ঢাকা ০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিএনপি নেতা মাহিদুর রহমান নেতৃত্বের বিস্ময় Logo স্বৈরাচারের দোসর প্রধান বিচারপতির ধর্ম ছেলে পরিচয়ে মোজাম্মেলের অধর্ম! Logo রাজধানীতে মার্কেট দখল করতে গিয়ে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আটক Logo স্কুলের ভেতরে নিয়মিত চলে তাশ ও জুয়া! Logo চাঁদা চাওয়ায় দাকোপে ৫ আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা Logo ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আল আমিন সম্পাদক শামসউদ্দিন Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর উদ্যোগে দুমকিতে ক্যারিয়ার সামিট অনুষ্ঠিত Logo সওজ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রচারিত প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ Logo বিপ্লবী গান, আবৃত্তি এবং কাওয়ালী গানে মেতেছে আশা বিশ্ববিদ্যালয় Logo ছত্রিশ টাকার নকলনবীশ প্রভাবশালী কোটিপতি!




ব্রণের ইনফেকশন দেখতে তরুণীর গালে চুমু, স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিলেন চিকিৎসক!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:১২:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০১৯ ১১৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;
রাজধানীর ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন এক তরুণী। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওই তরুণী জানান, শনিবার (১৫ জুন) তার সাথে অশালীন আচরণ করেন চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ এবং লেজার কসমেটিক সার্জন ডা. মো. শওকত হায়দার। ব্রণের ইনফেকশন আছে কিনা দেখার ছলে ওই ডাক্তার তার গালে চুম্বন করেছেন বলে অভিযোগ করেন ওই তরুণী। ঘটনার পর পরই পপুলার হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও করেন তিনি।

এরপর বাসায় ফিরে ওই তরুণী ডাক্তারের কাছে ফোন করে তার কৃতকর্মের কারণ জানতে চাইলে ডা. শওকত বলেন, ‘ওটা কিছু না, ইনফেকশন আছে কিনা দেখছিলাম।’ পরে তরুণী বলেন, ‘এমন তো আমি কখনো দেখিনি, ইনফেকশন আছে কিনা সেটা কোনো ডাক্তার কি ঠোঁট দিয়ে চেক করে?’ এসময় ডাক্তার শওকত হায়দার ওই তরুণীকে বলেন, তিনি দুঃখিত।

ঘটনার বিবরণে ওই তরুণী জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ত্বকে ব্রণের সমস্যা নিয়ে পরিচিত একজনের রেফারেন্সে প্রথমবার পপুলার হাসপাতালের ওই ডাক্তারের কাছে যান তিনি। পরবর্তীতে চিকিৎসার প্রয়োজনে আরো কয়েকবার প্রায় বাবার বয়সী ডাক্তারের কাছে যান তিনি।
সর্বশেষ গত শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে ওই তরুণী ডা. শওকতকে জানান তার ত্বকের সমস্যা আবার বেড়েছে, রাতে তিনি চেম্বারে বসবেন কিনা? এসময় ওই ডাক্তার চেম্বারেই আছেন জানিয়ে মেয়েটিকে তখনই যেতে বলেন।

পরে ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে ওই তরুণী জানতে চান তার সমস্যার কোনো স্থায়ী সমাধান আছে কিনা। এসময় সেই ডা. শওকত বলেন, যদি সে চায় তবে একটা ইনজেকশন দেয়া যেতে পারে। তবে ইনজেকশনটি কোমরে দিতে হবে। মেয়েটির ইতস্ততভাব দেখে ওই ডাক্তার তাকে বলেন, কাপড়ের উপর দিয়েই ইনজেকশন দেয়া যাবে।

মেয়েটি তার অভিযোগে জানায়, ইনজেকশন দিতে রাজি হয়ে পেসেন্ট টেবিলে শুলে ওই ডাক্তার মেয়েটির বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতে থাকেন। মেয়েটি প্রতিবাদ করলে তিনি বলেন, কোথায় ইনজেকশন দিলে ভালো হয় তা চেক করে দেখছিলেন তিনি।

পরে ওই তরুণী সেই ইনজেকশন হাতেই দিতে বলেন। ওই তরুণী অভিযোগ করেন, ডাক্তার ইনজেকশন দেবার পর তুলা দিয়ে চেপে না ধরে না তার জামার ভিতর হাত ঢুকিয়ে দেন। এ অবস্থায় মেয়েটি তাড়াতাড়ি সরে এসে ডাক্তারের ফিস দিয়ে চেম্বার থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। এসময় সেই ডাক্তার আরেকবার তার গালের ইনফেকশনটি দেখতে চান। গাল দেখার ছলে ডা. শওকত ওই তরুণীকে চুম্বন করেন।

এ ঘটনায় পপুলার হাসপাতালের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান অচিন্ত্যকুমার নাগের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই তরুণী। এসময় তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

সংবাদ মাকধমকেপপুলার হাসপাতালের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান অচিন্ত্যকুমার নাগ জানান, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তারা বিব্রতবোধ করছেন। দ্রুতই তদন্তসাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তারা। অপরাধীকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

সময় টিভির সৌজন্যে একটি অডিও রেকর্ড লিংক দেয়া হলো:

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ব্রণের ইনফেকশন দেখতে তরুণীর গালে চুমু, স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিলেন চিকিৎসক!

আপডেট সময় : ০৪:১২:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুন ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;
রাজধানীর ধানমন্ডি পপুলার হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন এক তরুণী। ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওই তরুণী জানান, শনিবার (১৫ জুন) তার সাথে অশালীন আচরণ করেন চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ এবং লেজার কসমেটিক সার্জন ডা. মো. শওকত হায়দার। ব্রণের ইনফেকশন আছে কিনা দেখার ছলে ওই ডাক্তার তার গালে চুম্বন করেছেন বলে অভিযোগ করেন ওই তরুণী। ঘটনার পর পরই পপুলার হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও করেন তিনি।

এরপর বাসায় ফিরে ওই তরুণী ডাক্তারের কাছে ফোন করে তার কৃতকর্মের কারণ জানতে চাইলে ডা. শওকত বলেন, ‘ওটা কিছু না, ইনফেকশন আছে কিনা দেখছিলাম।’ পরে তরুণী বলেন, ‘এমন তো আমি কখনো দেখিনি, ইনফেকশন আছে কিনা সেটা কোনো ডাক্তার কি ঠোঁট দিয়ে চেক করে?’ এসময় ডাক্তার শওকত হায়দার ওই তরুণীকে বলেন, তিনি দুঃখিত।

ঘটনার বিবরণে ওই তরুণী জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ত্বকে ব্রণের সমস্যা নিয়ে পরিচিত একজনের রেফারেন্সে প্রথমবার পপুলার হাসপাতালের ওই ডাক্তারের কাছে যান তিনি। পরবর্তীতে চিকিৎসার প্রয়োজনে আরো কয়েকবার প্রায় বাবার বয়সী ডাক্তারের কাছে যান তিনি।
সর্বশেষ গত শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে ওই তরুণী ডা. শওকতকে জানান তার ত্বকের সমস্যা আবার বেড়েছে, রাতে তিনি চেম্বারে বসবেন কিনা? এসময় ওই ডাক্তার চেম্বারেই আছেন জানিয়ে মেয়েটিকে তখনই যেতে বলেন।

পরে ডাক্তারের চেম্বারে গিয়ে ওই তরুণী জানতে চান তার সমস্যার কোনো স্থায়ী সমাধান আছে কিনা। এসময় সেই ডা. শওকত বলেন, যদি সে চায় তবে একটা ইনজেকশন দেয়া যেতে পারে। তবে ইনজেকশনটি কোমরে দিতে হবে। মেয়েটির ইতস্ততভাব দেখে ওই ডাক্তার তাকে বলেন, কাপড়ের উপর দিয়েই ইনজেকশন দেয়া যাবে।

মেয়েটি তার অভিযোগে জানায়, ইনজেকশন দিতে রাজি হয়ে পেসেন্ট টেবিলে শুলে ওই ডাক্তার মেয়েটির বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতে থাকেন। মেয়েটি প্রতিবাদ করলে তিনি বলেন, কোথায় ইনজেকশন দিলে ভালো হয় তা চেক করে দেখছিলেন তিনি।

পরে ওই তরুণী সেই ইনজেকশন হাতেই দিতে বলেন। ওই তরুণী অভিযোগ করেন, ডাক্তার ইনজেকশন দেবার পর তুলা দিয়ে চেপে না ধরে না তার জামার ভিতর হাত ঢুকিয়ে দেন। এ অবস্থায় মেয়েটি তাড়াতাড়ি সরে এসে ডাক্তারের ফিস দিয়ে চেম্বার থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। এসময় সেই ডাক্তার আরেকবার তার গালের ইনফেকশনটি দেখতে চান। গাল দেখার ছলে ডা. শওকত ওই তরুণীকে চুম্বন করেন।

এ ঘটনায় পপুলার হাসপাতালের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান অচিন্ত্যকুমার নাগের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ওই তরুণী। এসময় তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।

সংবাদ মাকধমকেপপুলার হাসপাতালের মানবসম্পদ ও প্রশাসন বিভাগের প্রধান অচিন্ত্যকুমার নাগ জানান, এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় তারা বিব্রতবোধ করছেন। দ্রুতই তদন্তসাপেক্ষে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তারা। অপরাধীকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।

সময় টিভির সৌজন্যে একটি অডিও রেকর্ড লিংক দেয়া হলো: