ঢাকা ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র Logo এনবিআরে আরেক মতিউর: কর কমিশনার কবিরের সম্পদের পাহাড় Logo চাকুরীর নামে ভুয়া মেজরের কোটি টাকার প্রতারণা: মিথ্যে মামলায় ভুক্তভোগীদের হয়রানি Logo পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা Logo খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ Logo এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী রশীদ’র বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ




আইসিসিকে ভারতের ডোন্ট কেয়ার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৯:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০১৯ ১৪১ বার পড়া হয়েছে

স্পোর্টস ডেস্ক;

ভক্ত-সমর্থক পর্যায়ে প্রায়ই শোনা যায় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসিতে ক্ষমতার জোর খাটায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, নিয়ে থাকে অবৈধ সব সুবিধা। আনুষ্ঠানিকভাবে এসব তথ্যের কোনো ভিত্তি না থাকলেও, ভারতের ক্রিকেট দলই মূলত বারবার উসকে দেয় এসব বিতর্ক।

যার সবশেষ উদাহরণ মিলেছে রোববার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের প্রস্তুতি ম্যাচের পর। আইসিসির নিয়মের তোয়াক্কা না করে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যে মিডিয়া সেশন, তাতে অংশ নেননি ভারতের যথাসংখ্যক খেলোয়াড়। দেশটির শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘সংবাদ প্রতিদিন’ প্রচার করেছে এ খবর।

মূলত কিউইদের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই স্রেফ উড়ে গিয়েছিল ভারত। আগে ব্যাট করে সেদিন তারা করেছিল মাত্র ১৭৯ রান। যা কিনা ৭৭ বল হাতে রেখেই টপকে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এমন পরাজয়ের পর মানসিকভাবে ভালো অবস্থায় না থাকাই স্বাভাবিক।

কিন্তু তাই বলে মিডিয়া সেশনই বয়কট করে ফেলা! এবারের বিশ্বকাপে নতুন মাত্রা দিতে প্রতি ম্যাচের পর প্রথাগত সংবাদ সম্মেলনের বাইরেও ‘মিডিয়া সেশন’ নামক আলাদা আড্ডামূলক এক আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে আইসিসি।

এর লক্ষ্য মূলত বেশি সংখ্যক ক্রিকেটারদের কথা বলতে দিয়ে খেলাটির বিশ্বায়ন আরও দ্রুত করা। তাই প্রেস কনফারেন্স রুমের মধ্যেই একটা আলাদা সেট তৈরি হয়েছে। যার নাম দেয়া হয়েছে মিক্সড জোন। ম্যাচের দুই দলের তিন-চারজন খেলোয়াড় এখানে এসে কিছুক্ষণ কথা বলার নিয়ম করেছে আইসিসি, যার নাম দেয়া হয়েছে মিডিয়া সেশন।

নিয়ম মোতাবেক ভারতের বিপক্ষে জয়ের পর এসেছিলেন নিউজিল্যান্ডের তিন তারকা রস টেলর, ট্রেন্ট বোল্ট এবং কলিন মুনরো। কিন্তু বারবার অনুরোধ করেও সেখানে আনা যায়নি ভারতের কোনো খেলোয়াড়কে। কেবল প্রথাগত সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন রবিন্দ্র জাদেজা।

অথচ ম্যাচের পর আইসিসির মুখপাত্র সংবাদকর্মীদের মিক্সড জোনে ডেকে এনেছিলেন ভারতের খেলোয়াড়রা আসার খবর দিয়ে। কিন্তু সংবাদকর্মীরা সেখানে গিয়ে দেখেন কেউ নেই। পরে আইসিসি মিডিয়ার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, ভারতের পক্ষ থেকে খেলোয়াড়রা আসতে আপত্তি করছে। যা স্পষ্টত আইসিসির নিয়মের লঙ্গন।

এমন কাণ্ড ঘটানোর পরেও ভারতের বিপক্ষে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায়নি আইসিসি। ভারতের কোচ রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওপেন মিডিয়া সেশনের ব্যাপারে তার কোনো ধারণাই নেই। অথচ অন্য সব দলের খেলোয়াড়রা ঠিকই ছিলেন নিজেদের মিডিয়া সেশনে।

ভারতীয়দের এমন কাণ্ডে ডালপালা মেলতে শুরু করেছে নানান গুঞ্জন। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বিরাট-রোহিতদের এমন আচরণ, আসরের সামনের দিনগুলোতে কোথায় গিয়ে ঠেকে সে বিষয়ে সন্দিহান প্রায় সবাই। তবু সকলে আশাবাদী আজ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের পর এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি করবে না ভারতীয়রা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




আইসিসিকে ভারতের ডোন্ট কেয়ার

আপডেট সময় : ০৪:৩৯:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০১৯

স্পোর্টস ডেস্ক;

ভক্ত-সমর্থক পর্যায়ে প্রায়ই শোনা যায় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসিতে ক্ষমতার জোর খাটায় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড, নিয়ে থাকে অবৈধ সব সুবিধা। আনুষ্ঠানিকভাবে এসব তথ্যের কোনো ভিত্তি না থাকলেও, ভারতের ক্রিকেট দলই মূলত বারবার উসকে দেয় এসব বিতর্ক।

যার সবশেষ উদাহরণ মিলেছে রোববার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের প্রস্তুতি ম্যাচের পর। আইসিসির নিয়মের তোয়াক্কা না করে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে যে মিডিয়া সেশন, তাতে অংশ নেননি ভারতের যথাসংখ্যক খেলোয়াড়। দেশটির শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘সংবাদ প্রতিদিন’ প্রচার করেছে এ খবর।

মূলত কিউইদের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই স্রেফ উড়ে গিয়েছিল ভারত। আগে ব্যাট করে সেদিন তারা করেছিল মাত্র ১৭৯ রান। যা কিনা ৭৭ বল হাতে রেখেই টপকে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এমন পরাজয়ের পর মানসিকভাবে ভালো অবস্থায় না থাকাই স্বাভাবিক।

কিন্তু তাই বলে মিডিয়া সেশনই বয়কট করে ফেলা! এবারের বিশ্বকাপে নতুন মাত্রা দিতে প্রতি ম্যাচের পর প্রথাগত সংবাদ সম্মেলনের বাইরেও ‘মিডিয়া সেশন’ নামক আলাদা আড্ডামূলক এক আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে আইসিসি।

এর লক্ষ্য মূলত বেশি সংখ্যক ক্রিকেটারদের কথা বলতে দিয়ে খেলাটির বিশ্বায়ন আরও দ্রুত করা। তাই প্রেস কনফারেন্স রুমের মধ্যেই একটা আলাদা সেট তৈরি হয়েছে। যার নাম দেয়া হয়েছে মিক্সড জোন। ম্যাচের দুই দলের তিন-চারজন খেলোয়াড় এখানে এসে কিছুক্ষণ কথা বলার নিয়ম করেছে আইসিসি, যার নাম দেয়া হয়েছে মিডিয়া সেশন।

নিয়ম মোতাবেক ভারতের বিপক্ষে জয়ের পর এসেছিলেন নিউজিল্যান্ডের তিন তারকা রস টেলর, ট্রেন্ট বোল্ট এবং কলিন মুনরো। কিন্তু বারবার অনুরোধ করেও সেখানে আনা যায়নি ভারতের কোনো খেলোয়াড়কে। কেবল প্রথাগত সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন রবিন্দ্র জাদেজা।

অথচ ম্যাচের পর আইসিসির মুখপাত্র সংবাদকর্মীদের মিক্সড জোনে ডেকে এনেছিলেন ভারতের খেলোয়াড়রা আসার খবর দিয়ে। কিন্তু সংবাদকর্মীরা সেখানে গিয়ে দেখেন কেউ নেই। পরে আইসিসি মিডিয়ার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, ভারতের পক্ষ থেকে খেলোয়াড়রা আসতে আপত্তি করছে। যা স্পষ্টত আইসিসির নিয়মের লঙ্গন।

এমন কাণ্ড ঘটানোর পরেও ভারতের বিপক্ষে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায়নি আইসিসি। ভারতের কোচ রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওপেন মিডিয়া সেশনের ব্যাপারে তার কোনো ধারণাই নেই। অথচ অন্য সব দলের খেলোয়াড়রা ঠিকই ছিলেন নিজেদের মিডিয়া সেশনে।

ভারতীয়দের এমন কাণ্ডে ডালপালা মেলতে শুরু করেছে নানান গুঞ্জন। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বিরাট-রোহিতদের এমন আচরণ, আসরের সামনের দিনগুলোতে কোথায় গিয়ে ঠেকে সে বিষয়ে সন্দিহান প্রায় সবাই। তবু সকলে আশাবাদী আজ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের পর এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি করবে না ভারতীয়রা।