ঢাকা ০৪:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




আজ চৈত্রসংক্রান্তি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৮:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০ ১২৪ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক; 

বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ ৩০ চৈত্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। বাংলা সনের সবশেষ মাস চৈত্রের শেষ দিন। চৈত্র মাসের এ দিনটি বাঙালির সনাতন সম্প্রদায়ের লৌকিক আচারের দিন ‘চৈত্রসংক্রান্তি’। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারির কারণে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই কেটে যাবে দিনটি। দিনটি শেষ হলেই শুরু বাংলা নববর্ষ ১৪২৭। নববর্ষকে আবাহন করতেও থাকবে না কোনো আনুষ্ঠানিকতা। করোনার ভয়াবহতা আমাদের জানান দিচ্ছে লোকসমাগমের অনুষ্ঠান করো না।
বাঙালি সনাতন হিন্দুরা বাংলা মাসের শেষ দিনে শাস্ত্র ও লোকাচার মেনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস ক্রিয়াকর্ম করে থাকেন। আচার অনুযায়ী, এ দিনে বিদায় উত্সব পালন করে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়। দোকানপাট ধুয়েমুছে বিগত বছরের যত সব জঞ্জাল, অশুচিতাকে দূর করতে চায়। কারণ রাত পেরোলেই খোলা হয় ব্যবসায়িক হিসাবনিকাশের নতুন খাতা। সে উত্সবের চিরচেনা নাম ‘হালখাতা’। তবে করোনার কারণে সব হালখাতা সব আয়োজন বন্ধ। বৈশাখকে বরণ করতে এ বছর আর কোনো আয়োজন চলছে না। বাংলা নববর্ষকে বরণের জন্য রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে বের হবে না মঙ্গল শোভাযাত্রা। রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণের প্রভাতি আয়োজন শুরু ১৯৬৭ সাল থেকে। এরপর ১৯৭১ সাল ছাড়া প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হয়েছে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে এবার সেই বর্ষবরণ আর মঙ্গল শোভাযাত্রা হচ্ছে না।
প্রতিবছর রাজধানীতে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন ও গানের দল সুরেরধারা দিনটি ব্যাপক আয়োজনে উদযাপন করলেও এবার কোনো আয়োজন নেই। নাগরিক জীবনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে পুরোধা সংগঠন ছায়ানটও তাদের ঐতিহ্যবাহী রমনা বটমূলের প্রভাতি অনুষ্ঠান বাতিল করলেও রমনা বটমূলের বিগত কয়েক বছরের অনুষ্ঠানগুলোর ভিত্তিতে একটি ধারণকৃত অনুষ্ঠান বিটিভি প্রচার করবে।
এ প্রসঙ্গে ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুন বলেন, বর্তমান মহামারিতে বিশ্বজুড়ে অগণ্য মানুষের জীবনাবসান ও জীবনশঙ্কার ক্রান্তিলগ্নে ছায়ানট এবার ‘উৎসব নয়, সময় এখন দুর্যোগ প্রতিরোধের’ এই অঙ্গীকার নিয়ে সীমিত আকারে অনুষ্ঠান উপস্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন (১৪ এপ্রিল) সকাল ৭টায় অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করবে। বর্তমান সংকটের প্রেক্ষাপটে ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুনের সমাপনী কথন যুক্ত করা হয়েছে। বিটিভি ছাড়াও অনলাইনে ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল থেকে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




আজ চৈত্রসংক্রান্তি

আপডেট সময় : ০৯:০৮:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০

অনলাইন ডেস্ক; 

বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ ৩০ চৈত্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। বাংলা সনের সবশেষ মাস চৈত্রের শেষ দিন। চৈত্র মাসের এ দিনটি বাঙালির সনাতন সম্প্রদায়ের লৌকিক আচারের দিন ‘চৈত্রসংক্রান্তি’। কিন্তু বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারির কারণে কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই কেটে যাবে দিনটি। দিনটি শেষ হলেই শুরু বাংলা নববর্ষ ১৪২৭। নববর্ষকে আবাহন করতেও থাকবে না কোনো আনুষ্ঠানিকতা। করোনার ভয়াবহতা আমাদের জানান দিচ্ছে লোকসমাগমের অনুষ্ঠান করো না।
বাঙালি সনাতন হিন্দুরা বাংলা মাসের শেষ দিনে শাস্ত্র ও লোকাচার মেনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস ক্রিয়াকর্ম করে থাকেন। আচার অনুযায়ী, এ দিনে বিদায় উত্সব পালন করে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়। দোকানপাট ধুয়েমুছে বিগত বছরের যত সব জঞ্জাল, অশুচিতাকে দূর করতে চায়। কারণ রাত পেরোলেই খোলা হয় ব্যবসায়িক হিসাবনিকাশের নতুন খাতা। সে উত্সবের চিরচেনা নাম ‘হালখাতা’। তবে করোনার কারণে সব হালখাতা সব আয়োজন বন্ধ। বৈশাখকে বরণ করতে এ বছর আর কোনো আয়োজন চলছে না। বাংলা নববর্ষকে বরণের জন্য রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা থেকে বের হবে না মঙ্গল শোভাযাত্রা। রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণের প্রভাতি আয়োজন শুরু ১৯৬৭ সাল থেকে। এরপর ১৯৭১ সাল ছাড়া প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হয়েছে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে এবার সেই বর্ষবরণ আর মঙ্গল শোভাযাত্রা হচ্ছে না।
প্রতিবছর রাজধানীতে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন ও গানের দল সুরেরধারা দিনটি ব্যাপক আয়োজনে উদযাপন করলেও এবার কোনো আয়োজন নেই। নাগরিক জীবনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে পুরোধা সংগঠন ছায়ানটও তাদের ঐতিহ্যবাহী রমনা বটমূলের প্রভাতি অনুষ্ঠান বাতিল করলেও রমনা বটমূলের বিগত কয়েক বছরের অনুষ্ঠানগুলোর ভিত্তিতে একটি ধারণকৃত অনুষ্ঠান বিটিভি প্রচার করবে।
এ প্রসঙ্গে ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুন বলেন, বর্তমান মহামারিতে বিশ্বজুড়ে অগণ্য মানুষের জীবনাবসান ও জীবনশঙ্কার ক্রান্তিলগ্নে ছায়ানট এবার ‘উৎসব নয়, সময় এখন দুর্যোগ প্রতিরোধের’ এই অঙ্গীকার নিয়ে সীমিত আকারে অনুষ্ঠান উপস্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন (১৪ এপ্রিল) সকাল ৭টায় অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করবে। বর্তমান সংকটের প্রেক্ষাপটে ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুনের সমাপনী কথন যুক্ত করা হয়েছে। বিটিভি ছাড়াও অনলাইনে ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল থেকে অনুষ্ঠানটি উপভোগ করা যাবে।