ঢাকা ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নিজেই মাদকাসক্ত মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা; মাসে মাসোহারা আদায় ৭লাখ! Logo দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রকারী মাস্টারমাইন্ড সেচ্ছাসেবকলীগ নেত্রী ফাতেমা আক্তার শাপলা Logo ‘শেখ হাসিনা ও জিয়াউলের বিরুদ্ধে ২০০ গুমের প্রমাণ মিলেছে’ Logo দুর্নীতির ছায়ায় রাজউক ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান! Logo নিয়মিত চুমু খেলে মিলবে যে শারীরিক উপকার Logo প্রধান উপদেষ্টা কাতার যাচ্ছেন আজ, সফরসঙ্গী যারা Logo জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলেন মুহাম্মদ আবু আবিদ Logo প্রধান উপদেষ্টার দেয়া নির্বাচনী সময়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি Logo ডেসটিনি প্রতারক রফিকুল আমিনের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন Logo একচেটিয়া লিফট সরবরাহ চুক্তি: ওয়ালটনের টাকায় শেখর সহ গণপূর্ত’ চার প্রকৌশলীর বিদেশ ভ্রমণ!




র‌্যাবের অভিযানে ধ্বংস ৪০০ মণ আম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০৫:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০১৯ ১৭০ বার পড়া হয়েছে

নির্ধারিত সময়ের আগেই গাছ থেকে পেড়ে আনা অপরিপক্ক আম রাসায়নিক দিয়ে পাকিয়ে বাজারজাত করার দায়ে ৪০০ মণ আম জব্দ করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার আমের আড়তগুলোয় এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৯টি আড়তের মালিককে মোট ২৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে ধ্বংস করা হয় রাসায়নিকে পাকানো আম।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, বিভিন্ন জাতের আম গাছ থেকে পেড়ে বাজারজাত করার জন্য প্রশাসন থেকে তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। সেই অনুযায়ী রাজশাহীর হিমসাগর আম পাড়ার কথা ২৮ মে। ল্যাংড়া আসার কথা আরও পরে। অথচ বেশ কয়েকদিন ধরে ঢাকায় হিমসাগর ও ল্যাংড়া পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে এসব আম পাকানো হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা স্বীকার করেছেন। এভাবে পাকানো আম শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

সকালে র‌্যাবের অভিযানের শুরুতেই অনেক ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান। তারপরও একে একে বিভিন্ন আড়তে যান অভিযানকারী দলটির সদস্যরা। এ সময় সব আড়তেই পাকা আম পাওয়া যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক ব্যবসায়ী দাবি করেন, বাগান মালিকদের চাপাচাপিতে তারা আম কিনে এনে দেখেন, সবই কাঁচা। তখন রাসায়নিক মিশিয়ে কৃত্রিমভাবে আম পাকানোর ব্যবস্থা করেছেন। নইলে তারা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তেন।

অভিযান শেষে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের বলেন, আম ব্যবসায়ীরা আগে থেকেই বাগান কিনে রাখেন। ফলে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকে যে, কে আগে বাজারে আম আনতে পারবেন। কারণ আগে বাজারে আনলে বেশি দামে বিক্রি করা যাবে। এই অসাধু প্রতিযোগিতার ফলেই অপরিপক্ক আম রাসায়নিকে পাকিয়ে বাজারজাত করা হয়। তবে বাজারে এখন ফরমালিন মেশানো ফল নেই বলেও জানান তিনি।

অভিযানে র‌্যাবের সঙ্গে থাকা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান, ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম খেলে পেটের অসুখ, জন্ডিস, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, লিভার ও কিডনি নষ্ট হওয়াসহ ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ হতে পারে। এর প্রভাবে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হতে পারে।

দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন- মা এন্টারপ্রাইজের নন্দন সরকার, সাদ্দাম ট্রেডার্সের সাদ্দাম হোসেন, নাঙ্গলকোট বাণিজ্যালয়ের ইয়াসিন মজুমদার, শাহ চন্দ্রপুরী সবজি ভান্ডারের লিটন, মেসার্স নান্নু এন্টারপ্রাইজের জামাল খান, মেসার্স বন্ধু বাণিজ্যালয়ের দুদু মিয়া, মাদারীপুর বাণিজ্যালয়ের চাঁন মিয়া, সজীব ট্রেডার্সের মিলন ও সাবিহা বাণিজ্যালয়ের হাসান মাহমুদ। রাসায়নিক মেশানো আমগুলো শেষে পিকআপ ভ্যানের চাকায় পিষ্ট করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




র‌্যাবের অভিযানে ধ্বংস ৪০০ মণ আম

আপডেট সময় : ১০:০৫:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০১৯

নির্ধারিত সময়ের আগেই গাছ থেকে পেড়ে আনা অপরিপক্ক আম রাসায়নিক দিয়ে পাকিয়ে বাজারজাত করার দায়ে ৪০০ মণ আম জব্দ করেছে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার আমের আড়তগুলোয় এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৯টি আড়তের মালিককে মোট ২৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরে ধ্বংস করা হয় রাসায়নিকে পাকানো আম।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, বিভিন্ন জাতের আম গাছ থেকে পেড়ে বাজারজাত করার জন্য প্রশাসন থেকে তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া আছে। সেই অনুযায়ী রাজশাহীর হিমসাগর আম পাড়ার কথা ২৮ মে। ল্যাংড়া আসার কথা আরও পরে। অথচ বেশ কয়েকদিন ধরে ঢাকায় হিমসাগর ও ল্যাংড়া পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে এসব আম পাকানো হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা স্বীকার করেছেন। এভাবে পাকানো আম শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

সকালে র‌্যাবের অভিযানের শুরুতেই অনেক ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যান। তারপরও একে একে বিভিন্ন আড়তে যান অভিযানকারী দলটির সদস্যরা। এ সময় সব আড়তেই পাকা আম পাওয়া যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক ব্যবসায়ী দাবি করেন, বাগান মালিকদের চাপাচাপিতে তারা আম কিনে এনে দেখেন, সবই কাঁচা। তখন রাসায়নিক মিশিয়ে কৃত্রিমভাবে আম পাকানোর ব্যবস্থা করেছেন। নইলে তারা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তেন।

অভিযান শেষে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাংবাদিকদের বলেন, আম ব্যবসায়ীরা আগে থেকেই বাগান কিনে রাখেন। ফলে তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকে যে, কে আগে বাজারে আম আনতে পারবেন। কারণ আগে বাজারে আনলে বেশি দামে বিক্রি করা যাবে। এই অসাধু প্রতিযোগিতার ফলেই অপরিপক্ক আম রাসায়নিকে পাকিয়ে বাজারজাত করা হয়। তবে বাজারে এখন ফরমালিন মেশানো ফল নেই বলেও জানান তিনি।

অভিযানে র‌্যাবের সঙ্গে থাকা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া জানান, ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম খেলে পেটের অসুখ, জন্ডিস, শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, লিভার ও কিডনি নষ্ট হওয়াসহ ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ হতে পারে। এর প্রভাবে বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হতে পারে।

দণ্ডিত ব্যক্তিরা হলেন- মা এন্টারপ্রাইজের নন্দন সরকার, সাদ্দাম ট্রেডার্সের সাদ্দাম হোসেন, নাঙ্গলকোট বাণিজ্যালয়ের ইয়াসিন মজুমদার, শাহ চন্দ্রপুরী সবজি ভান্ডারের লিটন, মেসার্স নান্নু এন্টারপ্রাইজের জামাল খান, মেসার্স বন্ধু বাণিজ্যালয়ের দুদু মিয়া, মাদারীপুর বাণিজ্যালয়ের চাঁন মিয়া, সজীব ট্রেডার্সের মিলন ও সাবিহা বাণিজ্যালয়ের হাসান মাহমুদ। রাসায়নিক মেশানো আমগুলো শেষে পিকআপ ভ্যানের চাকায় পিষ্ট করা হয়।