ঢাকা ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




ক্যাসিনো অভিযান: এবার দুদকের তালিকায় সরকার দলীয় আরেক সংসদ সদস্য

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০৭:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৯ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন সংস্করণ

সরকারে চলমান ক্যাসিনো অভিযানের (শুদ্ধি অভিযান) মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান তালিকায় সুনামগঞ্জ-১ আসনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের নাম এসেছে।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুদকের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক সূত্রে জানা গিয়েছিল, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এবং জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামশুল হক চৌধুরীর বিষয়ে অনুসন্ধানে নামবে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার দুদকের সে তালিকায় যুক্ত হলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন।

দুদকের উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, সরকারের চলমান ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িতদের সম্পদ অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। শুরুতে এ তালিকায় ৪৩ জনের নাম আসে দুদকের কাছে। কিন্তু আরও অনুসন্ধানে সেই তালিকা বড় হয়ে এখন প্রায় ১০০ জনে গিয়ে ঠেকেছে। তালিকা আরও বড় হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুদকের এক কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি টিম ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িতদের সম্পদ অনুসন্ধানে নামে।

গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন ব্যক্তির নাম যাচাই-বাছাই করে একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করে অনুসন্ধান দলটি। সেই তালিকায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তথ্য-উপাত্ত সংস্থাটির গোয়েন্দা শাখা যাচাই বাছাই করা হয়।

এসব ক্ষেত্রে র‍্যাব ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দুদককে সাহায্য করেছেন।

তাদের থেকে প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ গোয়েন্দা তথ্যাদি ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সোমবার (২১ অক্টোবর) দুটি মামলা করছে সংস্থাটি। আর মঙ্গলবার আরও দুটি মামলার অনুমোদন হয়েছে।

এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান জানান, ক্যাসিনো কাণ্ডে যাদেরই নাম এসেছে সবাই অনুসন্ধানের আওতায় আসবেন। রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মচারী যারা জড়িত তাদের কেউই ছাড় পাবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ক্যাসিনো অভিযান: এবার দুদকের তালিকায় সরকার দলীয় আরেক সংসদ সদস্য

আপডেট সময় : ০১:০৭:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৯

অনলাইন সংস্করণ

সরকারে চলমান ক্যাসিনো অভিযানের (শুদ্ধি অভিযান) মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান তালিকায় সুনামগঞ্জ-১ আসনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের নাম এসেছে।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুদকের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক সূত্রে জানা গিয়েছিল, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এবং জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামশুল হক চৌধুরীর বিষয়ে অনুসন্ধানে নামবে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার দুদকের সে তালিকায় যুক্ত হলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন।

দুদকের উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, সরকারের চলমান ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িতদের সম্পদ অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। শুরুতে এ তালিকায় ৪৩ জনের নাম আসে দুদকের কাছে। কিন্তু আরও অনুসন্ধানে সেই তালিকা বড় হয়ে এখন প্রায় ১০০ জনে গিয়ে ঠেকেছে। তালিকা আরও বড় হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুদকের এক কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি টিম ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িতদের সম্পদ অনুসন্ধানে নামে।

গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন ব্যক্তির নাম যাচাই-বাছাই করে একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করে অনুসন্ধান দলটি। সেই তালিকায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তথ্য-উপাত্ত সংস্থাটির গোয়েন্দা শাখা যাচাই বাছাই করা হয়।

এসব ক্ষেত্রে র‍্যাব ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দুদককে সাহায্য করেছেন।

তাদের থেকে প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ গোয়েন্দা তথ্যাদি ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সোমবার (২১ অক্টোবর) দুটি মামলা করছে সংস্থাটি। আর মঙ্গলবার আরও দুটি মামলার অনুমোদন হয়েছে।

এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান জানান, ক্যাসিনো কাণ্ডে যাদেরই নাম এসেছে সবাই অনুসন্ধানের আওতায় আসবেন। রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মচারী যারা জড়িত তাদের কেউই ছাড় পাবে না।