ঢাকা ০২:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




পরিবর্তন হল কারাবন্দিদের সকালের নাস্তার মেন্যু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:২৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০১৯ ১০৬ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ প্রতিবেদক;

কারাগারে আড়াইশো বছর ধরে চলা কারাবন্দিদের সকালের নাস্তার মেন্যু পরিবর্তন এলো। রিটিশ আমলে বন্দিদের জন্য নির্ধারিত রুটি-গুড়ের বদলে দেওয়া হবে মুখরোচক খাবার। প্রাতঃরাশে বন্দিরা সপ্তাহে দু’দিন ভুনা খিচুড়ি, চারদিন সবজি-রুটি এবং বাকি একদিন হালুয়া-রুটি পাবেন। এখন থেকে কারাবন্দিদের নাস্তার জন্যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে জন প্রতি ৩০ টাকা।

রোববার সাড়ে ৯টার দিকে কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পরিবর্তন আনেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

কারাগার প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত সকালের নাস্তায় একটি মেন্যু ছিল। মেন্যুটি হলো সকালের নাস্তায় একজন কয়েদি পেত ১৪.৫৮ গ্রাম গুড় এবং ১১৬.৬ গ্রাম আটা (সমপরিমাণ রুটি)। একই পরিমাণ গুড়ের সঙ্গে একজন হাজতি পেত ৮৭.৬৮ গ্রাম আটা (সমপরিমাণ রুটি)।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারাবন্দিদের মানসিক প্রশান্তিতে রাখতে প্রিয়জনদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার জন্য প্রিজন লিঙ্ক ‘স্বজন’ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কারাবন্দিরা তাদের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে পাইলট প্রকল্প হিসেবে টাঙ্গাইলে এ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এ সার্ভিস চালু করা হবে। বন্দিরা কারাগারে থেকে মানসিক প্রশান্তি পেলে তাদের অপরাধ প্রবণতা কমবে। কারাগার হচ্ছে সংশোধনাগার। কারাগারে বন্দিদের চাহিদা অনুযায়ী ৩৮টি ইভেন্টে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ফলে কারাবন্দীরা মুক্তির পর পুনরায় অপরাধে না জড়িয়ে সংশোধনের সুযোগ পায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা, উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজন) টিপু সুলতান, ঢাকা জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেরানীগঞ্জ সার্কেল রামানন্দ সরকার, কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহে এলিদ মাইনুল আমীন প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পরিবর্তন হল কারাবন্দিদের সকালের নাস্তার মেন্যু

আপডেট সময় : ০১:২৪:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০১৯

সকালের সংবাদ প্রতিবেদক;

কারাগারে আড়াইশো বছর ধরে চলা কারাবন্দিদের সকালের নাস্তার মেন্যু পরিবর্তন এলো। রিটিশ আমলে বন্দিদের জন্য নির্ধারিত রুটি-গুড়ের বদলে দেওয়া হবে মুখরোচক খাবার। প্রাতঃরাশে বন্দিরা সপ্তাহে দু’দিন ভুনা খিচুড়ি, চারদিন সবজি-রুটি এবং বাকি একদিন হালুয়া-রুটি পাবেন। এখন থেকে কারাবন্দিদের নাস্তার জন্যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে জন প্রতি ৩০ টাকা।

রোববার সাড়ে ৯টার দিকে কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে আনুষ্ঠানিকভাবে এ পরিবর্তন আনেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

কারাগার প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত সকালের নাস্তায় একটি মেন্যু ছিল। মেন্যুটি হলো সকালের নাস্তায় একজন কয়েদি পেত ১৪.৫৮ গ্রাম গুড় এবং ১১৬.৬ গ্রাম আটা (সমপরিমাণ রুটি)। একই পরিমাণ গুড়ের সঙ্গে একজন হাজতি পেত ৮৭.৬৮ গ্রাম আটা (সমপরিমাণ রুটি)।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারাবন্দিদের মানসিক প্রশান্তিতে রাখতে প্রিয়জনদের সঙ্গে মোবাইলে কথা বলার জন্য প্রিজন লিঙ্ক ‘স্বজন’ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কারাবন্দিরা তাদের আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। প্রাথমিকভাবে পাইলট প্রকল্প হিসেবে টাঙ্গাইলে এ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এ সার্ভিস চালু করা হবে। বন্দিরা কারাগারে থেকে মানসিক প্রশান্তি পেলে তাদের অপরাধ প্রবণতা কমবে। কারাগার হচ্ছে সংশোধনাগার। কারাগারে বন্দিদের চাহিদা অনুযায়ী ৩৮টি ইভেন্টে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ফলে কারাবন্দীরা মুক্তির পর পুনরায় অপরাধে না জড়িয়ে সংশোধনের সুযোগ পায়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা, উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি-প্রিজন) টিপু সুলতান, ঢাকা জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেরানীগঞ্জ সার্কেল রামানন্দ সরকার, কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহে এলিদ মাইনুল আমীন প্রমুখ।