জেলা প্রতিনিধি;
কিশোরগঞ্জের ইটনায় প্রতিবন্ধী মাছ ব্যবসায়ীর সঙ্গে অসদাচরণ করাকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে থানার এক পুলিশ কর্মকর্তার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
মাছ ব্যবসায়ীকে বকাঝকার প্রতিবাদ করায় ইটনা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. রুকনের বিরুদ্ধে সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সোহাগকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপস্থিত মাছ ব্যবসায়ীরা উত্তেজিত হয়ে ওই উপ-পরিদর্শককেও মারধর করে বলে জানা গেছে। বুধবার বিকেলে ইটনা উপজেলা সদরের মাছ বাজারে এ অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার জের ধরে পুলিশ সদস্যরা ইউপি চেয়ারম্যানের বাসায় গিয়ে জিনিসপত্র তছনছ ও ভাঙচুর করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান। তবে চেয়ারম্যানকে মারধর ও ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সোহাগ জানান, বিকেলে তিনি বাজারে মাছ কিনতে গিয়ে দেখেন ইটনা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. রুকন মাছ কিনতে গিয়ে স্থানীয় প্রতিবন্ধী মাছ ব্যবসায়ী তনু মিয়াকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমি পুলিশের এ কর্মকর্তার আচরণের প্রতিবাদ করি। কিন্তু তিনি উত্তেজিত হয়ে হঠাৎ সবার সামনে আমাকে থাপ্পড় মারেন। নিজেকে সামাল দিতে না পেরে আমিও তাকে থাপ্পড় মারি। পরে ব্যবসায়ীরা ওই পুলিশকে মারধর করে।’
তিনি বলেন, কিছুক্ষণ পর উপ-পরিদর্শক রুকনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন পুলিশ আমার নয়াহাটির বাসা ভাঙচুর করাসহ ঘরের জিনিসপত্র তছনছ করে। তখন আমি উপজেলা পরিষদের দিকে ছিলাম।
এ বিষয়ে উপ-পরিদর্শক মো. রুকনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এ ঘটনাটি বিভিন্ন মাধ্যমে আমি শুনেছি। কিন্তু কেউ আমার কাছে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ নিয়ে আসেনি।
ইটনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুর্শেদ জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যানের সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা রুকনের তর্কাতর্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় চেয়ারম্যান ও তার লোকজন রুকনকে মারধর করে। তবে চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ সঠিক নয়।