ঢাকা ০২:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




সমাজের গভীরে পচন ধরেছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৯:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০১৯ ১৯৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক”
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, সমাজের গভীরে পচন ধরেছে। বরগুনায় দিন-দুপুরে প্রকাশ্যে শত লোকের মাঝে একটা মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করছে অথচ সবাই দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে, ভিডিও করছে। মানুষের দয়া-মায়া কমে গেছে। এসবের দায় এড়াতে পারবে না নাগরিক সমাজ। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি আরও বলেন, নুসরাত হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে কিন্তু লাভ হলো কি? নরসিংদীতে আবারও আরেক শিক্ষার্থীকে পুড়িয়ে মারা হলো। বিচারব্যবস্থার ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যায় অপরাধীরা। এই ঘটনা ঘটার পরে মিডিয়ার নজরে আসে। যে কয়দিন হৈ চৈ আলোচনা হয় সেই কয়দিন মিডিয়ায় আলোচনা সমালোচনা থাকে। কিছুদিন যেতেই বেমালুম ভুলে যায়। আর কোনো ফলোআপ থাকে না, মানুষও মনে রাখে না। এই অপরাধীরা একসময় বুক ফুলিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। কিছুদিন পরে যে সবাই ভুলে যাবে এটা অপরাধীরাও জানে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি অপরাধীদের ভীষণ সাহসী করে তুলেছে। তিনি আরও বলেন, এসব কিছুর দায় নাগরিক সমাজ এড়াতে পারে না। এই হত্যাকা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। মূল্যবোধের শিক্ষায় জোর দিতে হবে। এই ঘটনা আমাদের বিষণœ করেছে, সমাজের ভঙ্গুর অবস্থাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে। ২২ বছরের তরুণ ছেলে এভাবে হারিয়ে গেল। ক্ষমতাসীনদের মনে এটা কোনো ছায়াপাত করবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সমাজের গভীরে পচন ধরেছে

আপডেট সময় : ০৯:১৯:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক”
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, সমাজের গভীরে পচন ধরেছে। বরগুনায় দিন-দুপুরে প্রকাশ্যে শত লোকের মাঝে একটা মানুষকে কুপিয়ে হত্যা করছে অথচ সবাই দাঁড়িয়ে ছবি তুলছে, ভিডিও করছে। মানুষের দয়া-মায়া কমে গেছে। এসবের দায় এড়াতে পারবে না নাগরিক সমাজ। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি আরও বলেন, নুসরাত হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে কিন্তু লাভ হলো কি? নরসিংদীতে আবারও আরেক শিক্ষার্থীকে পুড়িয়ে মারা হলো। বিচারব্যবস্থার ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যায় অপরাধীরা। এই ঘটনা ঘটার পরে মিডিয়ার নজরে আসে। যে কয়দিন হৈ চৈ আলোচনা হয় সেই কয়দিন মিডিয়ায় আলোচনা সমালোচনা থাকে। কিছুদিন যেতেই বেমালুম ভুলে যায়। আর কোনো ফলোআপ থাকে না, মানুষও মনে রাখে না। এই অপরাধীরা একসময় বুক ফুলিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ায়। কিছুদিন পরে যে সবাই ভুলে যাবে এটা অপরাধীরাও জানে। বিচারহীনতার সংস্কৃতি অপরাধীদের ভীষণ সাহসী করে তুলেছে। তিনি আরও বলেন, এসব কিছুর দায় নাগরিক সমাজ এড়াতে পারে না। এই হত্যাকা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। মূল্যবোধের শিক্ষায় জোর দিতে হবে। এই ঘটনা আমাদের বিষণœ করেছে, সমাজের ভঙ্গুর অবস্থাকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে। ২২ বছরের তরুণ ছেলে এভাবে হারিয়ে গেল। ক্ষমতাসীনদের মনে এটা কোনো ছায়াপাত করবে না।