ঢাকা ১১:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




সীমান্তে হত্যা: অবৈধ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডই কারণ দাবি ভারতীয় হাইকমিশনের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪৬:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২০ ৯৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;

অবৈধ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণেই সীমান্ত হত্যার ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, সীমান্তে অবৈধ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে বেশিরভাগ হত্যার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার ৯৫ শতাংশ ঘটে ভারতের সীমান্ত এলাকায়। ৮৭ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে রাত ১০টার পরে। এসময় অবৈধ অনুপ্রবেশও ঘটে।

এসব ঘটনা বন্ধে সীমান্তে বৈধ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উদ্যোগ নেওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন ভারতীয় হাই কমিশনার।

ভারত বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, দ্রুত ও টেকসই প্রত্যাবাসন চায় জানিয়ে বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারত ও বাংলাদেশের অবস্থানের কোনো পার্থক্য নেই।

তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। এটা প্রশংসার দাবি রাখে। রোহিঙ্গাদের এখানে রাখার জন্য যে সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে তা চমৎকার। এটা একদম পরিষ্কার, আমরা মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, দ্রুত ও টেকসই প্রত্যাবাসন চাই। সবক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা থাকবে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়া বাংলাদেশের সমাজ ও অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

নিপীড়নের মুখে পালিয়ে এসে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে শরণার্থী জীবন কাটাচ্ছে। তাদের ফেরত নিতে মিয়ানমার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করলেও এখনও প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি।

বিক্রম দোরাইস্বামী প্রেস ক্লাবে তার বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের ‘বাণিজ্যিক রাজধানী’ চট্টগ্রামের ভুয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম চার’শ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব বাণিজ্যের গেটওয়ে। এর সোনালী অতীত রয়েছে। ভবিষ্যতের হিসেবে অর্থনৈতিক দিক থেকে চট্টগ্রামের গুরুত্ব আরও বেশি।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী ও ক্লাবের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সালাহ উদ্দিন মো. রেজা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সীমান্তে হত্যা: অবৈধ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডই কারণ দাবি ভারতীয় হাইকমিশনের

আপডেট সময় : ১০:৪৬:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক;

অবৈধ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণেই সীমান্ত হত্যার ঘটনা ঘটছে বলে দাবি করেছেন ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, সীমান্তে অবৈধ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে বেশিরভাগ হত্যার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার ৯৫ শতাংশ ঘটে ভারতের সীমান্ত এলাকায়। ৮৭ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে রাত ১০টার পরে। এসময় অবৈধ অনুপ্রবেশও ঘটে।

এসব ঘটনা বন্ধে সীমান্তে বৈধ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উদ্যোগ নেওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেন ভারতীয় হাই কমিশনার।

ভারত বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, দ্রুত ও টেকসই প্রত্যাবাসন চায় জানিয়ে বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারত ও বাংলাদেশের অবস্থানের কোনো পার্থক্য নেই।

তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়েছে। এটা প্রশংসার দাবি রাখে। রোহিঙ্গাদের এখানে রাখার জন্য যে সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়েছে তা চমৎকার। এটা একদম পরিষ্কার, আমরা মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, দ্রুত ও টেকসই প্রত্যাবাসন চাই। সবক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা থাকবে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত যাওয়া বাংলাদেশের সমাজ ও অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

নিপীড়নের মুখে পালিয়ে এসে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশে শরণার্থী জীবন কাটাচ্ছে। তাদের ফেরত নিতে মিয়ানমার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে চুক্তি করলেও এখনও প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি।

বিক্রম দোরাইস্বামী প্রেস ক্লাবে তার বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের ‘বাণিজ্যিক রাজধানী’ চট্টগ্রামের ভুয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম চার’শ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিশ্ব বাণিজ্যের গেটওয়ে। এর সোনালী অতীত রয়েছে। ভবিষ্যতের হিসেবে অর্থনৈতিক দিক থেকে চট্টগ্রামের গুরুত্ব আরও বেশি।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। অন্যান্যের মধ্যে চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জী ও ক্লাবের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সালাহ উদ্দিন মো. রেজা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।