ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন Logo রাশিয়ায় কনসার্ট হলে বন্দুক হামলার নিহত ৬০, দায় স্বীকার আইএসের




২০ ছাত্রীকে ধর্ষণ করলো শিক্ষক!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৭:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০১৯ ৭১ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিদ্ধিরগঞ্জে অন্তত ২০ ছাত্রীকে ধর্ষণ করায় দুই শিক্ষককে ধরে গণধোলাই দিয়েছেন এলাকাবাসী। গতকাল দুপুরে মিজমিজি কান্দাপাড়ার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড হাইস্কুলে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হলেন অঙ্ক ও ইংরেজি বিষয়ে পড়ানো সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকার। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মীর শাহীন শাহ পারভেজ জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের অক্সফোর্ড হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ৮ বছর ধরে স্কুলটিতে অংক ও ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষকতা করে আসছেন। চাকরি জীবনে আরিফুল ইসলাম অসংখ্য ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি তুলে ব্লাকমেইল করে তাদের ধর্ষণ করেন। ছাত্রীদের কোচিং পড়ানোর জন্য তার বাসা ছাড়াও স্কুলের পাশে বুকস গার্ডেন এলাকায় তিনি একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। তার স্ত্রী-সন্তান না থাকলেও ওই ফ্ল্যাটে তিনটি খাট ছিল।

এ অবস্থায় তিন দিন ধরে তার অনৈতিক কর্মকান্ডে র কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে। অবশেষে অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল বেলা ১১টায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই স্কুলে গেলে আরিফুল ইসলাম মোবাইল ফোন থেকে আপত্তিকর ছবিগুলো মুছে ফেলেন। তখন এলাকাবাসী মোবাইলটি নিয়ে এলাকার একটি মোবাইল দোকানে বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ছবিগুলো উদ্ধার করেন। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এরপর ওই স্কুলে আক্রমণ চালান। এ সময় তারা স্কুলের শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারকে গণধোলাই দেন। ছাত্রীদের অভিযোগ ছিল, স্কুলের প্রধান শিক্ষক লম্পট আরিফুল ইসলামকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছিলেন।

এক অভিভাবক জানান, তার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় ওই শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার হয়। র‌্যাব-১১ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন জানান, অনেক ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করেছি। তার মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। ২০ জনের অধিক ছাত্রীর সঙ্গে ওই শিক্ষক ব্লাকমেইল করে ধর্ষণ করেছে। যা প্রাথমিকভাবে ওই শিক্ষক আমাদের কাছে স্বীকার করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




২০ ছাত্রীকে ধর্ষণ করলো শিক্ষক!

আপডেট সময় : ০৯:০৭:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুন ২০১৯

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সিদ্ধিরগঞ্জে অন্তত ২০ ছাত্রীকে ধর্ষণ করায় দুই শিক্ষককে ধরে গণধোলাই দিয়েছেন এলাকাবাসী। গতকাল দুপুরে মিজমিজি কান্দাপাড়ার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড হাইস্কুলে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হলেন অঙ্ক ও ইংরেজি বিষয়ে পড়ানো সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকার। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মীর শাহীন শাহ পারভেজ জানান, সিদ্ধিরগঞ্জের অক্সফোর্ড হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ৮ বছর ধরে স্কুলটিতে অংক ও ইংরেজি বিষয়ে শিক্ষকতা করে আসছেন। চাকরি জীবনে আরিফুল ইসলাম অসংখ্য ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি তুলে ব্লাকমেইল করে তাদের ধর্ষণ করেন। ছাত্রীদের কোচিং পড়ানোর জন্য তার বাসা ছাড়াও স্কুলের পাশে বুকস গার্ডেন এলাকায় তিনি একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। তার স্ত্রী-সন্তান না থাকলেও ওই ফ্ল্যাটে তিনটি খাট ছিল।

এ অবস্থায় তিন দিন ধরে তার অনৈতিক কর্মকান্ডে র কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে থাকে। অবশেষে অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল বেলা ১১টায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই স্কুলে গেলে আরিফুল ইসলাম মোবাইল ফোন থেকে আপত্তিকর ছবিগুলো মুছে ফেলেন। তখন এলাকাবাসী মোবাইলটি নিয়ে এলাকার একটি মোবাইল দোকানে বিশেষ সফটওয়্যারের মাধ্যমে ছবিগুলো উদ্ধার করেন। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এরপর ওই স্কুলে আক্রমণ চালান। এ সময় তারা স্কুলের শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জুলফিকারকে গণধোলাই দেন। ছাত্রীদের অভিযোগ ছিল, স্কুলের প্রধান শিক্ষক লম্পট আরিফুল ইসলামকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছিলেন।

এক অভিভাবক জানান, তার মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ার সময় ওই শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার হয়। র‌্যাব-১১ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আলেপ উদ্দিন জানান, অনেক ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করেছি। তার মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। ২০ জনের অধিক ছাত্রীর সঙ্গে ওই শিক্ষক ব্লাকমেইল করে ধর্ষণ করেছে। যা প্রাথমিকভাবে ওই শিক্ষক আমাদের কাছে স্বীকার করেছে।