ঢাকা ১২:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের মারপিট করলেন ডাক্তাররা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১২:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০১৯ ১০৫ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল;
টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতলে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ করায় রোগীর স্ত্রী ও ভাগ্নিকে শ্লীলতাহানীসহ স্বজনদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসক ও স্টাফদের বিরুদ্ধে। এতে ভুক্তভোগী স্বজনরা চিকিৎসকসহ এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার রাতে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ গণ্যমান্যদের অনুরোধে আন্দোলন প্রত্যাহার করেন তারা।

নিহত মুকুল আকন্দ (৫৫) টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়ার মরহুম তালু আকন্দের ছেলে।

নিহতের স্ত্রী হাসিনা জানান, বিকেলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় তার স্বামীকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ৪নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন তারা। পরবর্তীতে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন। এসময় রোগীকে ঢাকায় নেয়ার প্রস্তুতিতে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেন তারা। তবে গুরুতর অসুস্থ ওই রোগীর শ্বাসকষ্ট সমস্যা থাকায় হাসপাতালের অক্সিজেন দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে নিতে চাইলে তাতে অস্বীকৃতি ও রোগীর কোনো সমস্যা হবে না বলে জানায় হাসপাতালের স্টাফরা।

কিন্তু হাসপাতাল থেকে রোগীকে বাইরে আনার কিছুক্ষণ পরই ওই রোগীর মৃত্যু হয়। এতে তিনি ও তার ভাগ্নি মুক্তি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সজিবকে অভিযোগ করলে ওই চিকিৎসক তাদের ওপর উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ওই চিকিৎসকের সহযোগীরা তার শ্লীলতাহানী করে জোরপূর্বক হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন।

তবে এ পরিস্থিতি লক্ষ্য করে তাদের পুরুষ স্বজনরা প্রতিবাদ করলে তাদের আটক করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. সজিবসহ ২০/২৫ জন ইন্টার্নি শিক্ষার্থীরা তাদেরও মারপিট করেন।

হাসপাতালের এমন পরিস্থিতির সংবাদ পেয়ে বিভিন্ন মিডিয়ার বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী মোবাইলে ভিডিও ধারন করতে গেলে তাদের ওপরও চড়াও হন হাসপাতালের ইন্টার্নি শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও আটকদের উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ নিয়ে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী। দ্রুত দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন রোগীর স্বজনরা।

তবে এ ঘটনায় ডা. সজিবের অভিযোগ রোগীর স্বজনরা চড়াও হয়ে তাদের চিকিৎসক ও ইন্টার্নি শিক্ষার্থীদের মারপিট করেছে।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান জানান, ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ করার ঘটনা নিয়ে রোগীর স্বজন ও হাসপাতালের স্টাফদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের মারপিট করলেন ডাক্তাররা

আপডেট সময় : ১০:১২:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০১৯

জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল;
টাঙ্গাইল ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতলে ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ করায় রোগীর স্ত্রী ও ভাগ্নিকে শ্লীলতাহানীসহ স্বজনদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসক ও স্টাফদের বিরুদ্ধে। এতে ভুক্তভোগী স্বজনরা চিকিৎসকসহ এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার রাতে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ গণ্যমান্যদের অনুরোধে আন্দোলন প্রত্যাহার করেন তারা।

নিহত মুকুল আকন্দ (৫৫) টাঙ্গাইল পৌর এলাকার পশ্চিম আকুর টাকুর পাড়ার মরহুম তালু আকন্দের ছেলে।

নিহতের স্ত্রী হাসিনা জানান, বিকেলে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় তার স্বামীকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ৪নং ওয়ার্ডে ভর্তি করেন তারা। পরবর্তীতে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন। এসময় রোগীকে ঢাকায় নেয়ার প্রস্তুতিতে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেন তারা। তবে গুরুতর অসুস্থ ওই রোগীর শ্বাসকষ্ট সমস্যা থাকায় হাসপাতালের অক্সিজেন দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে নিতে চাইলে তাতে অস্বীকৃতি ও রোগীর কোনো সমস্যা হবে না বলে জানায় হাসপাতালের স্টাফরা।

কিন্তু হাসপাতাল থেকে রোগীকে বাইরে আনার কিছুক্ষণ পরই ওই রোগীর মৃত্যু হয়। এতে তিনি ও তার ভাগ্নি মুক্তি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সজিবকে অভিযোগ করলে ওই চিকিৎসক তাদের ওপর উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ওই চিকিৎসকের সহযোগীরা তার শ্লীলতাহানী করে জোরপূর্বক হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করেন।

তবে এ পরিস্থিতি লক্ষ্য করে তাদের পুরুষ স্বজনরা প্রতিবাদ করলে তাদের আটক করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. সজিবসহ ২০/২৫ জন ইন্টার্নি শিক্ষার্থীরা তাদেরও মারপিট করেন।

হাসপাতালের এমন পরিস্থিতির সংবাদ পেয়ে বিভিন্ন মিডিয়ার বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী মোবাইলে ভিডিও ধারন করতে গেলে তাদের ওপরও চড়াও হন হাসপাতালের ইন্টার্নি শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ও আটকদের উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ নিয়ে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন রোগীর স্বজন ও এলাকাবাসী। দ্রুত দোষীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন রোগীর স্বজনরা।

তবে এ ঘটনায় ডা. সজিবের অভিযোগ রোগীর স্বজনরা চড়াও হয়ে তাদের চিকিৎসক ও ইন্টার্নি শিক্ষার্থীদের মারপিট করেছে।

এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সায়েদুর রহমান জানান, ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ করার ঘটনা নিয়ে রোগীর স্বজন ও হাসপাতালের স্টাফদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত ও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনও থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।