৩৯ স্ত্রী নিয়ে এক স্বামীর সংসার!
- আপডেট সময় : ০৯:৫৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ জুন ২০১৯ ৯৭ বার পড়া হয়েছে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক;
বর্তমান যুগে বেশিরভাগ সবার পরিবারই ছোট। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় বিয়ের পর ছেলেরা নিজের বাবা-মা কে ছেড়ে স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা থাকছে। এখন বড় পরিবার খুব একটা চোখে পড়ে না। কিন্তু ভারতে এমন এক ব্যক্তি আছেন যিনি বিশ্বের সবচেয়ে বড় পরিবারের মালিক।
ভারতের মিজোরাম রাজ্যের বাসিন্দা জিওনা চানা। লোকজন যেখানে পরিবারের দু’তিন জনের খরচ বহন করতে হিমসিম খেয়ে যান সেখানে এই ব্যক্তি তার ৩৯ জন স্ত্রী, ৯৪ জন সন্তান, ১৪ জন ছেলের বউ এবং ৩৩ জন নাতি-নাতনি নিয়ে একসাথে বসবাস করছেন। জিওনার চার তলার বাড়িতে ১০০ টা ঘর রয়েছে। আর সবাই একসাথে সেই বাড়িতেই থাকে। পেশাগতভাবে জিওনা একজন কাঠমিস্ত্রী।
তার পুরো পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ১৮১ জন। তিনি ১৭ বছর বয়সে যাথিয়াঙ্গি নামের এক নারীকে প্রথম বিয়ে করেন। এরপর একে একে আরও ৩৮ জনকে বিয়ে করেছেন। তবে এখনো তার বিয়ে করার ইচ্ছে আছে বলে জানিয়েছেন জিওনা। পুরো পরিবারেই একটি সেনাবাহিনীর মত নিয়ম বলবত্ রয়েছে।
জিওনার প্রথম স্ত্রী যাথিয়াঙ্গী প্রতিদিন সকালে সবাইকে তাদের কাজের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। এই পরিবারের প্রতিদিন খাবারের জন্য ৬০ কেজি আলু এবং প্রায় ১০০ কেজি চাল প্রয়োজন লাগে। আর কোনোদিন মাংস রান্না হলে প্রায় ৩০ কেজির মতো মুরগীর মাংস প্রয়োজন হয়।
মিজোরামের পাহাড়ি এলাকার সবচেয়ে বড় কংক্রীট স্ট্রাকচারের বাড়ি রয়েছে জিওনার। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে ঈশ্বর প্রদত্ত সন্তান বলে মনে করি। কারণ তিনি আমাকে এতজনের দেখাশোনা করার দায়িত্ব দিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিজেকে অত্যন্ত ভাগ্যবান স্বামী মনে করি। আমার ৩৯ জন স্ত্রী রয়েছে এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পরিবারের প্রধান কর্তা আমি।’
কাকতালীয়ভাবে জিওনা সেখানকার একটি সম্প্রদায়েরও প্রধান। ওই সম্প্রদায়ের লোকজনকে যত খুশি বিয়ে করতে পারে। তবে জিওনা বড় ডাবল বেডে একা ঘুমাতেই পছন্দ করেন এবং তার সব স্ত্রী একটি বড় হলে একসাথে ঘুমান।
সবচেয়ে কম বয়সী স্ত্রীদের নিজের আশেপাশেই রাখতে পছন্দ করেন তিনি এবং তাদেরকে নিজের ঘরের কাছাকাছিই রাখেন। আর বয়স্ক স্ত্রীরা দূরেই থাকেন। জিওনা একেক সময় একেক স্ত্রীর সঙ্গে রাত কাটান।
জিওনার ৩৫ বছর বয়সী স্ত্রী রিঙ্কমিনি বলেন, ‘আমরা সবসময়ই তার ঘরের কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করতাম। কারণ তিনিই বাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তিনিই হলেন আমাদের গ্রামের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ।’