ঢাকা ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




২০ বছর পর হাঁটতে শিখেছে শিশু চম্পা !

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯ ৭৭ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি;
২০ বছর বয়স হলেও শিশুই রয়ে গেছে চম্পা। চার মাস আগেও চম্পার একমাত্র আশ্রয় ছিল বড় বোন ময়না ও মা মিনুয়ারার কোল। এখন সে হাঁটতে পারে। ঝিনাইদহ শহরের আলফালাহ হাসপাতালে ডা. অলোক কুমার সাহার চেম্বারে গিয়ে দেখা যায় চম্পা দুষ্টামি করাসহ মেঝেজুড়ে হাঁটাহাঁটি আর অন্য শিশুদের সঙ্গে খুনসুটি করে বেড়াচ্ছে।

চার মাস আগে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২০ বছর বয়সী শিশু চম্পার দুর্বিষহ জীবন কাটানোর খবর প্রকাশিত হলে চিকিৎসার দায়িত্ব নেন শিশু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. অলোক কুমার সাহা। ডাক্তারের ওষুধ সেবন করে চার মাসের মধ্যে কোল থেকে নেমে কেবল হাঁটা শিখেছে চম্পা।

২০ বছর বয়সী চম্পা খাতুন ‘শিশু’ কেবল হাসতে আর কাঁদতে পারতো। বয়স বাড়লেও বাড়েনি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। নেই শরীরের কোনো পরিবর্তন। যে বয়সে পড়ালেখা বা বিয়ের রঙ্গিন স্বপ্ন থাকার কথা সেই বয়সে চম্পা মায়ের কোলে চেপে বসে থাকে।

এখন তার শারীরিক বৃদ্ধির অপেক্ষা। চম্পা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের হাসেম আলী মোল্লার মেয়ে। বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী হিসেবে সমাজসেবা থেকে তার নাম নিবন্ধিত করা হয়েছে। সে থাইরয়েডিজম রোগে আক্রান্ত।

চম্পার মা মিনুয়ারা বেগম জানান, ১৯৯৯ সালের ২৮ এপ্রিল চম্পা খাতুনের জন্ম। জন্মের পর থেকে সে প্রতিবন্ধী। আচরণ করে শিশুর মতো। কোনো কথা বলতে পারে না। কেবল হাসতে আর কাঁদতে পারে। সারাক্ষণ মানুষের কোলে কোলেই তার দিন কাটাতো। চার মাস চিকিৎসার পর এখন সে হাঁটতে পারছে।

শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. অলোক কুমার সাহা জানান, এ রোগটিকে বলে থাইরয়েডিজম। শিশুকাল থেকে চিকিৎসা করা হলে রোগটি ভালো হতো। কিন্তু এখন তার শারীরিক বৃদ্ধির বিষয়টি রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে।

তিনি বলেন, থাইরয়েড পরীক্ষার পর এ রোগের চিকিৎসা শুরু করে চার মাসে চম্পা হাটতে শিখেছে। তিনি আরও বলেন, ২০ বছরের শিশু চম্পা আরও বড় হবে। তার বুদ্ধি বাড়বে। নিজের কাজ নিজে করতে পারবে বলে তিনি আশা করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




২০ বছর পর হাঁটতে শিখেছে শিশু চম্পা !

আপডেট সময় : ০৮:৫৭:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি;
২০ বছর বয়স হলেও শিশুই রয়ে গেছে চম্পা। চার মাস আগেও চম্পার একমাত্র আশ্রয় ছিল বড় বোন ময়না ও মা মিনুয়ারার কোল। এখন সে হাঁটতে পারে। ঝিনাইদহ শহরের আলফালাহ হাসপাতালে ডা. অলোক কুমার সাহার চেম্বারে গিয়ে দেখা যায় চম্পা দুষ্টামি করাসহ মেঝেজুড়ে হাঁটাহাঁটি আর অন্য শিশুদের সঙ্গে খুনসুটি করে বেড়াচ্ছে।

চার মাস আগে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ২০ বছর বয়সী শিশু চম্পার দুর্বিষহ জীবন কাটানোর খবর প্রকাশিত হলে চিকিৎসার দায়িত্ব নেন শিশু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. অলোক কুমার সাহা। ডাক্তারের ওষুধ সেবন করে চার মাসের মধ্যে কোল থেকে নেমে কেবল হাঁটা শিখেছে চম্পা।

২০ বছর বয়সী চম্পা খাতুন ‘শিশু’ কেবল হাসতে আর কাঁদতে পারতো। বয়স বাড়লেও বাড়েনি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। নেই শরীরের কোনো পরিবর্তন। যে বয়সে পড়ালেখা বা বিয়ের রঙ্গিন স্বপ্ন থাকার কথা সেই বয়সে চম্পা মায়ের কোলে চেপে বসে থাকে।

এখন তার শারীরিক বৃদ্ধির অপেক্ষা। চম্পা ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের হাসেম আলী মোল্লার মেয়ে। বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধী হিসেবে সমাজসেবা থেকে তার নাম নিবন্ধিত করা হয়েছে। সে থাইরয়েডিজম রোগে আক্রান্ত।

চম্পার মা মিনুয়ারা বেগম জানান, ১৯৯৯ সালের ২৮ এপ্রিল চম্পা খাতুনের জন্ম। জন্মের পর থেকে সে প্রতিবন্ধী। আচরণ করে শিশুর মতো। কোনো কথা বলতে পারে না। কেবল হাসতে আর কাঁদতে পারে। সারাক্ষণ মানুষের কোলে কোলেই তার দিন কাটাতো। চার মাস চিকিৎসার পর এখন সে হাঁটতে পারছে।

শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. অলোক কুমার সাহা জানান, এ রোগটিকে বলে থাইরয়েডিজম। শিশুকাল থেকে চিকিৎসা করা হলে রোগটি ভালো হতো। কিন্তু এখন তার শারীরিক বৃদ্ধির বিষয়টি রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে।

তিনি বলেন, থাইরয়েড পরীক্ষার পর এ রোগের চিকিৎসা শুরু করে চার মাসে চম্পা হাটতে শিখেছে। তিনি আরও বলেন, ২০ বছরের শিশু চম্পা আরও বড় হবে। তার বুদ্ধি বাড়বে। নিজের কাজ নিজে করতে পারবে বলে তিনি আশা করছেন।