ঢাকা ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




মঠবাড়িয়ায় নৌকা সমর্থকদের ওপর হামলা, মা-মেয়ে আহত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২০:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯ ৫৯ বার পড়া হয়েছে

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত নৌকা সমর্থক ও নেতাকর্মীদের ওপর বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হামলা থামছেই না।

নির্বাচন পরবর্তী গত তিন দিনে পৌরশহর ও উপজেলার ১১ ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় পরাজিত নৌকা প্রার্থীর নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপরসহ তাদের বসত বাড়িতে একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার সকালে নৌকা প্রার্থী হোসাইন মোশারফ সাকুর সমর্থক উপজেলার মিরুখালীর কাটাখালী গ্রামের কৃষক হাসান (৪৫) ঘর থেকে মাঠে কৃষি কাজে যাবার পথে বিজয়ী চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিনের সমর্থক নবী হোসেন, বাদশা ও শাজাহান দলবল নিয়ে হামলা করে আহত করে।

এ সময় তার ছোট ভাই নির্মাণ শ্রমিক নুর মোহাম্মদ (৩৫) বড় ভাইকে বাঁচাতে এলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। আহত দুই ভাইকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

অপরদিকে শুক্রবার সকালে নৌকার কর্মী মিরুখালী বাজারের ফল ব্যবসায়ী ও ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফার ছোটহারজী গ্রামে তার বাড়িতে না পেয়ে বিজয়ী প্রার্থীর কর্মী রাজু, জসিম ও হানিফসহ দলবলসহ মোস্তফার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৩৫) ও কলেজ পড়ুয়া মেয়ে নাদিরাকে (১৮) লাঞ্ছিত ও পিটিয়ে জখম করে। আহত মা-মেয়েকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত মা-মেয়ে অভিযোগ করে বলেন, ওই হামলাকারীরা মিরুখালী বাজারে আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট করে বন্ধ করে দেয়। তারা আরও বলেন, মোস্তফা নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর থেকে হামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রাজারহাট গ্রামে নৌকা সমর্থক নারী ইউপি সদস্য খাদিজা ইলিয়াসের বসতঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় ওই দিন রাতে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ওই মামলায় বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক দাউদখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রজলুর রহমান সরদারসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশ ইদ্রিস নামে একজনকে গ্রেফতার করে।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ছোট শিংগা গ্রামে গভীর রাতে শংকর হালদার, চিত্তরঞ্জন গাইন, চঞ্চল গাইন, বিশ্বজিৎ গাইন, অমৃত গাইন, স্বপন মিস্ত্রি, পারুলেরসহ এক সঙ্গে ৭টি কুটারকুট (খড়ের) গাদায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বলছে, উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যক্তিগত শত্রুতা মেটানোর জন্য এ হামলা করছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস অভিযোগ করেন, নৌকা প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা আমাদের অগনিত নেতাকর্মীর ওপর হামলা করছে।

তিনি আরও বলেন, নৌকার কর্মী-সমর্থকদের বসতঘরেও হামলার ঘটনা ঘটছে। এমনকি সংখ্যালঘুরা হামলার শিকার হয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, মা ও মেয়ের ওপর হামলার ঘটনাটি আমার জানা নেই। নির্বাচনের আগে হামলার জের ধরে দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। যা আমি কঠোর হস্তে দমন করার চেষ্টা করছি।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি সৈয়দ আবদুল্লাহ বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ঠেকাতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। মা ও মেয়ের ওপর হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মঠবাড়িয়ায় নৌকা সমর্থকদের ওপর হামলা, মা-মেয়ে আহত

আপডেট সময় : ০৮:২০:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে পরাজিত নৌকা সমর্থক ও নেতাকর্মীদের ওপর বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হামলা থামছেই না।

নির্বাচন পরবর্তী গত তিন দিনে পৌরশহর ও উপজেলার ১১ ইউনিয়নে বিভিন্ন এলাকায় পরাজিত নৌকা প্রার্থীর নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ওপরসহ তাদের বসত বাড়িতে একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার সকালে নৌকা প্রার্থী হোসাইন মোশারফ সাকুর সমর্থক উপজেলার মিরুখালীর কাটাখালী গ্রামের কৃষক হাসান (৪৫) ঘর থেকে মাঠে কৃষি কাজে যাবার পথে বিজয়ী চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিনের সমর্থক নবী হোসেন, বাদশা ও শাজাহান দলবল নিয়ে হামলা করে আহত করে।

এ সময় তার ছোট ভাই নির্মাণ শ্রমিক নুর মোহাম্মদ (৩৫) বড় ভাইকে বাঁচাতে এলে তাকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। আহত দুই ভাইকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

অপরদিকে শুক্রবার সকালে নৌকার কর্মী মিরুখালী বাজারের ফল ব্যবসায়ী ও ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফার ছোটহারজী গ্রামে তার বাড়িতে না পেয়ে বিজয়ী প্রার্থীর কর্মী রাজু, জসিম ও হানিফসহ দলবলসহ মোস্তফার স্ত্রী জাহানারা বেগম (৩৫) ও কলেজ পড়ুয়া মেয়ে নাদিরাকে (১৮) লাঞ্ছিত ও পিটিয়ে জখম করে। আহত মা-মেয়েকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত মা-মেয়ে অভিযোগ করে বলেন, ওই হামলাকারীরা মিরুখালী বাজারে আমাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট করে বন্ধ করে দেয়। তারা আরও বলেন, মোস্তফা নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর থেকে হামলার ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার রাজারহাট গ্রামে নৌকা সমর্থক নারী ইউপি সদস্য খাদিজা ইলিয়াসের বসতঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় ওই দিন রাতে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ওই মামলায় বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক দাউদখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রজলুর রহমান সরদারসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশ ইদ্রিস নামে একজনকে গ্রেফতার করে।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ছোট শিংগা গ্রামে গভীর রাতে শংকর হালদার, চিত্তরঞ্জন গাইন, চঞ্চল গাইন, বিশ্বজিৎ গাইন, অমৃত গাইন, স্বপন মিস্ত্রি, পারুলেরসহ এক সঙ্গে ৭টি কুটারকুট (খড়ের) গাদায় আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো বলছে, উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যক্তিগত শত্রুতা মেটানোর জন্য এ হামলা করছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস অভিযোগ করেন, নৌকা প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় স্বতন্ত্র বিজয়ী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা আমাদের অগনিত নেতাকর্মীর ওপর হামলা করছে।

তিনি আরও বলেন, নৌকার কর্মী-সমর্থকদের বসতঘরেও হামলার ঘটনা ঘটছে। এমনকি সংখ্যালঘুরা হামলার শিকার হয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।

বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, মা ও মেয়ের ওপর হামলার ঘটনাটি আমার জানা নেই। নির্বাচনের আগে হামলার জের ধরে দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। যা আমি কঠোর হস্তে দমন করার চেষ্টা করছি।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি সৈয়দ আবদুল্লাহ বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা ঠেকাতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। মা ও মেয়ের ওপর হামলার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।