ঢাকা ০১:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




গুপ্তধনের লোভে সর্বস্বান্ত ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি;
‘জিনের বাদশা’র খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত ঠাকুরগাঁওয়ের এক কৃষক। জেলার সদর উপজেলার উত্তর হরিহরপুর গ্রামের ওই কৃষক পরিবার জমি ও গরু বিক্রির আড়াই লাখ খুইয়ে এখন আর্তনাদ করছেন।

সাত কলস গুপ্তধন পাওয়ার লোভে আড়াই লাখ টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন কথিত জিনের বাদশার বিকাশ অ্যাকাউন্টে। নিরাপত্তা ও প্রাণের ভয়ে প্রতারিত পরিবারটি আইনের আশ্রয় নেননি বলে জানান তারা।

পরিবারটি জানায়, নিজেকে জিনের বাদশাহ পরিচয় দেয়ার পর ওই প্রতারক প্রথমে তাদের সঠিকভাবে নামাজ আদায় করতে বলে। এরপর জানানো হয় তাদের ভাগ্যে স্বর্ণবোঝাই পাতিল আছে। কিছু নিয়ম মেনে চললে এসব পাওয়া যাবে। আর এতে তারা একবারে ধনী হয়ে যাবেন। বিনিময়ে প্রথমে মাদ্রাসা মসজিদ তৈরির জন্য কিছু টাকা বিকাশ করতে বলে।

গত ১৬ মে রাত ১২টার দিকে এক প্রতারক কণ্ঠ বিকৃত করে সদর উপজেলার রহিমান পুর ইউনিয়নের উত্তর হরিহরপুর গ্রামে দরিদ্র কৃষক মো. বাবুর মোবাইলে ফোন দেয়।

প্রতারক ফোনে চক্র বলে, বগুড়ার শাহ সুলতান মাজারে গুপ্তধন আছে। এই গুপ্তধন পাইতে গেলে মাদ্রাসা ও মসজিদ তৈরি করতে হবে। এর নাম করে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।

এর কয়েদিন পর কথিত জিনের বাদশা আরও টাকা দাবি করে। টাকা দিলে প্রতারিত পরিবারটি সাত কলস গুপ্তধন ও একটি সোনার মূর্তি পাওয়ার আশ্বাস দেন। এভাবে ২২ মে আরও ২ লাখ হাতিয়ে নেয়।

পর দিন রাতে ঠাকুরগাঁও শহরের বাস টার্মিনালঘেষা আদর্শ কোলোনি সড়কে একটি নিদিষ্ট স্থানে স্বর্ণের আবরণে একটি পুতুল কৃষক পরিবারটিকে নিয়ে যেতে বলে প্রতারক চক্রটি। পুতুলটি ওই স্থান থেকে তুলে নিয়ে প্রথমে খুশি হলেও পরে দেখে এটি অন্য কোনো ধাতুর তৈরি মূর্তি।

এরপর থেকে জিনের বাদশার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তবুও সন্দেহ মেটাতে পুতুলটি স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছে পরীক্ষা করে জানতে পারেন ওটা অন্য কোনো ধাতুর ওপর স্বর্ণের প্রলেপ দেয়া।

সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




গুপ্তধনের লোভে সর্বস্বান্ত ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষক!

আপডেট সময় : ০৮:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি;
‘জিনের বাদশা’র খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত ঠাকুরগাঁওয়ের এক কৃষক। জেলার সদর উপজেলার উত্তর হরিহরপুর গ্রামের ওই কৃষক পরিবার জমি ও গরু বিক্রির আড়াই লাখ খুইয়ে এখন আর্তনাদ করছেন।

সাত কলস গুপ্তধন পাওয়ার লোভে আড়াই লাখ টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন কথিত জিনের বাদশার বিকাশ অ্যাকাউন্টে। নিরাপত্তা ও প্রাণের ভয়ে প্রতারিত পরিবারটি আইনের আশ্রয় নেননি বলে জানান তারা।

পরিবারটি জানায়, নিজেকে জিনের বাদশাহ পরিচয় দেয়ার পর ওই প্রতারক প্রথমে তাদের সঠিকভাবে নামাজ আদায় করতে বলে। এরপর জানানো হয় তাদের ভাগ্যে স্বর্ণবোঝাই পাতিল আছে। কিছু নিয়ম মেনে চললে এসব পাওয়া যাবে। আর এতে তারা একবারে ধনী হয়ে যাবেন। বিনিময়ে প্রথমে মাদ্রাসা মসজিদ তৈরির জন্য কিছু টাকা বিকাশ করতে বলে।

গত ১৬ মে রাত ১২টার দিকে এক প্রতারক কণ্ঠ বিকৃত করে সদর উপজেলার রহিমান পুর ইউনিয়নের উত্তর হরিহরপুর গ্রামে দরিদ্র কৃষক মো. বাবুর মোবাইলে ফোন দেয়।

প্রতারক ফোনে চক্র বলে, বগুড়ার শাহ সুলতান মাজারে গুপ্তধন আছে। এই গুপ্তধন পাইতে গেলে মাদ্রাসা ও মসজিদ তৈরি করতে হবে। এর নাম করে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।

এর কয়েদিন পর কথিত জিনের বাদশা আরও টাকা দাবি করে। টাকা দিলে প্রতারিত পরিবারটি সাত কলস গুপ্তধন ও একটি সোনার মূর্তি পাওয়ার আশ্বাস দেন। এভাবে ২২ মে আরও ২ লাখ হাতিয়ে নেয়।

পর দিন রাতে ঠাকুরগাঁও শহরের বাস টার্মিনালঘেষা আদর্শ কোলোনি সড়কে একটি নিদিষ্ট স্থানে স্বর্ণের আবরণে একটি পুতুল কৃষক পরিবারটিকে নিয়ে যেতে বলে প্রতারক চক্রটি। পুতুলটি ওই স্থান থেকে তুলে নিয়ে প্রথমে খুশি হলেও পরে দেখে এটি অন্য কোনো ধাতুর তৈরি মূর্তি।

এরপর থেকে জিনের বাদশার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। তবুও সন্দেহ মেটাতে পুতুলটি স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছে পরীক্ষা করে জানতে পারেন ওটা অন্য কোনো ধাতুর ওপর স্বর্ণের প্রলেপ দেয়া।

সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, বিষয়টি শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।