ঢাকা ০৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সকল দলকে নিয়ে বিএনপির যৌথসভা Logo ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বরিশাল-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী স্বপনের মনোনয়নপত্র দাখিল Logo রাজপথ বিএনপির দখলে না থাকলেও বিটিভি  বিএনপি জামায়াতের দখলে! Logo দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বেস্ট হোল্ডিং Logo অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমানের বেপরোয়া দুর্নীতি! Logo বরিশালের বাকেরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ঘরে লুটপাট Logo চাকুরীচ্যুত হওয়ার পরেও বহাল পায়রা বন্দর প্রকৌশলী নাছির: গড়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়!  Logo ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন এখন করাপশনের ত্রিমুখী জুটি Logo মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩৩৬২ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা Logo থিয়েটার কুবি’র নেতৃত্বে সুইটি-হান্নান




ঝালকাঠির ইউএনওর নির্দেশে ভূমি অফিসের জারিকারককে মারধর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৫:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০১৯ ৭২ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি;
জালিয়াতির অভিযোগে ঝালকাঠির রাজাপুর ভূমি অফিসের জারিকারক (প্রসেস সার্ভার) মো. রাসেল মল্লিককে মারধর করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহাগ হাওলাদারের নির্দেশে তাকে মারধর করা হয়।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউএনওর নির্দেশে জারিকারক রাসেলকে মারধরের অভিযোগ তুলে রাজাপুর উপজেলা টেকনিশিয়ান হাসিব খানকে জেলা প্রশাসনের উত্তেজিত কর্মচারীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের নেজারত কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আরিফুল ইসলামসহ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার সুষ্ঠু ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাজাপুর ফাজিল মাদরাসার পেছনের এলাকার রাজাপুর মৌজার ৫৮ শতাংশ জমি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে এক ব্যক্তির নামে ১৯৭৪-৭৫ সালের ভুয়া মিউটিশন তৈরি করে এস বহিতে লিপিবদ্ধ করেন ভূমি অফিসের জারিকারক (প্রসেস সার্ভার) মো. রাসেল মল্লিক। মিউটিশন অনুযায়ী ওই জমি বিক্রির জন্য বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রি হয়। এ জালিয়াতির বিষয়টি ইউএনও এবং রাজাপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরান শাহরিয়ারের নজরে এলে ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার (২৬ জুন) রাতে ইউএনও অফিসে বসে জারিকারক রাসেল মল্লিককে রাজাপুর উপজেলা টেকনিশিয়ান হাসিব খানকে নির্দেশ দিলে রাসেলকে মারধর করে।

এ ঘটনার পর থেকে রাজাপুর ভূমি অফিসের জারিকারক (প্রসেস সার্ভার) মো. রাসেল মল্লিক আত্মগোপনে রয়েছেন। এসব অভিযোগ ও পিটুনির বিষয়ে জানার জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ না করে ফোন বন্ধ করে রেখেন।

এদিকে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ইউএনও মো. সোহাগ হাওলাদার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, ঘটনা শুনে অফিসে এসে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ঝালকাঠির ইউএনওর নির্দেশে ভূমি অফিসের জারিকারককে মারধর

আপডেট সময় : ১১:৩৫:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি;
জালিয়াতির অভিযোগে ঝালকাঠির রাজাপুর ভূমি অফিসের জারিকারক (প্রসেস সার্ভার) মো. রাসেল মল্লিককে মারধর করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহাগ হাওলাদারের নির্দেশে তাকে মারধর করা হয়।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ইউএনওর নির্দেশে জারিকারক রাসেলকে মারধরের অভিযোগ তুলে রাজাপুর উপজেলা টেকনিশিয়ান হাসিব খানকে জেলা প্রশাসনের উত্তেজিত কর্মচারীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের নেজারত কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আরিফুল ইসলামসহ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার সুষ্ঠু ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাজাপুর ফাজিল মাদরাসার পেছনের এলাকার রাজাপুর মৌজার ৫৮ শতাংশ জমি জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে এক ব্যক্তির নামে ১৯৭৪-৭৫ সালের ভুয়া মিউটিশন তৈরি করে এস বহিতে লিপিবদ্ধ করেন ভূমি অফিসের জারিকারক (প্রসেস সার্ভার) মো. রাসেল মল্লিক। মিউটিশন অনুযায়ী ওই জমি বিক্রির জন্য বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রি হয়। এ জালিয়াতির বিষয়টি ইউএনও এবং রাজাপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইমরান শাহরিয়ারের নজরে এলে ইউএনও ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার (২৬ জুন) রাতে ইউএনও অফিসে বসে জারিকারক রাসেল মল্লিককে রাজাপুর উপজেলা টেকনিশিয়ান হাসিব খানকে নির্দেশ দিলে রাসেলকে মারধর করে।

এ ঘটনার পর থেকে রাজাপুর ভূমি অফিসের জারিকারক (প্রসেস সার্ভার) মো. রাসেল মল্লিক আত্মগোপনে রয়েছেন। এসব অভিযোগ ও পিটুনির বিষয়ে জানার জন্য তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ না করে ফোন বন্ধ করে রেখেন।

এদিকে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ইউএনও মো. সোহাগ হাওলাদার কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী বলেন, ঘটনা শুনে অফিসে এসে উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ বিষয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।