ঢাকা ০৪:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ




 প্রবাসফেরত কর্মীর সংখ্যা দুই লাখ ছুঁই ছুঁই

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৩২:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০ ১৩৮৫ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ সংবাদদাতা;

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী কর্মী ফেরত আসা অব্যাহত রয়েছে। গত ১ এপ্রিল থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন দেশ থেকে এক লাখ ৯৫ হাজার ৬৯৮ জন প্রবাসীকর্মী ফিরে এসেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৭৪ হাজার ৯১০ জন ও নারী ২০ হাজার ৭৮৮ জন।

এদের মধ্যে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফেরত আসা প্রবাসীকর্মীর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মোট ফেরত প্রবাসীকর্মীদের ৫১ দশমিক ৬২ শতাংশ কর্মীই এ দুটি দেশ থেকে ফেরত এসেছেন। প্রতিদিনই এ সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ফেরত আসা মোট কর্মীদের মধ্যে বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে এক লাখ ৬৩ হাজার ১৬৩ জন এবং আউটপাসের মাধ্যমে ৩২ হাজার ৫৩৫ জন ফেরত আসেন।

প্রবাসফেরত কর্মীদের মধ্যে কেউ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা খেটে, কেউ করোনার কারণে কাজ হারিয়ে বা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া, আবার কেউ ভিসার মেয়াদ না থাকায় সাধারণ ক্ষমার আওতায় দেশে ফেরত এসেছেন।

নির্দিষ্ট ২৮টিসহ অন্যান্য দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫২ হাজার ৫৬৫ জন সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফেরত আসেন (পুরুষ ৪৮ হাজার ৬৭৮ জন জন ও নারী তিন হাজার ৮৮৭ জন)। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ না থাকায় তারা কর্মীদের পাঠিয়ে দিয়েছে।

কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের আবার নেয়ার কথা বলে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

সৌদি আরব থেকে এ সময় (১ এপ্রিল থেকে ১৩ অক্টোবর) ৪৮ হাজার ৫৯৭ জন (পুরুষ ৪০ হাজার ৮৫২ জন ও নারী সাত হাজার ৭৪৫ জন) ফেরত আসেন। বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করে আউটপাস নিয়ে দেশে ফেরত আসেন তারা।
মালদ্বীপ থেকে ফেরত এসেছেন ১১ হাজার ৩৮৫ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ৩০৫ জন ও নারী ৮০ জন। পর্যটননির্ভর দেশ হওয়ায় করোনার কারণে সেখানে কাজ নেই। তাই মালিক/কোম্পানি তাদের ফেরত পাঠিয়েছে।

সিঙ্গাপুর থেকে তিন হাজার ৩১৫ জন (পুরুষ তিন হাজার ২৮৬ ও নারী ২৯ জন) ফেরত এসেছেন। কাজের বা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা দেশে ফেরত আসেন।

ওমান থেকে ১২ হাজার ৫ জন (১০ হাজার ৫৭৯ জন ও নারী এক হাজার ৪২৬ জন) ফেরত আসেন। বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করে আউটপাস নিয়ে তারা দেশে আসেন।

কুয়েত থেকে দেশে এসেছেন ১০ হাজার ৪৬৫ জন (পুরুষ ১০ হাজার ২৩৪ জন ও নারী ২২২ জন)। আকামা বা ভিসার মেয়াদ না থাকায় বা অবৈধ হওয়ায় সাধারণ ক্ষমার আওতায় ফেরত আসেন তারা। আবার অনেক কর্মী বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করে দেশে ফিরেছেন।

বাহরাইন থেকে ফেরত এসেছেন এক হাজার ২৬০ জন। তাদের মধ্যে এক হাজার ১৬৯ জন পুরুষ ও ৯১জন নারী। বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করে আউটপাস নিয়ে তারা দেশে আসেন। এছাড়া অসুস্থ বা চাকরি হারিয়ে অনেকে ফিরে আসেন।

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরত এসেছেন ৭১ জন এবং তাদের সবাই পুরুষ। কাজ নেই তাই তারা ফেরত এসেছেন।

কাতার থেকে ফেরত এসেছেন ১৯ হাজার ৭৫৯ জন (পুরুষ ১৭ হাজার ৮৮৯ জন ও নারী এক হাজার ৮৭০ জন)। তারাও কাজ না থাকায় ফেরত এসেছেন।

মালয়েশিয়া থেকে ফেরত এসেছেন ৯ হাজার ৩৩২ জন (পুরুষ আট হাজার ৯২১ জন ও নারী ৪১১ জন)। তারাও একই কারণে দেশে ফিরেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ফেরত এসেছেন ১৩৬ জন এবং তাদের সবাই পুরুষ। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা দেশে ফিরে আসেন।
থাইল্যান্ড থেকে ফেরত এসেছেন ৮৯ জন (পুরুষ ৭৮ জন ও নারী ১১ জন)। কাজ নেই তাই ফেরত এসেছেন তারা।

মিয়ানমার থেকে ফেরত এসেছেন ৩৯ জন এবং তাদের সবাই পুরুষ। কাজ না থাকায় তারা দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।

জর্দান থেকে এসেছেন দুই হাজার ১৯৭ জন (পুরুষ ৪০৮ জন ও নারী এক হাজার ৭৮৯ জন)। তারা সবাই পোশাকশ্রমিক। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় সবাই দেশে ফেরত আসেন।

ভিয়েতনাম থেকে ফেরত এসেছেন ১২১ জন (সবাই পুরুষ)। তারা প্রতারিত হয়ে দেশে ফিরে আসেন।

কম্বোডিয়া থেকে ১০৬ জন ফেরত আসেন। তাদের সবাই পুরুষ। কাজ নেই, তাই তারা দেশে ফিরে এসেছেন।

ইতালি থেকে ফেরত আসার সংখ্যা ১৫১ জন এবং সবাই পুরুষ। ৬ জুলাই বাংলাদেশে থেকে যাওয়া ১৫১ জন কর্মীকে করোনা সন্দেহে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

ইরাক থেকে ফেরত এসেছেন আট হাজার ২৮২ জন (পুরুষ আট হাজার ২২২ জন ও নারী ৬০ জন)। কাজ নেই, তাই ফেরত এসেছেন তারা।

শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরত এসেছেন ৫৪৮ জন এবং তাদের সবাই পুরুষ। কাজের মেয়াদ শেষে তারা ফেরত আসেন।

মরিশাস থেকে ফেরত এসেছেন ৪৫২ জন (পুরুষ ১৪০ জন ও নারী ৩১২ জন)। কাজের মেয়াদ শেষ, তাই দেশে ফেরত এসেছেন তারা।

রাশিয়া থেকে ফেরত এসেছেন ১০০ জন (সবাই পুরুষ)। তাদের ফিরে আসার কারণ জানা যায়নি।
তুরস্ক থেকে ফেরত আসেন সাত হাজার ৭০৬ জন (পুরুষ সাত হাজার ৮৮ জন ও নারী ৬১৮ জন)। কাজ নেই, তাই ফেরত এসেছেন।

লেবানন থেকে ফেরত আসেন ছয় হাজার ৪৫১ জন (পুরুষ চার হাজার ২৪৬ জন ও নারী দুই হাজার ২০৫ জন)। কাজ না থাকায় তারা দেশে ফিরে আসেন। এবং তাদের অনেকে আউটপাস নিয়ে ফেরত এসেছেন।

নেপাল থেকে ফেরত এসেছেন ৫৫ জন (পুরুষ ৪০ জন ও নারী এক হাজার ১৫ জন)। তাদের ফেরত আসার কারণ জানা যায়নি।

হংকং থেকে এসেছেন ১৬ জন (পুরুষ ১২ জন ও নারী চারজন)। তাদেরও ফিরে আসার কারণ জানা যায়নি।

জাপান থেকে ফেরত এসেছেন আটজন এবং তারা সবাই পুরুষ। আইএম জাপানের (ইন্টারন্যাশনাল ম্যানপাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-জাপান) মাধ্যমে যাওয়া প্রথম ব্যাচের আটজন তিন বছর মেয়াদ শেষে ছুটিতে আসেন।

লন্ডন থেকে ৫৩ জন ফেরত আসেন। তাদের মধ্যে ৪০ জন পুরুষ ও ১৩ জন নারী। তারা কী কারণে ফেরত আসেন তা উল্লেখ করা হয়নি।

লিবিয়া থেকে ৩১৫ জন থেকে ফেরত আসেন এবং তাদের সবাই পুরুষ। তাদের দেশে ফেরত আসার কারণ জানা যায়নি।

এছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে মোট ১২৮ জন ফেরত আসেন। তাদের সবাই পুরুষ। কী কারণে তারা ফেরত আসেন তা জানা যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




 প্রবাসফেরত কর্মীর সংখ্যা দুই লাখ ছুঁই ছুঁই

আপডেট সময় : ১০:৩২:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২০

বিশেষ সংবাদদাতা;

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী কর্মী ফেরত আসা অব্যাহত রয়েছে। গত ১ এপ্রিল থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ে বিভিন্ন দেশ থেকে এক লাখ ৯৫ হাজার ৬৯৮ জন প্রবাসীকর্মী ফিরে এসেছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৭৪ হাজার ৯১০ জন ও নারী ২০ হাজার ৭৮৮ জন।

এদের মধ্যে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফেরত আসা প্রবাসীকর্মীর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মোট ফেরত প্রবাসীকর্মীদের ৫১ দশমিক ৬২ শতাংশ কর্মীই এ দুটি দেশ থেকে ফেরত এসেছেন। প্রতিদিনই এ সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, ফেরত আসা মোট কর্মীদের মধ্যে বৈধ পাসপোর্ট নিয়ে এক লাখ ৬৩ হাজার ১৬৩ জন এবং আউটপাসের মাধ্যমে ৩২ হাজার ৫৩৫ জন ফেরত আসেন।

প্রবাসফেরত কর্মীদের মধ্যে কেউ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা খেটে, কেউ করোনার কারণে কাজ হারিয়ে বা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া, আবার কেউ ভিসার মেয়াদ না থাকায় সাধারণ ক্ষমার আওতায় দেশে ফেরত এসেছেন।

নির্দিষ্ট ২৮টিসহ অন্যান্য দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫২ হাজার ৫৬৫ জন সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ফেরত আসেন (পুরুষ ৪৮ হাজার ৬৭৮ জন জন ও নারী তিন হাজার ৮৮৭ জন)। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ না থাকায় তারা কর্মীদের পাঠিয়ে দিয়েছে।

কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের আবার নেয়ার কথা বলে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

সৌদি আরব থেকে এ সময় (১ এপ্রিল থেকে ১৩ অক্টোবর) ৪৮ হাজার ৫৯৭ জন (পুরুষ ৪০ হাজার ৮৫২ জন ও নারী সাত হাজার ৭৪৫ জন) ফেরত আসেন। বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করে আউটপাস নিয়ে দেশে ফেরত আসেন তারা।
মালদ্বীপ থেকে ফেরত এসেছেন ১১ হাজার ৩৮৫ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ৩০৫ জন ও নারী ৮০ জন। পর্যটননির্ভর দেশ হওয়ায় করোনার কারণে সেখানে কাজ নেই। তাই মালিক/কোম্পানি তাদের ফেরত পাঠিয়েছে।

সিঙ্গাপুর থেকে তিন হাজার ৩১৫ জন (পুরুষ তিন হাজার ২৮৬ ও নারী ২৯ জন) ফেরত এসেছেন। কাজের বা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা দেশে ফেরত আসেন।

ওমান থেকে ১২ হাজার ৫ জন (১০ হাজার ৫৭৯ জন ও নারী এক হাজার ৪২৬ জন) ফেরত আসেন। বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করে আউটপাস নিয়ে তারা দেশে আসেন।

কুয়েত থেকে দেশে এসেছেন ১০ হাজার ৪৬৫ জন (পুরুষ ১০ হাজার ২৩৪ জন ও নারী ২২২ জন)। আকামা বা ভিসার মেয়াদ না থাকায় বা অবৈধ হওয়ায় সাধারণ ক্ষমার আওতায় ফেরত আসেন তারা। আবার অনেক কর্মী বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করে দেশে ফিরেছেন।

বাহরাইন থেকে ফেরত এসেছেন এক হাজার ২৬০ জন। তাদের মধ্যে এক হাজার ১৬৯ জন পুরুষ ও ৯১জন নারী। বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ করে আউটপাস নিয়ে তারা দেশে আসেন। এছাড়া অসুস্থ বা চাকরি হারিয়ে অনেকে ফিরে আসেন।

দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফেরত এসেছেন ৭১ জন এবং তাদের সবাই পুরুষ। কাজ নেই তাই তারা ফেরত এসেছেন।

কাতার থেকে ফেরত এসেছেন ১৯ হাজার ৭৫৯ জন (পুরুষ ১৭ হাজার ৮৮৯ জন ও নারী এক হাজার ৮৭০ জন)। তারাও কাজ না থাকায় ফেরত এসেছেন।

মালয়েশিয়া থেকে ফেরত এসেছেন ৯ হাজার ৩৩২ জন (পুরুষ আট হাজার ৯২১ জন ও নারী ৪১১ জন)। তারাও একই কারণে দেশে ফিরেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ফেরত এসেছেন ১৩৬ জন এবং তাদের সবাই পুরুষ। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা দেশে ফিরে আসেন।
থাইল্যান্ড থেকে ফেরত এসেছেন ৮৯ জন (পুরুষ ৭৮ জন ও নারী ১১ জন)। কাজ নেই তাই ফেরত এসেছেন তারা।

মিয়ানমার থেকে ফেরত এসেছেন ৩৯ জন এবং তাদের সবাই পুরুষ। কাজ না থাকায় তারা দেশে ফিরতে বাধ্য হয়েছেন।

জর্দান থেকে এসেছেন দুই হাজার ১৯৭ জন (পুরুষ ৪০৮ জন ও নারী এক হাজার ৭৮৯ জন)। তারা সবাই পোশাকশ্রমিক। চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ায় সবাই দেশে ফেরত আসেন।

ভিয়েতনাম থেকে ফেরত এসেছেন ১২১ জন (সবাই পুরুষ)। তারা প্রতারিত হয়ে দেশে ফিরে আসেন।

কম্বোডিয়া থেকে ১০৬ জন ফেরত আসেন। তাদের সবাই পুরুষ। কাজ নেই, তাই তারা দেশে ফিরে এসেছেন।

ইতালি থেকে ফেরত আসার সংখ্যা ১৫১ জন এবং সবাই পুরুষ। ৬ জুলাই বাংলাদেশে থেকে যাওয়া ১৫১ জন কর্মীকে করোনা সন্দেহে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

ইরাক থেকে ফেরত এসেছেন আট হাজার ২৮২ জন (পুরুষ আট হাজার ২২২ জন ও নারী ৬০ জন)। কাজ নেই, তাই ফেরত এসেছেন তারা।

শ্রীলঙ্কা থেকে ফেরত এসেছেন ৫৪৮ জন এবং তাদের সবাই পুরুষ। কাজের মেয়াদ শেষে তারা ফেরত আসেন।

মরিশাস থেকে ফেরত এসেছেন ৪৫২ জন (পুরুষ ১৪০ জন ও নারী ৩১২ জন)। কাজের মেয়াদ শেষ, তাই দেশে ফেরত এসেছেন তারা।

রাশিয়া থেকে ফেরত এসেছেন ১০০ জন (সবাই পুরুষ)। তাদের ফিরে আসার কারণ জানা যায়নি।
তুরস্ক থেকে ফেরত আসেন সাত হাজার ৭০৬ জন (পুরুষ সাত হাজার ৮৮ জন ও নারী ৬১৮ জন)। কাজ নেই, তাই ফেরত এসেছেন।

লেবানন থেকে ফেরত আসেন ছয় হাজার ৪৫১ জন (পুরুষ চার হাজার ২৪৬ জন ও নারী দুই হাজার ২০৫ জন)। কাজ না থাকায় তারা দেশে ফিরে আসেন। এবং তাদের অনেকে আউটপাস নিয়ে ফেরত এসেছেন।

নেপাল থেকে ফেরত এসেছেন ৫৫ জন (পুরুষ ৪০ জন ও নারী এক হাজার ১৫ জন)। তাদের ফেরত আসার কারণ জানা যায়নি।

হংকং থেকে এসেছেন ১৬ জন (পুরুষ ১২ জন ও নারী চারজন)। তাদেরও ফিরে আসার কারণ জানা যায়নি।

জাপান থেকে ফেরত এসেছেন আটজন এবং তারা সবাই পুরুষ। আইএম জাপানের (ইন্টারন্যাশনাল ম্যানপাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-জাপান) মাধ্যমে যাওয়া প্রথম ব্যাচের আটজন তিন বছর মেয়াদ শেষে ছুটিতে আসেন।

লন্ডন থেকে ৫৩ জন ফেরত আসেন। তাদের মধ্যে ৪০ জন পুরুষ ও ১৩ জন নারী। তারা কী কারণে ফেরত আসেন তা উল্লেখ করা হয়নি।

লিবিয়া থেকে ৩১৫ জন থেকে ফেরত আসেন এবং তাদের সবাই পুরুষ। তাদের দেশে ফেরত আসার কারণ জানা যায়নি।

এছাড়া অন্যান্য দেশ থেকে মোট ১২৮ জন ফেরত আসেন। তাদের সবাই পুরুষ। কী কারণে তারা ফেরত আসেন তা জানা যায়নি।