায় আসামী কামরুল ইসলাম বাদীর নাকে ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করে। একপর্যায়ে আসামী মাজহার বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে অন্যান্য আসামীর সহযোগিতায় বালিশ চাপা দেয়। তখন বাদীর ডাক চিৎকারে আপোষ মীমাংসার জন্য পাশের রুমে অবস্থানরত বাদীর আত্মীয় স্বজন এগিয়ে এসে বাদীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা করায়।
এখানে উল্লেখ থাকে যে আসামী মাজহার আনাম ইতিপূর্বে অস্ত্রসহ বিমানবন্দর অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেফতার হয়। এছাড়াও দারুস সালাম থানায় ইতিপূর্বে দখলের অভিযোগে মামলা হয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ঢাকা মহানগর আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগ, থানায় মামলা 

আপডেট সময় : ০৬:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সোমবার ( ২৫ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর মিরপুরের দারুস সালাম থানায় নারী নির্যাতন ও যৌতুক নিরোধ আইনের ধারায়- দারুস সালাম থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবিএম মাজহার আনাম সহ সাতজনের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা রজু হয়। মামলার বাদী এবিএম মাজহার আনামের (৫০) স্ত্রী ফিরোজা পারভীন(৪৩)।
মামলা ও মামলার বাদী সূত্রে জানা যায়, মাজহার বাদীর এর সাথে দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ ঘর সংসার করে আসছে তাদের ১১ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী ছেলে সন্তান রয়েছে, সন্তান হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় আসামী মাজহার যৌতুকের জন্য বাদীর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাত। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে বাদী দফায় দফায় বিশ লক্ষ টাকা এবং বিভিন্ন আসবাবপত্র ও নিত্যপণ্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী আসামী মাজহারকে প্রদান করেন। যেহেতু আসামী একজন লোভী লম্পট প্রকৃতির পরনারী আসক্ত ব্যাক্তি সেকারনে যৌতুক দেওয়ার পরেও তার লোভ দিন দিন বেড়েই চলেছে। একই সাথে একাধিক নারীর সাথে তার অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবি থাকার কারনে ধারনা করা যায় যৌতুকের টাকা ঐ সকল নারীর পিছনে ব্যায় করছে।
মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, গতবছর এপ্রিল মাসের ৪ তারিখ বিকাল তিনটায় আসামী মাজহার অন্যান্য আসামীদের কুপ্রোরচনায় বাদীর পরিবারের নিকট হতে আরও দশলক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। যার ফলস্রুতিতে গতবছর ১২ ডিসেম্বর বিকেল তিনটায় আসামী মাজহার ও অন্যান্য আসামীরা পূর্বের দাবিকৃত দশলক্ষ টাকা চাইলে বাদী দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামীগণ তাকে শারীরিক নির্যাতন করে গুরতর আহত অবস্থায় বাদীর আত্মীয় স্বজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হসপিটালে তার চিকিৎসা করায়। কিছুটা সুস্থ হয়ে বাদী একমাত্র শারীরিক এবং বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আপোষ মিমাংসার উদ্দেশ্যে সোমবার (২৫ জানুয়ারী ২০২১) সন্ধ্যা সাতটায় আসামী এবং বাদী যে ফ্লাটে বসবাস করত সেখানে গিয়ে দেখতে পায় বাদীর আলমারির তালা ভাঙ্গা এবং বাদীর বিয়ের সময় উপহার হিসেবে পাওয়া পনের ভরী স্বর্নালঙ্কার, গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র বিবাদীগণ সরিয়ে ফেলেছে। এই সময় আসামী মাজহার যৌতুকের দশলক্ষ টাকা ছাড়া বাদী কেন বাসায় ঢুকেছে এই বলে চুলের মুঠি ধরে কিল ঘুষি লাথি মারে এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করার চেষ্টা করলে বাদী হাত দিয়ে ঠেকায়। যাতে তার হাত গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়। এসময় মামলার অপর আসামী মিলি বাদীকে এলোপাথারি কিল ঘুষি লাথি মারে এবং বাদীর প্রতিবন্ধী সন্তানকে মারধর করে। তখন বাদীকে অন্যান্য আসামীরা মারধর করা অবস্থায় আসামী কামরুল ইসলাম বাদীর নাকে ঘুষি মেরে রক্তাক্ত করে। একপর্যায়ে আসামী মাজহার বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে অন্যান্য আসামীর সহযোগিতায় বালিশ চাপা দেয়। তখন বাদীর ডাক চিৎকারে আপোষ মীমাংসার জন্য পাশের রুমে অবস্থানরত বাদীর আত্মীয় স্বজন এগিয়ে এসে বাদীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা করায়।
এখানে উল্লেখ থাকে যে আসামী মাজহার আনাম ইতিপূর্বে অস্ত্রসহ বিমানবন্দর অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে গ্রেফতার হয়। এছাড়াও দারুস সালাম থানায় ইতিপূর্বে দখলের অভিযোগে মামলা হয়েছিল।