ঢাকা ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




মানবজমিন সম্পাদকসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলায় আসকের উদ্বেগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মার্চ ২০২০ ১১৭ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ সংবাদদাতা; 
মানবজমিনের সম্পাদকসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

আসক মনে করে, এ ধরনের মামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে এবং সাংবাদিকেদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে গ্রেফতার সংক্রান্ত ঘটনায় একটি সংবাদ প্রকাশের কারণে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আসক গভীর উদ্বেগ এবং মামলাটি দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আসক আরও জানায়, গত ৯ মার্চ রাতে মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় এমপি সাইফুজ্জামান শিখর মানহানির অভিযোগ করে নিজে বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা করেন। ইতোমধ্যে গণমাধ্যমকে মানবজমিন সম্পাদক বলেছেন, তার পত্রিকার প্রতিবেদনে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। তাই কারও মানহানি হওয়ারও সুযোগ নেই। অন্যদিকে এ মামলা করার পর থেকে অন্যতম অভিযুক্ত আলোকচিত্রী সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে থানায় জিডি করেছে তার পরিবার। আসক কাজলকে দ্রুত খুঁজে বের করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

আসক মনে করে, এ ধরনের মামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে এবং সাংবাদিকেদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

উল্লেখ্য, ডিজিটালনিরাপত্তা আইন নিয়ে শুরু থেকেই আসক উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। কেননা আইনটির বেশ কয়েকেটি ধারা জাতীয়ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সঙ্গে অসামঞ্জস্য এবং মানুষকে হয়রানির উদ্দেশ্যে সহজে ব্যবহার করা যায়। আইনটি অনুমোদনের পর থেকে বেশ কয়েকটি ঘটনায় এ আশংকা সত্য প্রমাণিত হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মানবজমিন সম্পাদকসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলায় আসকের উদ্বেগ

আপডেট সময় : ১০:২২:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ মার্চ ২০২০

বিশেষ সংবাদদাতা; 
মানবজমিনের সম্পাদকসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

আসক মনে করে, এ ধরনের মামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে এবং সাংবাদিকেদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে গ্রেফতার সংক্রান্ত ঘটনায় একটি সংবাদ প্রকাশের কারণে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আসক গভীর উদ্বেগ এবং মামলাটি দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আসক আরও জানায়, গত ৯ মার্চ রাতে মাগুরা-১ আসনের সরকার দলীয় এমপি সাইফুজ্জামান শিখর মানহানির অভিযোগ করে নিজে বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এ মামলা করেন। ইতোমধ্যে গণমাধ্যমকে মানবজমিন সম্পাদক বলেছেন, তার পত্রিকার প্রতিবেদনে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। তাই কারও মানহানি হওয়ারও সুযোগ নেই। অন্যদিকে এ মামলা করার পর থেকে অন্যতম অভিযুক্ত আলোকচিত্রী সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে থানায় জিডি করেছে তার পরিবার। আসক কাজলকে দ্রুত খুঁজে বের করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

আসক মনে করে, এ ধরনের মামলা গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করে এবং সাংবাদিকেদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে।

উল্লেখ্য, ডিজিটালনিরাপত্তা আইন নিয়ে শুরু থেকেই আসক উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। কেননা আইনটির বেশ কয়েকেটি ধারা জাতীয়ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ডের সঙ্গে অসামঞ্জস্য এবং মানুষকে হয়রানির উদ্দেশ্যে সহজে ব্যবহার করা যায়। আইনটি অনুমোদনের পর থেকে বেশ কয়েকটি ঘটনায় এ আশংকা সত্য প্রমাণিত হয়েছে।