ঢাকা ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




সরগরম নওগাঁর ছাপাখানা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০৪:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩৭ বার পড়া হয়েছে

 

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ আর কয়েক দিন পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ উপলক্ষে ছাপাখানাগুলোতে প্রার্থীদের ভিড় বেড়েছে। ফলে ব্যস্ত সময় পার করছেন ছাপাখানার মালিক-শ্রমিকরা। প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ বিলম্বে হওয়ায় এক সঙ্গে সবাই ছুটেছেন ছাপাখানার দিকে। অর্ডার নেয়া কাজ যথাসময়ে সরবরাহ করতেই এখন ছাপাখানার মালিকরা ব্যতিব্যস্ত।

সরেজমিনে নওগাঁ শহরের হোটেল পট্টী ও লাইব্রেরি পট্টীর ছাপাখানা পাড়ায় দেখা গেছে বিরামহীন খটখট আওয়াজে চলছে ছাপার কাজ। মুদ্রণযন্ত্রে একদিক দিয়ে কাগজ ঢুকছে, অন্যদিক দিয়ে ছাপা হয়ে বেরিয়ে আসছে।

গত ১০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রার্থীরা প্রতীক পাওয়ার পর পোস্টার, লিফলেট ও ব্যানার তৈরিতে ছুটে এসেছেন ছাপাখানায়। ফলে সরগরম হয়ে পড়েছে ছাপাখানা পাড়া। আর তাই এ শিল্পে নিয়োজিত ডিজাইনার থেকে শুরু করে কাগজ ব্যবসায়ীসহ সবাই দিন-রাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

জেলার ছোট বড় মিলে ১০টি ছাপাখানায় এখন ব্যস্ত ভোটের প্রচার ও প্রচারণার পোস্টার তৈরিতে নিয়োজিত শ্রমিকরা। বছরের অন্যান্য সময়ে তেমন কাজ থাকে না। কিন্তু নির্বাচন এলে মালিক-শ্রমিকদের যেন দম ফেলার সময় থাকে না। বাড়তি কাজ এবং পারিশ্রমিক বেশি পাওয়ায় খুশি শ্রমিকরা। ছাপাখানার পাশাপাশি গ্রাফিকস ডিজাইন এবং ডিজিটাল প্রিন্টিংয়ের দোকানগুলো ব্যস্ত সময় পার করছে। সাদাকালোর ব্যানার, পোষ্টারের মাঝে প্রার্থীকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে ডিজাইনারদের কমতি নেই।

ছাপাখানার শ্রমিক শওকত হোসন বলেন, সারা বছর কাজ তেমন না থাকলেও নির্বাচন আসলেই আমাদের কাজের চাপ বেড়ে যায়। রাত-দিন পরিশ্রম করে কাজ ডেলিভারি দিতে হয়। বাড়তি কাজে বাড়তি টাকাও পাওয়া যায়।
আলামিন নামে আরেক শ্রমিক বলেন, দোকানে কাজের খুব চাপ। কাটিং থেকে শুরু করে বক্সে কালি দেয়া ও ছাপানোতে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে।

নওগাঁ শহরের কাঁচারী রোডে এমদাদ প্রিন্টিং প্রেসের মালিক রায়হান বলেন, ভোটের প্রতীক বরাদ্দ একসঙ্গে হওয়ায় সবপ্রার্থীরা একসঙ্গে এসেছেন ছাপাখানায়। ফলে ব্যস্ততা বেড়েছে। প্রার্থীদের কাছে বড় পোস্টার (১৮”X২৩”) চাহিদা বেশি। দুটি মেশিন দিয়ে ছাপানোর কাজ করা হচ্ছে। এক মেশিনে প্রতি ঘণ্টায় তিন থেকে সাড়ে চারশ কপি ছাপানো যায়।

শহরের লাইব্রেরি পট্টির খান ডিজিটাল সাইনের প্রোপাইটর সাইদুল আলম বলেন, শুধু ছাপাখাতেই নয়, আধুনিক ডিজাইন ও টেকসই হওয়ায় প্রার্থীদের কাছে ডিজিটাল মেশিনে পোস্টার ও ব্যানারের চাহিদাও বেড়েছে। শীতের কুশায়া কাগজের পোস্টার ভিজে নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে প্রার্থীদের কাছে ডিজিটাল পোস্টার ও ব্যানারের চাহিদা বেশি।

উল্লেখ্য, নওগাঁর ১১টি উপজেলায় ৬টি সংসদীয় আসনে এবার মোট ২৮ জন প্রার্থী নির্বাচন করছেন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সরগরম নওগাঁর ছাপাখানা

আপডেট সময় : ০১:০৪:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ডিসেম্বর ২০১৮

 

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ আর কয়েক দিন পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ উপলক্ষে ছাপাখানাগুলোতে প্রার্থীদের ভিড় বেড়েছে। ফলে ব্যস্ত সময় পার করছেন ছাপাখানার মালিক-শ্রমিকরা। প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ বিলম্বে হওয়ায় এক সঙ্গে সবাই ছুটেছেন ছাপাখানার দিকে। অর্ডার নেয়া কাজ যথাসময়ে সরবরাহ করতেই এখন ছাপাখানার মালিকরা ব্যতিব্যস্ত।

সরেজমিনে নওগাঁ শহরের হোটেল পট্টী ও লাইব্রেরি পট্টীর ছাপাখানা পাড়ায় দেখা গেছে বিরামহীন খটখট আওয়াজে চলছে ছাপার কাজ। মুদ্রণযন্ত্রে একদিক দিয়ে কাগজ ঢুকছে, অন্যদিক দিয়ে ছাপা হয়ে বেরিয়ে আসছে।

গত ১০ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রার্থীরা প্রতীক পাওয়ার পর পোস্টার, লিফলেট ও ব্যানার তৈরিতে ছুটে এসেছেন ছাপাখানায়। ফলে সরগরম হয়ে পড়েছে ছাপাখানা পাড়া। আর তাই এ শিল্পে নিয়োজিত ডিজাইনার থেকে শুরু করে কাগজ ব্যবসায়ীসহ সবাই দিন-রাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

জেলার ছোট বড় মিলে ১০টি ছাপাখানায় এখন ব্যস্ত ভোটের প্রচার ও প্রচারণার পোস্টার তৈরিতে নিয়োজিত শ্রমিকরা। বছরের অন্যান্য সময়ে তেমন কাজ থাকে না। কিন্তু নির্বাচন এলে মালিক-শ্রমিকদের যেন দম ফেলার সময় থাকে না। বাড়তি কাজ এবং পারিশ্রমিক বেশি পাওয়ায় খুশি শ্রমিকরা। ছাপাখানার পাশাপাশি গ্রাফিকস ডিজাইন এবং ডিজিটাল প্রিন্টিংয়ের দোকানগুলো ব্যস্ত সময় পার করছে। সাদাকালোর ব্যানার, পোষ্টারের মাঝে প্রার্থীকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে ডিজাইনারদের কমতি নেই।

ছাপাখানার শ্রমিক শওকত হোসন বলেন, সারা বছর কাজ তেমন না থাকলেও নির্বাচন আসলেই আমাদের কাজের চাপ বেড়ে যায়। রাত-দিন পরিশ্রম করে কাজ ডেলিভারি দিতে হয়। বাড়তি কাজে বাড়তি টাকাও পাওয়া যায়।
আলামিন নামে আরেক শ্রমিক বলেন, দোকানে কাজের খুব চাপ। কাটিং থেকে শুরু করে বক্সে কালি দেয়া ও ছাপানোতে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে।

নওগাঁ শহরের কাঁচারী রোডে এমদাদ প্রিন্টিং প্রেসের মালিক রায়হান বলেন, ভোটের প্রতীক বরাদ্দ একসঙ্গে হওয়ায় সবপ্রার্থীরা একসঙ্গে এসেছেন ছাপাখানায়। ফলে ব্যস্ততা বেড়েছে। প্রার্থীদের কাছে বড় পোস্টার (১৮”X২৩”) চাহিদা বেশি। দুটি মেশিন দিয়ে ছাপানোর কাজ করা হচ্ছে। এক মেশিনে প্রতি ঘণ্টায় তিন থেকে সাড়ে চারশ কপি ছাপানো যায়।

শহরের লাইব্রেরি পট্টির খান ডিজিটাল সাইনের প্রোপাইটর সাইদুল আলম বলেন, শুধু ছাপাখাতেই নয়, আধুনিক ডিজাইন ও টেকসই হওয়ায় প্রার্থীদের কাছে ডিজিটাল মেশিনে পোস্টার ও ব্যানারের চাহিদাও বেড়েছে। শীতের কুশায়া কাগজের পোস্টার ভিজে নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে প্রার্থীদের কাছে ডিজিটাল পোস্টার ও ব্যানারের চাহিদা বেশি।

উল্লেখ্য, নওগাঁর ১১টি উপজেলায় ৬টি সংসদীয় আসনে এবার মোট ২৮ জন প্রার্থী নির্বাচন করছেন