ঢাকা ১২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




২০ লাখ মানুষের রুটি রুজি অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১ ১৬৭ বার পড়া হয়েছে

ইসমাইল হোসেন টিটু: লোকাল গার্মেন্টস শিল্পে জড়িত ৩ লাখ ২৫ হাজার শ্রমিক ও তাদের ২০ লাখ পরিবার-পরিজন‌কে বাচা‌তে প্রধানমন্ত্রী ও বিদুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছে কেরাণীগঞ্জ ওয়াশিং ফ্যাক্টরী মালিক সমবায় সমিতি।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অনু‌রোধ জানানো হয়।

সংবাদ স‌ম্মেল‌নে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, বন্ধ ফ্যাক্টরিগুলো চালু করে বাজারের বকেয়া পাওনা উত্তোলনের সুযোগ, শিল্প জোনের ৫০০ কাঠা জমিতে অবিলম্বে গ্যাস, বিদ্যুৎ, সূয়্যারেজ লাইন, রাস্তা-ঘাট ও ই.টি.পিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা এক’শ ভাগ নিশ্চিত করা, লোকাল গার্মেন্টস শিল্পে জড়িত ৩ লাখ ২৫ হাজার শ্রমিক ও তাদের ২০ লাখ পরিবার-পরিজন যেন পথে না বসে তাই ফ্যাক্টরী স্থানান্তর হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সেগুলো বন্ধ করা যাবে না, শিল্প জোনে দ্রুত কারখানা তৈরি করে শ্রমিকদের রুটি রুজির ব্যবস্থা করতে সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ প্রদান করতে হবে এবং হটকারী কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাদের বিপদগ্রস্ত না করতে আহ্বান জানানো হয়।

সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে কেরাণীগঞ্জে ছোট ও মাঝারী ৮১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। এতে ২৫ হাজার শ্রমিক নিয়োজিত ও ১০ হাজার স্থানীয় গার্মেন্টস, লন্ড্রি, কম্পিউটার এ্যাম্ব্রয়ডারিসহ অন্যান্য শিল্প কারখানা থাকায় ৩ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ইতোমধ্যে ৮১টি ওয়াশিং ফ্যাক্টরির ২৫ হাজার শ্রমিক বেকার হয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আরো ৩ লাখ শ্রমিক অচিরেই বেকার হয়ে পড়বে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে জানা যায় আবাসিক এলাকায় শিল্প-কারখানা পরিচালনা করা যাবে না। তখন নিজস্ব উদ্যোগে ‘‘কেরাণীগঞ্জ শিল্প পার্ক’’ প্রজেক্টে (বিসিক শিল্প এলাকার পাশে) প্রায় ৫০০ কাঠা জমি কিনে ফ্যাক্টরিগুলো স্থানান্তরের প্রচেষ্টা চলছে। তবে তা সরকারের সহযোগিতা ছাড়া তাদের একার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। তাই জরুরীভিত্তিতে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও ই.টি.পিসহ প্রয়োজনীয় সকল অবকাঠামোগত ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। ২০ লাখ লোককে মানবেতর জীবন-যাপনের হাত থেকে রক্ষার জন্য ফ্যাক্টরিগুলো চালু রাখা অত্যান্ত জরুরী। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী ও বিদ্যুৎ, জ¦ালানী ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপের দাবি জানান তারা।

সংবাদ স‌ম্মেল‌নে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কাজী আবু সোহেল কাজল, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রেজাসহ অন্যান্য সদস্যরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




২০ লাখ মানুষের রুটি রুজি অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন 

আপডেট সময় : ০৩:৩৫:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২১

ইসমাইল হোসেন টিটু: লোকাল গার্মেন্টস শিল্পে জড়িত ৩ লাখ ২৫ হাজার শ্রমিক ও তাদের ২০ লাখ পরিবার-পরিজন‌কে বাচা‌তে প্রধানমন্ত্রী ও বিদুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছে কেরাণীগঞ্জ ওয়াশিং ফ্যাক্টরী মালিক সমবায় সমিতি।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অনু‌রোধ জানানো হয়।

সংবাদ স‌ম্মেল‌নে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, বন্ধ ফ্যাক্টরিগুলো চালু করে বাজারের বকেয়া পাওনা উত্তোলনের সুযোগ, শিল্প জোনের ৫০০ কাঠা জমিতে অবিলম্বে গ্যাস, বিদ্যুৎ, সূয়্যারেজ লাইন, রাস্তা-ঘাট ও ই.টি.পিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা এক’শ ভাগ নিশ্চিত করা, লোকাল গার্মেন্টস শিল্পে জড়িত ৩ লাখ ২৫ হাজার শ্রমিক ও তাদের ২০ লাখ পরিবার-পরিজন যেন পথে না বসে তাই ফ্যাক্টরী স্থানান্তর হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সেগুলো বন্ধ করা যাবে না, শিল্প জোনে দ্রুত কারখানা তৈরি করে শ্রমিকদের রুটি রুজির ব্যবস্থা করতে সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ প্রদান করতে হবে এবং হটকারী কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাদের বিপদগ্রস্ত না করতে আহ্বান জানানো হয়।

সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে কেরাণীগঞ্জে ছোট ও মাঝারী ৮১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। এতে ২৫ হাজার শ্রমিক নিয়োজিত ও ১০ হাজার স্থানীয় গার্মেন্টস, লন্ড্রি, কম্পিউটার এ্যাম্ব্রয়ডারিসহ অন্যান্য শিল্প কারখানা থাকায় ৩ লাখ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। ইতোমধ্যে ৮১টি ওয়াশিং ফ্যাক্টরির ২৫ হাজার শ্রমিক বেকার হয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আরো ৩ লাখ শ্রমিক অচিরেই বেকার হয়ে পড়বে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের মাধ্যমে জানা যায় আবাসিক এলাকায় শিল্প-কারখানা পরিচালনা করা যাবে না। তখন নিজস্ব উদ্যোগে ‘‘কেরাণীগঞ্জ শিল্প পার্ক’’ প্রজেক্টে (বিসিক শিল্প এলাকার পাশে) প্রায় ৫০০ কাঠা জমি কিনে ফ্যাক্টরিগুলো স্থানান্তরের প্রচেষ্টা চলছে। তবে তা সরকারের সহযোগিতা ছাড়া তাদের একার পক্ষে এটা করা সম্ভব নয়। তাই জরুরীভিত্তিতে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও ই.টি.পিসহ প্রয়োজনীয় সকল অবকাঠামোগত ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। ২০ লাখ লোককে মানবেতর জীবন-যাপনের হাত থেকে রক্ষার জন্য ফ্যাক্টরিগুলো চালু রাখা অত্যান্ত জরুরী। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী ও বিদ্যুৎ, জ¦ালানী ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপের দাবি জানান তারা।

সংবাদ স‌ম্মেল‌নে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কাজী আবু সোহেল কাজল, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রেজাসহ অন্যান্য সদস্যরা।