ঢাকা ০৯:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




লজ্জিত শামীম ওসমান

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩০:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০১৯ ৮২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;
সংসদে নিজের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সরকারি দলের সাংসদ শামীম ওসমান। আজ রোববার তিনি সংসদে বলেছেন, সন্ত্রাসীরা রাস্তা দখল করে চাঁদাবাজি করছে। এতে করে সরকারি প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু এলাকার সাংসদ হিসেবে তিনি কোনো ভূমিকা রাখতে পারছেন না। সে জন্য তিনি লজ্জিত।

‘নিজের আত্মাকে শান্তি দেওয়ার জন্য’ পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে অনির্ধারিত আলোচনায় শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।

সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, সরকার প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য কোয়ার্টার নির্মাণ করছে। প্রায় চার সাড়ে চার বছর আগে এর দরপত্র হয়েছে। বর্তমানের গণপূর্তমন্ত্রীর আগের মন্ত্রীর সময়ে ওখানে একটি খেলার মাঠ রাখার জন্য দাবি উঠেছিল। আমি সংসদে এবং সংসদের বাইরে মন্ত্রী মহোদয়কে খেলার মাঠটি রাখার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। মন্ত্রিসভা আমার অনুরোধ রেখেছেন এবং এই মাঠের জন্য ইতিমধ্যে ১২ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন।

শামীম ওসমান বলেন, শাজাহান খান নৌপরিবহন মন্ত্রী থাকার সময় ওখানে বিআইডব্লিউটিএ একটি ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে। কিন্তু একটি সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ গোষ্ঠী শত শত কোটি টাকা দিয়ে তৈরি করা সেই ওয়াকওয়ে ভেঙে ফেলেছে। তারা সেখানে মাল লোড-আনলোড করছে ও চাঁদা নিচ্ছে। টেন্ডার হয়ে যাওয়ার পরও সেখান প্রায় তিন বছর ধরে কিছু সন্ত্রাসীর জন্য ঠিকাদার প্রকল্পের কাজ করতে পারছে না।

শামীম ওসমান প্রশ্ন তুলে বলেন, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের হাত কতটা বড়? তাদের হাত কতটা বড়? ওখানে প্রতিদিন শ্রমিকের নামে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার চাঁদাবাজি হয়। এসব চাঁদাবাজদের কোনো দল নেই। যে কোম্পানি কাজটি পেয়েছে তারা কাজ করতে পারছে না। জিডি করা হয়েছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় মামলা করেছে। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। এদের ক্ষমতার উৎস কোথায়? ওই এলাকার সাংসদ হিসেবে আমি কিছুই করতে পারছি না। সে জন্য আমি লজ্জিত। কথাটা আমি এই জন্য বললাম যে, নিজের আত্মাটাকে আমি শান্তি দিলাম।

স্পিকারের মাধ্যমে গণপূর্তমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি গণপূর্তমন্ত্রী এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে কাজ শুরু করার ব্যবস্থা করবেন।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




লজ্জিত শামীম ওসমান

আপডেট সময় : ০৮:৩০:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;
সংসদে নিজের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সরকারি দলের সাংসদ শামীম ওসমান। আজ রোববার তিনি সংসদে বলেছেন, সন্ত্রাসীরা রাস্তা দখল করে চাঁদাবাজি করছে। এতে করে সরকারি প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু এলাকার সাংসদ হিসেবে তিনি কোনো ভূমিকা রাখতে পারছেন না। সে জন্য তিনি লজ্জিত।

‘নিজের আত্মাকে শান্তি দেওয়ার জন্য’ পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে অনির্ধারিত আলোচনায় শামীম ওসমান এসব কথা বলেন।

সাংসদ শামীম ওসমান বলেন, সরকার প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য কোয়ার্টার নির্মাণ করছে। প্রায় চার সাড়ে চার বছর আগে এর দরপত্র হয়েছে। বর্তমানের গণপূর্তমন্ত্রীর আগের মন্ত্রীর সময়ে ওখানে একটি খেলার মাঠ রাখার জন্য দাবি উঠেছিল। আমি সংসদে এবং সংসদের বাইরে মন্ত্রী মহোদয়কে খেলার মাঠটি রাখার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। মন্ত্রিসভা আমার অনুরোধ রেখেছেন এবং এই মাঠের জন্য ইতিমধ্যে ১২ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন।

শামীম ওসমান বলেন, শাজাহান খান নৌপরিবহন মন্ত্রী থাকার সময় ওখানে বিআইডব্লিউটিএ একটি ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে। কিন্তু একটি সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ গোষ্ঠী শত শত কোটি টাকা দিয়ে তৈরি করা সেই ওয়াকওয়ে ভেঙে ফেলেছে। তারা সেখানে মাল লোড-আনলোড করছে ও চাঁদা নিচ্ছে। টেন্ডার হয়ে যাওয়ার পরও সেখান প্রায় তিন বছর ধরে কিছু সন্ত্রাসীর জন্য ঠিকাদার প্রকল্পের কাজ করতে পারছে না।

শামীম ওসমান প্রশ্ন তুলে বলেন, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের হাত কতটা বড়? তাদের হাত কতটা বড়? ওখানে প্রতিদিন শ্রমিকের নামে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার চাঁদাবাজি হয়। এসব চাঁদাবাজদের কোনো দল নেই। যে কোম্পানি কাজটি পেয়েছে তারা কাজ করতে পারছে না। জিডি করা হয়েছে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় মামলা করেছে। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। এদের ক্ষমতার উৎস কোথায়? ওই এলাকার সাংসদ হিসেবে আমি কিছুই করতে পারছি না। সে জন্য আমি লজ্জিত। কথাটা আমি এই জন্য বললাম যে, নিজের আত্মাটাকে আমি শান্তি দিলাম।

স্পিকারের মাধ্যমে গণপূর্তমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে শামীম ওসমান বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি গণপূর্তমন্ত্রী এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে কাজ শুরু করার ব্যবস্থা করবেন।’