বরগুনায় আ.লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ১৫, আশঙ্কাজনক ৪
- আপডেট সময় : ১১:৫২:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০১৯ ৮৬ বার পড়া হয়েছে
জেলা প্রতিনিধি;
বরগুনার তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে প্রথমে বরগুনার আমতলী উপজেলা হাসপাতাল এবং পরে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ-সংলগ্ন লাউপাড়া বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রেণ আনে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন আবদুল মান্নান (৫৫), ইলিয়াস জোমাদ্দার (৩২), সফিক জোমাদ্দার (৪০), নাসির (৩২), আনোয়ার মৃধা (৫৫), সিদ্দিক তালুকদার, ইদ্রিস, রাজু শরীফ, জাকারিয়া (৩০), তারেক (৩২), আবদুর রব (৪০)। তাদের মধ্যে আবদুল মান্নান, ইলিয়াস জোমাদ্দার, সফিক জোমাদ্দার, নাসিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তালতলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে লাউপাড়া বাজার ও এর আশপাশ এলাকায় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে গণসংযোগ করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজবি উল কবীর জোমাদ্দার। গণসংযোগ শেষে তিনি ফিরে যাওয়ার আগ মুহূর্তে সেখানে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে গণসংযোগ করতে উপস্থিত জন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থ ও বর্তমান তালতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান মিন্টু। এ সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজবি উল কবীর জোমাদ্দার ও বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মনিরুজ্জামান মিন্টুর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত আটটার দিকে তালতলী বাজারে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি শান্ত করায় এখন পর্যন্ত ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
তালতলীতে বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র হালদার বলেন, সংঘর্ষের পরপরই তালতলীতে পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিহত করতে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।