পদ্মা সেতু এখন প্রায় দুই কিলোমিটার দৃশ্যমান
- আপডেট সময় : ১১:২৪:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০১৯ ৯৮ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক,
পদ্মা সেতুর ১৪ ও ১৫ নম্বর পিয়ারের ওপর ১৩তম স্প্যানটি বসানো হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে নদীর মাঝামাঝি স্থানে এই স্প্যান বসানো হয়। এতে এখন পদ্মা সেতুর ১৯৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে।
এ নিয়ে পদ্মা সেতুতে এ বছর সাতটি স্প্যান বসানো হলো। এর আগে ২০১৭ ও ২০১৮ সালে দুই বছরে ছয়টি স্প্যান বসানো হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, নকশা নিয়ে জটিলতা কেটে যাওয়ায় নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এ বছর একাধিক স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা আছে। সেতু নির্মাণে মোট ৪২টি পিয়ারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হবে।
গতকাল শুক্রবার সকালে ভাসমান ক্রেনে করে স্প্যানটি মাওয়ার কুমারভোগ কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে নির্দিষ্ট পিয়ারের দিকে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে পিয়ারের ওপর স্প্যান বসাতে দেরি হয়।
২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিয়ারে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। ২২ মার্চ পদ্মা সেতুর ৩৫ ও ৩৪ নম্বর পিয়ারের ওপর নবম স্প্যানটি বসানো হয়। ওই দিন ১ হাজার ৩৫০ মিটারের সেতু দৃশ্যমান হয়। ১০ এপ্রিল মাওয়া প্রান্তে ১৩ ও ১৪ নম্বর পিয়ারের ওপর ১০ম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে সেতু ১ হাজার ৫০০ মিটার দৈর্ঘ্যে রূপ নেয়। ২৩ এপ্রিল পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৩৩ ও ৩৪ নম্বর পিয়ারের ওপর বসানো হয় ১১তম স্প্যান। সব শেষ ৬ মে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তের মাঝামাঝি স্থানে ২০ ও ২১ নম্বর পিয়ারের পর আরেকটি স্প্যান বসানো হয়। ফলে, পদ্মা সেতুর ১ হাজার ৮০০ মিটার দৃশ্যমান হয়।
দ্বিতল পদ্মা সেতু হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরার মধ্যে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য (পানির অংশের) ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। ডাঙার অংশ ধরলে সেতুটি প্রায় নয় কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। পুরো সেতুতে মোট পিয়ারের সংখ্যা ৪২। প্রতিটি পিয়ারে রাখা হয়েছিল ছয়টি পাইল। একটি থেকে আরেকটি পিয়ারের দূরত্ব ১৫০ মিটার।
বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পটির যাত্রা শুরু হয় ২০০৭ সালে। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ওই বছরের ২৮ আগস্ট ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছিল। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এসে রেলপথ সংযুক্ত করে ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি প্রথম দফায় সেতুর ব্যয় সংশোধন করে। বর্তমান ব্যয় ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি। মূল সেতু নির্মাণে কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি। আর নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান সিনোহাইড্রো করপোরেশন। দুই প্রান্তে টোল প্লাজা, সংযোগ সড়ক, অবকাঠামো নির্মাণ করছে দেশীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।