ঢাকা ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




রাজশাহীতে জমে উঠেছে আমের বাজার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৩৬:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৯ ৬৪ বার পড়া হয়েছে

আমের জন্য খ্যাত রাজশাহীর বানেশ্বর হাট। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছরেও আমের বাজার জমে উঠেছে। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার আম কেনাবেচা হচ্ছে এ হাটে। আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন টনকে টন আম আমদানি করছে এ হাটে। আমদানি করা এসব আম আড়তে মাধ্যমে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। নানান প্রতিকূলতার মধ্যেও এবার আমের দাম ভাল হওয়ায় ব্যবসায়ী ও চাষীরা অনেকটাই সন্তুষ্ট।

জানা গেছে, রাজশাহী জেলার প্রত্যন্ত এলাকার আম চাষীরা যেমন আম বিক্রির জন্য এখানে আসে।তেমনি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা এ বাজারে ভিড় জমায়। চলতি বছরে প্রশাসনের নজরদারির কারণে ব্যবসায়ীরা ফরমালিন মুক্ত আম বিক্রি করছে বলে এলাকাবাসী জানান। বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা ও আড়ৎদারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিগত বছরের তুলনায় এবারে আমের দাম কিছুটা বেশি।

আম চাষী ও আম ব্যবসায়ীরা জানান, মণ প্রতি আঁটি আম ৮শ’ থেকে ১২শ’ টাকা, নেংড়া আম ১৬শ’ থেকে ২২শ’ টাকা, লখনা ৮শ’ থেকে ১২শ’ টাকা, রানী প্রসাদ ১৫শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা, খিরসা আম ১৫শ’ থেকে ২১শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পুঠিয়া উপজেলার ধলাট এলাকার আম বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন জানান, লখনা আম বিগত বছরে ৪শ’ থেকে ৭শ’ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এ বছরে ৮শ’ থেকে ১১শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে আমাদের কিছুটা লাভ হচ্ছে। কিন্তু কয়েক দফার ঝড়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আম ও আড়ত ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, এবার রোজার পরে পুরোদমে আম বিক্রি শুরু হওয়ায় দাম অনেকটা বেশি। এ এলাকার প্রচলিত নিয়ম মতে ৪৫-৪৬ কেজিতে এক মণ, এই নিয়মে আম ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার একেএম মুনজুরে মাওলা জানান, চলতি বছরে উপজেলায় ১৫ শত ২৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। গত বছর আমের ফলন ভাল হয়েছিল। চলতি বছরেও আমের ফলন ভাল হয়েছে কিন্তু কয়েক বারের ঝড়ে আমের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে এবং দাম ভাল থাকায় আম বিক্রি করে এবার কৃষক লাভবান হবে। রাজশাহীর আমের সুনাম ধরে রাখার জন্য ফরমালিন মুক্ত আম বাজার জাত করতে যা করার দরকার তাই করছেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




রাজশাহীতে জমে উঠেছে আমের বাজার

আপডেট সময় : ০১:৩৬:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৯

আমের জন্য খ্যাত রাজশাহীর বানেশ্বর হাট। ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে প্রতি বছরের ন্যায় চলতি বছরেও আমের বাজার জমে উঠেছে। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার আম কেনাবেচা হচ্ছে এ হাটে। আম চাষী ও ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন টনকে টন আম আমদানি করছে এ হাটে। আমদানি করা এসব আম আড়তে মাধ্যমে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। নানান প্রতিকূলতার মধ্যেও এবার আমের দাম ভাল হওয়ায় ব্যবসায়ী ও চাষীরা অনেকটাই সন্তুষ্ট।

জানা গেছে, রাজশাহী জেলার প্রত্যন্ত এলাকার আম চাষীরা যেমন আম বিক্রির জন্য এখানে আসে।তেমনি দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা এ বাজারে ভিড় জমায়। চলতি বছরে প্রশাসনের নজরদারির কারণে ব্যবসায়ীরা ফরমালিন মুক্ত আম বিক্রি করছে বলে এলাকাবাসী জানান। বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতা ও আড়ৎদারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বিগত বছরের তুলনায় এবারে আমের দাম কিছুটা বেশি।

আম চাষী ও আম ব্যবসায়ীরা জানান, মণ প্রতি আঁটি আম ৮শ’ থেকে ১২শ’ টাকা, নেংড়া আম ১৬শ’ থেকে ২২শ’ টাকা, লখনা ৮শ’ থেকে ১২শ’ টাকা, রানী প্রসাদ ১৫শ’ থেকে ১৮শ’ টাকা, খিরসা আম ১৫শ’ থেকে ২১শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পুঠিয়া উপজেলার ধলাট এলাকার আম বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন জানান, লখনা আম বিগত বছরে ৪শ’ থেকে ৭শ’ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এ বছরে ৮শ’ থেকে ১১শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে আমাদের কিছুটা লাভ হচ্ছে। কিন্তু কয়েক দফার ঝড়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আম ও আড়ত ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, এবার রোজার পরে পুরোদমে আম বিক্রি শুরু হওয়ায় দাম অনেকটা বেশি। এ এলাকার প্রচলিত নিয়ম মতে ৪৫-৪৬ কেজিতে এক মণ, এই নিয়মে আম ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার একেএম মুনজুরে মাওলা জানান, চলতি বছরে উপজেলায় ১৫ শত ২৫ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। গত বছর আমের ফলন ভাল হয়েছিল। চলতি বছরেও আমের ফলন ভাল হয়েছে কিন্তু কয়েক বারের ঝড়ে আমের অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে বর্তমানে আবহাওয়া অনুকূলে এবং দাম ভাল থাকায় আম বিক্রি করে এবার কৃষক লাভবান হবে। রাজশাহীর আমের সুনাম ধরে রাখার জন্য ফরমালিন মুক্ত আম বাজার জাত করতে যা করার দরকার তাই করছেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।