ঢাকা ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার! Logo ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হওয়া শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোর সংস্কার শুরু Logo বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্র রাজনীতির দাবিতে শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন Logo কুবি উপাচার্যের বক্তব্যের প্রমাণ দিতে শিক্ষক সমিতির সাত দিনের আল্টিমেটাম




প্রাণসহ মানহীন সেই ৫২ পণ্যের বিরুদ্ধে খাদ্য কর্তৃপক্ষের মামলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৩১:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০১৯ ১১২ বার পড়া হয়েছে

আদালত প্রতিবেদক;
উচ্চ আদালতের নির্দেশের পরও বাজার থেকে সরিয়ে না নেয়ায় প্রাণসহ মানহীন সেই ৫২টি পণ্যের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

বুধবার নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে খাদ্য আদালতে মামলাটি করেন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য ও অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির।

প্রাণসহ সেই ৫২টি পণ্য হলো- প্রাণের হলুদ গুঁড়া, ফ্রেশের হলুদ গুঁড়া, মোল্লা সল্টের আয়োডিন যুক্ত লবণ, প্রাণের কারি পাউডার, ড্যানিশের কারি পাউডার, সিটি ওয়েলের সরিষার তেল, গ্রিন ব্লিচিংয়ের সরিষার তেল, শমনমের সরিষার তেল, বাংলাদেশ এডিবল ওয়েলের সরিষার তেল, কাশেম ফুডের চিপস, আরা ফুডের ড্রিংকিং ওয়াটার, আল সাফির ড্রিংকিং ওয়াটার।

মিজানের ড্রিংকিং ওয়াটার, মর্ণ ডিউয়ের ড্রিংকিং ওয়াটার, প্রাণের লাচ্ছা সেমাই, ডুডলি নুডলস, শান্ত ফুডের সফট ড্রিংক পাউডার, জাহাঙ্গীর ফুড সফট ড্রিংক পাউডার, ড্যানিশের হলুদের গুঁড়া, এসিআইয়ের ধনিয়ার গুঁড়া, বনলতার ঘি, পিওর হাটহাজারী মরিচ গুঁড়া, মিস্টিমেলার লাচ্ছা সেমাই, মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, মিঠাইয়ের লাচ্ছা সেমাই, ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই।

এসিআইয়ের আয়োডিনযুক্ত লবণ, কিংয়ের ময়দা, রূপসার দই, মক্কার চানাচুর, মেহেদীর বিস্কুট, বাঘাবাড়ীর স্পেশাল ঘি, নিশিতা ফুডসের সুজি, মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, মঞ্জিলের হলুদ গুঁড়া, মধুমতির আয়োডিনযুক্ত লবণ, সান ফুডের হলুদ গুঁড়া, গ্রিন লেনের মধু।

কিরণের লাচ্ছা সেমাই, ডলফিনের মরিচের গুঁড়া, ডলফিনের হলুদের গুঁড়া, সূর্যের মরিচের গুঁড়া, জেদ্দার লাচ্ছা সেমাই, অমৃতের লাচ্ছা সেমাই, দাদা সুপারের আয়োডিনযুক্ত লবণ, মদিনার আয়োডিনযু্ক্ত লবণ ও নুরের আয়োডিনযুক্ত লবণ ডানকানের ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার, আরার ডিউ ড্রিংকিং ওয়াটার, দীঘির ড্রিংকিং ওয়াটার।

এর আগে এসব মানহীন পণ্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দুই কর্মকর্তা হাইকোর্টে আসেন। দুই কর্মকর্তা হলেন- বিএসটিআইয়ের পরিচালক প্রকৌশলী এসএম ইসহাক আলী ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিচালক ড. সহদেব চন্দ্র সাহা।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। বিএসটিআইয়ের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সরকার এমআর হাসান আর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম।

বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২টি পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নিতে রিটটি করেন কনসাস কনজুমার সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ।

পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ মে বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় প্রমাণিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২টি ভেজাল ও নিম্নমাণের পণ্য জব্দ এবং এসব পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার ও উৎপাদন বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বিএসটিআই ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য অধিদফতরের দুই কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট।

এ ব্যাপারে কনসাস কনজুমার সোসাইটির (সিসিএসের) নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ বলেন, ‘প্রাণের মতো নামি প্রতিষ্ঠান আমাদের ভেজাল খাওয়ায়- এটা খুবই দুঃখজনক। মানুষ আসলে কাদের ওপর আস্থা রাখবে? এভাবে ১৬ কোটি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা মেনে নেয়া যায় না। এজন্য আমরা আদালতে গিয়েছি। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার হচ্ছে কিনা সেটি এখন তদারকির বিষয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




প্রাণসহ মানহীন সেই ৫২ পণ্যের বিরুদ্ধে খাদ্য কর্তৃপক্ষের মামলা

আপডেট সময় : ০৭:৩১:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০১৯

আদালত প্রতিবেদক;
উচ্চ আদালতের নির্দেশের পরও বাজার থেকে সরিয়ে না নেয়ায় প্রাণসহ মানহীন সেই ৫২টি পণ্যের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

বুধবার নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে খাদ্য আদালতে মামলাটি করেন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের খাদ্য পরিদর্শক কামরুল হাসান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য ও অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির।

প্রাণসহ সেই ৫২টি পণ্য হলো- প্রাণের হলুদ গুঁড়া, ফ্রেশের হলুদ গুঁড়া, মোল্লা সল্টের আয়োডিন যুক্ত লবণ, প্রাণের কারি পাউডার, ড্যানিশের কারি পাউডার, সিটি ওয়েলের সরিষার তেল, গ্রিন ব্লিচিংয়ের সরিষার তেল, শমনমের সরিষার তেল, বাংলাদেশ এডিবল ওয়েলের সরিষার তেল, কাশেম ফুডের চিপস, আরা ফুডের ড্রিংকিং ওয়াটার, আল সাফির ড্রিংকিং ওয়াটার।

মিজানের ড্রিংকিং ওয়াটার, মর্ণ ডিউয়ের ড্রিংকিং ওয়াটার, প্রাণের লাচ্ছা সেমাই, ডুডলি নুডলস, শান্ত ফুডের সফট ড্রিংক পাউডার, জাহাঙ্গীর ফুড সফট ড্রিংক পাউডার, ড্যানিশের হলুদের গুঁড়া, এসিআইয়ের ধনিয়ার গুঁড়া, বনলতার ঘি, পিওর হাটহাজারী মরিচ গুঁড়া, মিস্টিমেলার লাচ্ছা সেমাই, মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, মিঠাইয়ের লাচ্ছা সেমাই, ওয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই।

এসিআইয়ের আয়োডিনযুক্ত লবণ, কিংয়ের ময়দা, রূপসার দই, মক্কার চানাচুর, মেহেদীর বিস্কুট, বাঘাবাড়ীর স্পেশাল ঘি, নিশিতা ফুডসের সুজি, মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, মঞ্জিলের হলুদ গুঁড়া, মধুমতির আয়োডিনযুক্ত লবণ, সান ফুডের হলুদ গুঁড়া, গ্রিন লেনের মধু।

কিরণের লাচ্ছা সেমাই, ডলফিনের মরিচের গুঁড়া, ডলফিনের হলুদের গুঁড়া, সূর্যের মরিচের গুঁড়া, জেদ্দার লাচ্ছা সেমাই, অমৃতের লাচ্ছা সেমাই, দাদা সুপারের আয়োডিনযুক্ত লবণ, মদিনার আয়োডিনযু্ক্ত লবণ ও নুরের আয়োডিনযুক্ত লবণ ডানকানের ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার, আরার ডিউ ড্রিংকিং ওয়াটার, দীঘির ড্রিংকিং ওয়াটার।

এর আগে এসব মানহীন পণ্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্স অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের দুই কর্মকর্তা হাইকোর্টে আসেন। দুই কর্মকর্তা হলেন- বিএসটিআইয়ের পরিচালক প্রকৌশলী এসএম ইসহাক আলী ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিচালক ড. সহদেব চন্দ্র সাহা।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। বিএসটিআইয়ের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সরকার এমআর হাসান আর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম।

বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২টি পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নিতে রিটটি করেন কনসাস কনজুমার সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ।

পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ মে বিএসটিআইয়ের পরীক্ষায় প্রমাণিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৫২টি ভেজাল ও নিম্নমাণের পণ্য জব্দ এবং এসব পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার ও উৎপাদন বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বিএসটিআই ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য অধিদফতরের দুই কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট।

এ ব্যাপারে কনসাস কনজুমার সোসাইটির (সিসিএসের) নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ বলেন, ‘প্রাণের মতো নামি প্রতিষ্ঠান আমাদের ভেজাল খাওয়ায়- এটা খুবই দুঃখজনক। মানুষ আসলে কাদের ওপর আস্থা রাখবে? এভাবে ১৬ কোটি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা মেনে নেয়া যায় না। এজন্য আমরা আদালতে গিয়েছি। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী এসব পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহার হচ্ছে কিনা সেটি এখন তদারকির বিষয়।