ঢাকা ১১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র Logo এনবিআরে আরেক মতিউর: কর কমিশনার কবিরের সম্পদের পাহাড় Logo চাকুরীর নামে ভুয়া মেজরের কোটি টাকার প্রতারণা: মিথ্যে মামলায় ভুক্তভোগীদের হয়রানি Logo পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা Logo খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ Logo এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী রশীদ’র বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ




বেনারসি পল্লীতে খরা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩২:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০১৯ ১৬৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক;
অলস সময় পার করছেন মিরপুরে বেনারসি পল্লীর বিক্রেতারা। দু-একটি দোকানে ক্রেতা থাকলেও সেখানে আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না। অন্যান্য দোকানে ক্রেতার সমাগম না থাকায় দোকানিরা দোকান খুলে বিক্রির অপেক্ষায় সময় পার করছেন। রোববার মিরপুরের বেনারসি পল্লীর শাড়ির বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

কথা হয় বেনারসি পল্লীর রূপম শাড়িজের বিক্রেতা কামাল হোসেন সঙ্গে। তিনি জানালেন, ঈদের এক মাস আগেই নতুন নতুন ডিজাইনের ঈদ কালেকশন থাকলেও ক্রেতার সমাগম নেই। ফলে বিক্রিও আশানুরূপ হচ্ছে না।

কামাল হোসেন বলেন, ‘এবার ঈদ গরমে হওয়ায় পাতলা কাপড়ের কদর বেশি। আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে ঈদে নতুন কাতান, এস কে কাতান, জরিয়ানা কাতান, কাঞ্জুবরণ, পঞ্চমপল্লী, মোনালিসা কাতান, পার্টি শাড়িসহ পাতলা কটনের শাড়ি রয়েছে তাদের কালেকশনে। ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব শাড়ি। লেহেঙ্গা ৮ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’

বেচাকেনা কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে এই বিক্রেতা বলেন, ‘গত ১৫ দিন আগে থেকে ঈদের কেনাকাটা শুরু হলেও বেনারসি পল্লীতে এখনো কেতার সমাগম হচ্ছে না। সকাল ৯টায় দোকান খুলেছেন তিনি। দুপুর ১২টা বাজতে চলেছে, কিন্তু একজন ক্রেতাও আসেনি।’

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ও রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কিছু ক্রেতা আসছেন। তবে প্রত্যশা অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত প্রয়োজনের চাইতে দোকান বেড়ে যাওয়ায় অধিকাংশ দোকানে বিক্রি কমে গেছে। অনেকে আছেন কেনাকাটার জন্য ভারতে যান। এসব কারণে বেনারসি পল্লীতে ক্রেতার আনাগোনা কমে গেছে।

বেনারসি পল্লীর পাইকারি-খুচরা দোকান ‘বিগ বাজার’। এ দোকানের মলিক মো. জাহাঙ্গীর আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘অন্যান্য বারের তুলনায় এবার ঈদে বিক্রি কমে গেছে। তবে ঈদ কালেকশন গত বছরের তুুলনায় বেশি। দুপুরে ও রাতে কিছু ক্রেতা আসছেন, তবে তেমন বিক্রি হচ্ছে না।’

এবার ঈদে তার দোকানে কালেকশন হিসেবে রয়েছে পার্টির শাড়ি, সেট শাড়ি, কন্ডি কাতান, জামদানি শাড়ি, উন্নতমানের সুতি শাড়ি, সিল্কের মধ্যে শামু লিল্ক, মিলিয়ান সিল্ক, খাদ্দি সিল্ক, জেরি সেট, পাকিস্তানি ও বরিমা সিল্ক, পার্টি লেহেঙ্গা ইত্যাদি। শাড়িভেদে ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা এবং লেহাঙ্গাভেদে ১০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম চাচ্ছেন তিন।

বেনারসি পল্লীর শাড়ির মার্কেটে অন্যান্য দোকান ঘুরেও ক্রেতাশূন্য দেখা গেছে। এ মার্কেটে মোট ১২০টি দোকান রয়েছে। তবে অধিকাংশ দোকানিদের ক্রেতার অপেক্ষার সময় পার করতে দেখা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বেনারসি পল্লীতে খরা

আপডেট সময় : ০২:৩২:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক;
অলস সময় পার করছেন মিরপুরে বেনারসি পল্লীর বিক্রেতারা। দু-একটি দোকানে ক্রেতা থাকলেও সেখানে আশানুরূপ বিক্রি হচ্ছে না। অন্যান্য দোকানে ক্রেতার সমাগম না থাকায় দোকানিরা দোকান খুলে বিক্রির অপেক্ষায় সময় পার করছেন। রোববার মিরপুরের বেনারসি পল্লীর শাড়ির বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

কথা হয় বেনারসি পল্লীর রূপম শাড়িজের বিক্রেতা কামাল হোসেন সঙ্গে। তিনি জানালেন, ঈদের এক মাস আগেই নতুন নতুন ডিজাইনের ঈদ কালেকশন থাকলেও ক্রেতার সমাগম নেই। ফলে বিক্রিও আশানুরূপ হচ্ছে না।

কামাল হোসেন বলেন, ‘এবার ঈদ গরমে হওয়ায় পাতলা কাপড়ের কদর বেশি। আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে ঈদে নতুন কাতান, এস কে কাতান, জরিয়ানা কাতান, কাঞ্জুবরণ, পঞ্চমপল্লী, মোনালিসা কাতান, পার্টি শাড়িসহ পাতলা কটনের শাড়ি রয়েছে তাদের কালেকশনে। ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব শাড়ি। লেহেঙ্গা ৮ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’

বেচাকেনা কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে এই বিক্রেতা বলেন, ‘গত ১৫ দিন আগে থেকে ঈদের কেনাকাটা শুরু হলেও বেনারসি পল্লীতে এখনো কেতার সমাগম হচ্ছে না। সকাল ৯টায় দোকান খুলেছেন তিনি। দুপুর ১২টা বাজতে চলেছে, কিন্তু একজন ক্রেতাও আসেনি।’

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুর থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ও রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কিছু ক্রেতা আসছেন। তবে প্রত্যশা অনুযায়ী বিক্রি হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত প্রয়োজনের চাইতে দোকান বেড়ে যাওয়ায় অধিকাংশ দোকানে বিক্রি কমে গেছে। অনেকে আছেন কেনাকাটার জন্য ভারতে যান। এসব কারণে বেনারসি পল্লীতে ক্রেতার আনাগোনা কমে গেছে।

বেনারসি পল্লীর পাইকারি-খুচরা দোকান ‘বিগ বাজার’। এ দোকানের মলিক মো. জাহাঙ্গীর আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘অন্যান্য বারের তুলনায় এবার ঈদে বিক্রি কমে গেছে। তবে ঈদ কালেকশন গত বছরের তুুলনায় বেশি। দুপুরে ও রাতে কিছু ক্রেতা আসছেন, তবে তেমন বিক্রি হচ্ছে না।’

এবার ঈদে তার দোকানে কালেকশন হিসেবে রয়েছে পার্টির শাড়ি, সেট শাড়ি, কন্ডি কাতান, জামদানি শাড়ি, উন্নতমানের সুতি শাড়ি, সিল্কের মধ্যে শামু লিল্ক, মিলিয়ান সিল্ক, খাদ্দি সিল্ক, জেরি সেট, পাকিস্তানি ও বরিমা সিল্ক, পার্টি লেহেঙ্গা ইত্যাদি। শাড়িভেদে ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা এবং লেহাঙ্গাভেদে ১০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম চাচ্ছেন তিন।

বেনারসি পল্লীর শাড়ির মার্কেটে অন্যান্য দোকান ঘুরেও ক্রেতাশূন্য দেখা গেছে। এ মার্কেটে মোট ১২০টি দোকান রয়েছে। তবে অধিকাংশ দোকানিদের ক্রেতার অপেক্ষার সময় পার করতে দেখা গেছে।