নিষিদ্ধ পলিথিনে বাংলাদেশ বিমানের নাস্তা বহন !
- আপডেট সময় : ০৬:৫৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০১৯ ১২৮ বার পড়া হয়েছে
ক্রাইম রিপোর্ট;
পলিথিন নিষিদ্ধ। সেই পলিথিনের দেখা মিলল মাঝ আকাশে। না উড়ে বেড়াচ্ছে না, বিমান বাংলাদেশের কল্যাণে দেখা মিলল সেই পলিথিন। এমনিতে নয়- কাজেই ব্যবহৃত হচ্ছিল। সাধারণত উড়োজাহাজ গুলোতে যাত্রীদের খাবার সরবরাহ করা হয়ে থাকে একটি ট্রলিতে। পরে আরেকটি ট্রলিতে অপর এয়ার হোস্টেজ নিয়ে আসেন পানির বোতল।
পলিথিনের বিকল্প ব্যবহারটা এখানেই। ট্রলির বদলে বিমান বাংলাদেশের যাত্রীদের নাস্তা-খাবার দেওয়া হয় পলিথিনে। এমন ঘটনায় বিব্রতই বোধ করেছেন যাত্রীরা। অন্তত কয়েকজন যাত্রী এমনটাই জানাচ্ছেন। সাথে আরও জানা গেছে, ডোমেস্টিক পরিবহনে বিমান নাস্তার মানকেও অনেকটা নিচে নামিয়ে এনেছেন। কেননা নাস্তার প্যাকেটে ছিল মাত্র একটি স্লাইস কেক সাথে সাথে ২৫০ এমএল-এর একটি ফ্রেশ পানির বোতল।
শুধু তাই নয়, পলিথিনে খাবার পরিবেশনের ছবিটি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দিয়েছেন এক যাত্রী। সাথে জুড়ে দিয়েছেন এমন কাণ্ডে তিনি কতটা বিব্রত।
বাংলাদেশ বিমানের কক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী বিমানে এমন ঘটনা ঘটেছে। বিজি ১৪৪৩ ফ্লাইটটি সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় আসে। ওই বিমানে বেশ কয়েকজন ওমরা যাত্রীও ছিলেন।
জানতে চাইলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, ‘ড্যাশ-৮ কিউ-৪০০ উড়োজাহাজ দিয়ে আমরা অভ্যন্তরীণ রুটে ফাইট পরিচালনা করি। এই এয়ারক্রাফটগুলোতে হাইলিফটার ব্যবহার করা যায় না। একারণে খাবার ট্রলি নেওয়া যায় না। আর ফাইটগুলো আধঘণ্টার মতো হওয়ায় স্বল্প দুরুত্বের প্লেন উঠতে, নামতেই সময় অনেকটা ফুরিয়ে যায়। একারণে দ্রুত খাবার পরিবেশন করতে হয়। এসব সুবিধার কথা বিবেচনা করে আমরা যেসব মানের পলিথিন ব্যবহার করি তা নিষিদ্ধ নয়। এগুলো খাবার আনা নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা হয়। খাবারে সরাসরি ব্যবহার করা হয় না, খাবার দেওয়া হয় মিলকার্ডে।’
তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ ফাইটে হাল্কা নাস্তা দেওয়া হয়। আমরা খাবারের মান কমাইনি, বরং বাড়িয়েছি। আগে আমরা প্লেন কেক দিতাম, এখন তার পরিবর্তে ফ্রুট কেক দেওয়া হচ্ছে।
তবে খাবারের মান বাড়ানোর কথা বললেও আগে অভ্যন্তরীণ রুটে খাবারের তালিকায় নিয়মিত দেখা যেত একটি স্যান্ডউইচ, একটি আমসত্ব, একটি লজেন্স একটি জুসের প্যাকেট ও পানির বোতল। কিন্তু বুধবারের ওই ফ্লাইটে এক পিসকেক ও পানির বোতল ছাড়া কিছুই ছিল না বলে বিমানের একজন যাত্রী নিশ্চিত করেছেন।
এছাড়াও শাকিল মেরাজ ‘ড্যাশ-৮ কিউ-৪০০ উড়োজাহাজে ট্রলি ব্যবহার করা যায় না বললেও ইউএস বাংলাসহ সকল সংস্থার অভ্যন্তরীন রুটে এই মডেলের বিমানে ট্রলি ব্যবহার করা হয়।