ঢাকা ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদকে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৬:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০১৯ ৬৯ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি;
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ (কোটা সংস্কার আন্দোলন) পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে ঝিনাইদহের একটি হোটেল থেকে তুলে নিয়ে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সোমবার বিকেলে ঝিনাইদহ শহরের জেএফসি হোটেল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে তুলে নিয়ে যান। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ (কোটা সংস্কার আন্দোলন) পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারেক রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঝিনাইদহ শহরের জেএফসি হোটেল থেকে ছাত্রলীগের নেতারা রাশেদকে তুলে নিয়ে যায়। পরে রাশেদ খানকে ঝিনাইদহ সদর থানায় সোপর্দ করা হয়। বিকেলে রাশেদের বাবার মাধ্যমে তাকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হলেও এখনো ছাড়েনি পুলিশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার বিকেলে শহরের জেএফসি হোটেলে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিলেন রাশেদ খান। এ সময় সেখানে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। পরে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পরে রাশেদকে তারা পুলিশে দেয়।

ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ (কোটা সংস্কার আন্দোলন) পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। স্থানীয় কিছু লোকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে তাকে থানায় আনা হয়। তার বাবাকে খবর দেয়া হয়েছে। তিনি এলে রাশেদকে ছেড়ে দেয়া হবে।

এ বিষয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ শহরের জেএফসি রেস্টুরেন্টে খাবার খাচ্ছিলাম। এ সময় স্থানীয় কিছু ছাত্রলীগ নেতা আমাদের ধরে থানায় নিয়ে যায়। আমি এই মুহূর্তে পুলিশ হেফাজতে রয়েছি।

ওসি মিজানুর রহমান বলেন, একদল যুবক রাশেদ খানকে ধরে থানায় নিয়ে আসে। তাকে গ্রেফতার কিংবা আটক করা হয়নি। তাকে ছেড়ে দেয়া হবে।

কারা রাশেদ খানকে থানায় নিয়ে এসেছেন জানতে চাইলে ওসি মিজানুর রহমান বলেন, একদল যুবক রাশেদকে থানায় নিয়ে আসে। আমি তাদের চিনি না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদকে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ

আপডেট সময় : ১১:৩৬:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি;
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ (কোটা সংস্কার আন্দোলন) পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে ঝিনাইদহের একটি হোটেল থেকে তুলে নিয়ে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সোমবার বিকেলে ঝিনাইদহ শহরের জেএফসি হোটেল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে তুলে নিয়ে যান। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ (কোটা সংস্কার আন্দোলন) পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারেক রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঝিনাইদহ শহরের জেএফসি হোটেল থেকে ছাত্রলীগের নেতারা রাশেদকে তুলে নিয়ে যায়। পরে রাশেদ খানকে ঝিনাইদহ সদর থানায় সোপর্দ করা হয়। বিকেলে রাশেদের বাবার মাধ্যমে তাকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হলেও এখনো ছাড়েনি পুলিশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার বিকেলে শহরের জেএফসি হোটেলে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিলেন রাশেদ খান। এ সময় সেখানে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। পরে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পরে রাশেদকে তারা পুলিশে দেয়।

ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ (কোটা সংস্কার আন্দোলন) পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। স্থানীয় কিছু লোকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে তাকে থানায় আনা হয়। তার বাবাকে খবর দেয়া হয়েছে। তিনি এলে রাশেদকে ছেড়ে দেয়া হবে।

এ বিষয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ শহরের জেএফসি রেস্টুরেন্টে খাবার খাচ্ছিলাম। এ সময় স্থানীয় কিছু ছাত্রলীগ নেতা আমাদের ধরে থানায় নিয়ে যায়। আমি এই মুহূর্তে পুলিশ হেফাজতে রয়েছি।

ওসি মিজানুর রহমান বলেন, একদল যুবক রাশেদ খানকে ধরে থানায় নিয়ে আসে। তাকে গ্রেফতার কিংবা আটক করা হয়নি। তাকে ছেড়ে দেয়া হবে।

কারা রাশেদ খানকে থানায় নিয়ে এসেছেন জানতে চাইলে ওসি মিজানুর রহমান বলেন, একদল যুবক রাশেদকে থানায় নিয়ে আসে। আমি তাদের চিনি না।