ঢাকা ০৭:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র Logo এনবিআরে আরেক মতিউর: কর কমিশনার কবিরের সম্পদের পাহাড় Logo চাকুরীর নামে ভুয়া মেজরের কোটি টাকার প্রতারণা: মিথ্যে মামলায় ভুক্তভোগীদের হয়রানি Logo পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা Logo খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ Logo এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী রশীদ’র বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ




২০ ছাত্রীকে ধর্ষণ করলো শিক্ষক!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৭:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০১৯ ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিদ্ধিরগঞ্জে অন্তত ২০ ছাত্রীকে ধর্ষণ করায় দুই শিক্ষককে ধরে গণধোলাই দিয়েছেন এলাকাবাসী। গতকাল দুপুরে মিজমিজি কান্দাপাড়ার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড হাইস্কুলে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হলেন অঙ্ক ও ইংরেজি বিষয়ে পড়ানো সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকার। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মীর শাহীন শাহ পারভেজ জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের অক্সফোর্ড হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ৮ বছর ধরে স্কুলটিতে অংক ও ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষকতা করে আসছেন। চাকরি জীবনে আরিফুল ইসলাম অসংখ্য ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি তুলে ব্লাকমেইল করে তাদের ধর্ষণ করেন। ছাত্রীদের কোচিং পড়ানোর জন্য তার বাসা ছাড়াও স্কুলের পাশে বুকস গার্ডেন এলাকায় তিনি একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। তার স্ত্রী-সন্তান না থাকলেও ওই ফ্ল্যাটে তিনটি খাট ছিল।

এ অবস্থায় তিন দিন ধরে তার অনৈতিক কর্মকান্ডে র কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে। অবশেষে অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল বেলা ১১টায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই স্কুলে গেলে আরিফুল ইসলাম মোবাইল ফোন থেকে আপত্তিকর ছবিগুলো মুছে ফেলেন। তখন এলাকাবাসী মোবাইলটি নিয়ে এলাকার একটি মোবাইল দোকানে বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ছবিগুলো উদ্ধার করেন। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এরপর ওই স্কুলে আক্রমণ চালান। এ সময় তারা স্কুলের শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারকে গণধোলাই দেন। ছাত্রীদের অভিযোগ ছিল, স্কুলের প্রধান শিক্ষক লম্পট আরিফুল ইসলামকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছিলেন।

এক অভিভাবক জানান, তার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় ওই শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার হয়। র‌্যাব-১১ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন জানান, অনেক ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করেছি। তার মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। ২০ জনের অধিক ছাত্রীর সঙ্গে ওই শিক্ষক ব্লাকমেইল করে ধর্ষণ করেছে। যা প্রাথমিকভাবে ওই শিক্ষক আমাদের কাছে স্বীকার করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




২০ ছাত্রীকে ধর্ষণ করলো শিক্ষক!

আপডেট সময় : ০৯:০৭:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০১৯

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিদ্ধিরগঞ্জে অন্তত ২০ ছাত্রীকে ধর্ষণ করায় দুই শিক্ষককে ধরে গণধোলাই দিয়েছেন এলাকাবাসী। গতকাল দুপুরে মিজমিজি কান্দাপাড়ার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড হাইস্কুলে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হলেন অঙ্ক ও ইংরেজি বিষয়ে পড়ানো সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকার। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মীর শাহীন শাহ পারভেজ জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের অক্সফোর্ড হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ৮ বছর ধরে স্কুলটিতে অংক ও ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষকতা করে আসছেন। চাকরি জীবনে আরিফুল ইসলাম অসংখ্য ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি তুলে ব্লাকমেইল করে তাদের ধর্ষণ করেন। ছাত্রীদের কোচিং পড়ানোর জন্য তার বাসা ছাড়াও স্কুলের পাশে বুকস গার্ডেন এলাকায় তিনি একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। তার স্ত্রী-সন্তান না থাকলেও ওই ফ্ল্যাটে তিনটি খাট ছিল।

এ অবস্থায় তিন দিন ধরে তার অনৈতিক কর্মকান্ডে র কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে। অবশেষে অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল বেলা ১১টায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই স্কুলে গেলে আরিফুল ইসলাম মোবাইল ফোন থেকে আপত্তিকর ছবিগুলো মুছে ফেলেন। তখন এলাকাবাসী মোবাইলটি নিয়ে এলাকার একটি মোবাইল দোকানে বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ছবিগুলো উদ্ধার করেন। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এরপর ওই স্কুলে আক্রমণ চালান। এ সময় তারা স্কুলের শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারকে গণধোলাই দেন। ছাত্রীদের অভিযোগ ছিল, স্কুলের প্রধান শিক্ষক লম্পট আরিফুল ইসলামকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছিলেন।

এক অভিভাবক জানান, তার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় ওই শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার হয়। র‌্যাব-১১ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন জানান, অনেক ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করেছি। তার মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। ২০ জনের অধিক ছাত্রীর সঙ্গে ওই শিক্ষক ব্লাকমেইল করে ধর্ষণ করেছে। যা প্রাথমিকভাবে ওই শিক্ষক আমাদের কাছে স্বীকার করেছে।