ঢাকা ০৬:৩০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




বিলুপ্তির পথে দেশীয় ‘আটিয়া কলা’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০১৯ ৮৫ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও;
এক সময় গ্রামের মানুষ আটিয়া কলা, দুধ, দই, চিড়া ও মুড়ি দিয়ে সকালের নাস্তা করতো। কালের বিবর্তনে এসব দেশীয় খাবারের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যেতে বসেছে ‘আটিয়া কলা’।

দেশি আটিয়া কলা মোটা ও লম্বা হয়। এ কলায় অনেক ভিটামিন ও প্রোটিন রয়েছে। গ্রামে এখনো প্রচলিত আছে, আটিয়া কলা ও চিড়া খেলে পাতলা পায়খানা কমে যায়।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৪নং বড়গাও ইউনিয়নের মোলান খুড়ি গ্রামের ৭০ বছরের বয়সের বৃদ্ধ রশিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দেশি আটিয়া কলা এক সময়ের জনপ্রিয় খাবার ছিল। আমি ছোট থেকে দেখে এসেছি আমার বাবা প্রতিদিন সকালে দেশি আটিয়া কলা, দুধ, চিড়া দিয়ে নাস্তা করতেন। আমার বাবা আমাকে বলেছিলেন, যদি কারো পাতলা পায়খানা হয় তাহলে দেশি আটিয়া কলা আর দুধ, চিড়া খেলে ভাল হয়ে যায়।

কলা ব্যবসায়ী আমিনুল  বলেন, দেশি আটিয়া কলা এখন খুবই কম পাওয়া যায়। কিছু কিছু গ্রামে আটিয়া কলা পাওয়া যায়। তবে আগে অনেক পাওয়া যেত এখন তা কমে এসেছে। তবে এখনো কিছু কিছু গ্রামের মানুষ এই কলা খোঁজ করে।.ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, একটি বড় মাপের কলা খেলে ১০০ ক্যালরির বেশি শক্তি পাওয়া যায়। কলাতে রয়েছে সহজে হজমযোগ্য শর্করা। শর্করা পরিপাকতন্ত্রকে সহজে হজম করতে সাহায্য করে।

গবেষকেরা জানান, আটিয়া কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ নিশ্চিত করে। এ কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, এ কলার বিচি বেশি হওয়ার কারণে কেউ বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে না। তবে গ্রামের বাড়ির আশপাশে এ কলার গাছ দেখা যায়‌। বাণিজ্যিকভাবে চাষ করলে আটিয়া কলা টিকিয়ে রাখা সম্ভব।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বিলুপ্তির পথে দেশীয় ‘আটিয়া কলা’

আপডেট সময় : ১০:১০:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ জুন ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও;
এক সময় গ্রামের মানুষ আটিয়া কলা, দুধ, দই, চিড়া ও মুড়ি দিয়ে সকালের নাস্তা করতো। কালের বিবর্তনে এসব দেশীয় খাবারের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যেতে বসেছে ‘আটিয়া কলা’।

দেশি আটিয়া কলা মোটা ও লম্বা হয়। এ কলায় অনেক ভিটামিন ও প্রোটিন রয়েছে। গ্রামে এখনো প্রচলিত আছে, আটিয়া কলা ও চিড়া খেলে পাতলা পায়খানা কমে যায়।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৪নং বড়গাও ইউনিয়নের মোলান খুড়ি গ্রামের ৭০ বছরের বয়সের বৃদ্ধ রশিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দেশি আটিয়া কলা এক সময়ের জনপ্রিয় খাবার ছিল। আমি ছোট থেকে দেখে এসেছি আমার বাবা প্রতিদিন সকালে দেশি আটিয়া কলা, দুধ, চিড়া দিয়ে নাস্তা করতেন। আমার বাবা আমাকে বলেছিলেন, যদি কারো পাতলা পায়খানা হয় তাহলে দেশি আটিয়া কলা আর দুধ, চিড়া খেলে ভাল হয়ে যায়।

কলা ব্যবসায়ী আমিনুল  বলেন, দেশি আটিয়া কলা এখন খুবই কম পাওয়া যায়। কিছু কিছু গ্রামে আটিয়া কলা পাওয়া যায়। তবে আগে অনেক পাওয়া যেত এখন তা কমে এসেছে। তবে এখনো কিছু কিছু গ্রামের মানুষ এই কলা খোঁজ করে।.ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, একটি বড় মাপের কলা খেলে ১০০ ক্যালরির বেশি শক্তি পাওয়া যায়। কলাতে রয়েছে সহজে হজমযোগ্য শর্করা। শর্করা পরিপাকতন্ত্রকে সহজে হজম করতে সাহায্য করে।

গবেষকেরা জানান, আটিয়া কলা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ এবং স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহ নিশ্চিত করে। এ কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান জানান, এ কলার বিচি বেশি হওয়ার কারণে কেউ বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে না। তবে গ্রামের বাড়ির আশপাশে এ কলার গাছ দেখা যায়‌। বাণিজ্যিকভাবে চাষ করলে আটিয়া কলা টিকিয়ে রাখা সম্ভব।