ঢাকা ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




ক্যাসিনো অভিযান: এবার দুদকের তালিকায় সরকার দলীয় আরেক সংসদ সদস্য

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০৭:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৯ ৮৩ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন সংস্করণ

সরকারে চলমান ক্যাসিনো অভিযানের (শুদ্ধি অভিযান) মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান তালিকায় সুনামগঞ্জ-১ আসনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের নাম এসেছে।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুদকের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক সূত্রে জানা গিয়েছিল, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এবং জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামশুল হক চৌধুরীর বিষয়ে অনুসন্ধানে নামবে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার দুদকের সে তালিকায় যুক্ত হলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন।

দুদকের উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, সরকারের চলমান ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িতদের সম্পদ অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। শুরুতে এ তালিকায় ৪৩ জনের নাম আসে দুদকের কাছে। কিন্তু আরও অনুসন্ধানে সেই তালিকা বড় হয়ে এখন প্রায় ১০০ জনে গিয়ে ঠেকেছে। তালিকা আরও বড় হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুদকের এক কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি টিম ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িতদের সম্পদ অনুসন্ধানে নামে।

গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন ব্যক্তির নাম যাচাই-বাছাই করে একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করে অনুসন্ধান দলটি। সেই তালিকায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তথ্য-উপাত্ত সংস্থাটির গোয়েন্দা শাখা যাচাই বাছাই করা হয়।

এসব ক্ষেত্রে র‍্যাব ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দুদককে সাহায্য করেছেন।

তাদের থেকে প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ গোয়েন্দা তথ্যাদি ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সোমবার (২১ অক্টোবর) দুটি মামলা করছে সংস্থাটি। আর মঙ্গলবার আরও দুটি মামলার অনুমোদন হয়েছে।

এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান জানান, ক্যাসিনো কাণ্ডে যাদেরই নাম এসেছে সবাই অনুসন্ধানের আওতায় আসবেন। রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মচারী যারা জড়িত তাদের কেউই ছাড় পাবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ক্যাসিনো অভিযান: এবার দুদকের তালিকায় সরকার দলীয় আরেক সংসদ সদস্য

আপডেট সময় : ০১:০৭:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০১৯

অনলাইন সংস্করণ

সরকারে চলমান ক্যাসিনো অভিযানের (শুদ্ধি অভিযান) মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান তালিকায় সুনামগঞ্জ-১ আসনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের নাম এসেছে।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুদকের উচ্চ পর্যায়ের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক সূত্রে জানা গিয়েছিল, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন এবং জাতীয় সংসদের হুইপ ও চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামশুল হক চৌধুরীর বিষয়ে অনুসন্ধানে নামবে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার দুদকের সে তালিকায় যুক্ত হলেন সুনামগঞ্জ-১ আসনে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন।

দুদকের উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, সরকারের চলমান ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িতদের সম্পদ অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক। শুরুতে এ তালিকায় ৪৩ জনের নাম আসে দুদকের কাছে। কিন্তু আরও অনুসন্ধানে সেই তালিকা বড় হয়ে এখন প্রায় ১০০ জনে গিয়ে ঠেকেছে। তালিকা আরও বড় হতে পারে বলে জানিয়েছেন দুদকের এক কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি টিম ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িতদের সম্পদ অনুসন্ধানে নামে।

গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন ব্যক্তির নাম যাচাই-বাছাই করে একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করে অনুসন্ধান দলটি। সেই তালিকায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তথ্য-উপাত্ত সংস্থাটির গোয়েন্দা শাখা যাচাই বাছাই করা হয়।

এসব ক্ষেত্রে র‍্যাব ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দুদককে সাহায্য করেছেন।

তাদের থেকে প্রাপ্ত বিপুল পরিমাণ গোয়েন্দা তথ্যাদি ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সোমবার (২১ অক্টোবর) দুটি মামলা করছে সংস্থাটি। আর মঙ্গলবার আরও দুটি মামলার অনুমোদন হয়েছে।

এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান জানান, ক্যাসিনো কাণ্ডে যাদেরই নাম এসেছে সবাই অনুসন্ধানের আওতায় আসবেন। রাজনৈতিক নেতা, সরকারি কর্মচারী যারা জড়িত তাদের কেউই ছাড় পাবে না।