ঢাকা ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ‘ফুল ভলিয়মে ভাইরাল গানে মগ্ন অন্তর্বর্তী জোট’ Logo স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্বৈরাচারের দোসর সৈয়দ হাবিবুরের দুর্নীতির ফিরিস্তি- পর্ব ১ Logo স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকায় সাংবাদিক হাফিজুর রহমান শফিক Logo রাজধানীর বাউনিয়ার ভূমিদস্যু খোরশেদ পরিবারের কব্জায় ভুক্তভোগীদের ভিটামাটি  Logo স্বাধীনতা যুদ্ধে জামায়াতের অবস্থান এবং পরবর্তীতে রাজনৈতিক পথচলা Logo রাত ৮টার পর বন্ধ থাকবে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানঃ  উপদেষ্টা আসিফ Logo গণপূর্তে পীরের কেরামতি: পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রধান প্রকৌশলী চেয়ারে বহাল! Logo ডিবির অভিযানে দোহার থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদকসহ পাঁচজন গ্রেফতার Logo অবসরে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার – পর্ব ১ Logo ১০০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড পিকআপসহ দুই মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার

কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদকে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৬:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০১৯ ১১৮ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি;
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ (কোটা সংস্কার আন্দোলন) পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে ঝিনাইদহের একটি হোটেল থেকে তুলে নিয়ে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সোমবার বিকেলে ঝিনাইদহ শহরের জেএফসি হোটেল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে তুলে নিয়ে যান। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ (কোটা সংস্কার আন্দোলন) পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারেক রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঝিনাইদহ শহরের জেএফসি হোটেল থেকে ছাত্রলীগের নেতারা রাশেদকে তুলে নিয়ে যায়। পরে রাশেদ খানকে ঝিনাইদহ সদর থানায় সোপর্দ করা হয়। বিকেলে রাশেদের বাবার মাধ্যমে তাকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হলেও এখনো ছাড়েনি পুলিশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার বিকেলে শহরের জেএফসি হোটেলে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিলেন রাশেদ খান। এ সময় সেখানে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। পরে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পরে রাশেদকে তারা পুলিশে দেয়।

ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ (কোটা সংস্কার আন্দোলন) পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। স্থানীয় কিছু লোকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে তাকে থানায় আনা হয়। তার বাবাকে খবর দেয়া হয়েছে। তিনি এলে রাশেদকে ছেড়ে দেয়া হবে।

এ বিষয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ শহরের জেএফসি রেস্টুরেন্টে খাবার খাচ্ছিলাম। এ সময় স্থানীয় কিছু ছাত্রলীগ নেতা আমাদের ধরে থানায় নিয়ে যায়। আমি এই মুহূর্তে পুলিশ হেফাজতে রয়েছি।

ওসি মিজানুর রহমান বলেন, একদল যুবক রাশেদ খানকে ধরে থানায় নিয়ে আসে। তাকে গ্রেফতার কিংবা আটক করা হয়নি। তাকে ছেড়ে দেয়া হবে।

কারা রাশেদ খানকে থানায় নিয়ে এসেছেন জানতে চাইলে ওসি মিজানুর রহমান বলেন, একদল যুবক রাশেদকে থানায় নিয়ে আসে। আমি তাদের চিনি না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদকে পুলিশে দিল ছাত্রলীগ

আপডেট সময় : ১১:৩৬:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জুন ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি;
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ (কোটা সংস্কার আন্দোলন) পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে ঝিনাইদহের একটি হোটেল থেকে তুলে নিয়ে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সোমবার বিকেলে ঝিনাইদহ শহরের জেএফসি হোটেল থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে তুলে নিয়ে যান। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ (কোটা সংস্কার আন্দোলন) পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারেক রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঝিনাইদহ শহরের জেএফসি হোটেল থেকে ছাত্রলীগের নেতারা রাশেদকে তুলে নিয়ে যায়। পরে রাশেদ খানকে ঝিনাইদহ সদর থানায় সোপর্দ করা হয়। বিকেলে রাশেদের বাবার মাধ্যমে তাকে ছেড়ে দেয়ার কথা বলা হলেও এখনো ছাড়েনি পুলিশ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার বিকেলে শহরের জেএফসি হোটেলে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে গল্প করছিলেন রাশেদ খান। এ সময় সেখানে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। পরে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পরে রাশেদকে তারা পুলিশে দেয়।

ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ (কোটা সংস্কার আন্দোলন) পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। স্থানীয় কিছু লোকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির কারণে তাকে থানায় আনা হয়। তার বাবাকে খবর দেয়া হয়েছে। তিনি এলে রাশেদকে ছেড়ে দেয়া হবে।

এ বিষয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা রাশেদ খান বলেন, আমি ও আমার স্ত্রী সন্ধ্যায় ঝিনাইদহ শহরের জেএফসি রেস্টুরেন্টে খাবার খাচ্ছিলাম। এ সময় স্থানীয় কিছু ছাত্রলীগ নেতা আমাদের ধরে থানায় নিয়ে যায়। আমি এই মুহূর্তে পুলিশ হেফাজতে রয়েছি।

ওসি মিজানুর রহমান বলেন, একদল যুবক রাশেদ খানকে ধরে থানায় নিয়ে আসে। তাকে গ্রেফতার কিংবা আটক করা হয়নি। তাকে ছেড়ে দেয়া হবে।

কারা রাশেদ খানকে থানায় নিয়ে এসেছেন জানতে চাইলে ওসি মিজানুর রহমান বলেন, একদল যুবক রাশেদকে থানায় নিয়ে আসে। আমি তাদের চিনি না।