ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ভাতিজার চাকরির সুপারিশ করতে গিয়ে ফেঁসে গেলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার এসআই আবদুল হাকিম। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মহেশপুর থানার ওসি রাশেদুল আলম।
জানা গেছে, গত ২২ জুন ছুটি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় যান মহেশপুর থানার এসআই আবদুল হাকিম । ওই দিন চুয়াডাঙ্গা জেলায় পুলিশ কনস্টেবল পদে জনবল নিয়োগের প্রথম দিন ছিল। শারীরিক পরীক্ষায় তার (এসআই হাকিম) ভাতিজা বাদ পড়েন।
ওই দিন দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমানের কাছে ভাতিজার জন্য সুপারিশ করতে যান এসআই হাকিম। পুলিশ সুপারের কাছে পাত্তা না পেয়ে রাগান্বিত হয়ে পড়েন এসআই হাকিম। এতে বিষয়টি সবার নজরে পড়ে যায়।
এরপর সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা ধাওয়া করলে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে তাকে ধরে আটকে রেখে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামানকে অবহিত করা হয়। চুয়াডাঙ্গা থেকে এসআই হাকিমকে আনার জন্য ওসি মহেশপুর থানাকে নির্দেশ দেন তিনি।
এ বিষয়ে মহেশপুর থানার ওসি যুগান্তরকে জানান, নির্দেশ মতো বিকাল ৫টা ১৫ মিনিটের সময় চুয়াডাঙ্গা থেকে এসআই হাকিমকে ঝিনাইদহ পুলিশ লাইনসে নিয়ে আসেন তিনি। পুলিশ সুপারের নির্দেশে এসআই হাকিমকে ওই দিনই চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, এসআই হাকিমের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার রোয়াতুলি গ্রামে। আড়াই মাস আগে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে মহেশপুর থানায় এসআই হিসেবে যোগদান করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ঝিনাইদহ জেলায় আসছে ২৬ জুন শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে। এবার ২৮ জন কনস্টেবল পদে নারী ও পুরুষ নিয়োগ দেয়া হবে।
ইতিমধ্যে সুপারিশ, প্রতারক ও দালালচক্র মুক্ত নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে মর্মে জানিয়েছেন ঝিনাইদহ জেলার পুলিশ সুপার। মাইক যোগে প্রচার করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি।
প্রাপ্ত তথ্য মতে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন দালাল ও প্রতারক চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করার জন্য মাঠে নেমেছেন। একই সঙ্গে নিয়োগ সংশ্লিষ্টদের ওপর নজর রাখছেন তারা।
রাজনৈতিক নেতারা কেউ সুপরিশ করছেন কিনা কিংবা টাকা কড়ি লেনদেন করছেন কিনা তাও খোঁজ করছেন গোয়েন্দারা। প্রথমবাবের মতো সারা দেশে পুলিশ কনস্টেবল পদে জনবল নিয়োগ নিয়ে অর্থ বানিজ্য বন্ধের জন্য এতোসব আয়োজন করা হয়েছে।