সকালের সংবাদ প্রতিবেদক;
ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাতায়াত ও ঈদ আনন্দ নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ, বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেল স্টেশনে যে কোনো ধরনের অপরাধ দমনেও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা গেছে মাঠ পর্যায়ের পুলিশের কাছে।
মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তরে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে এসব নির্দেশ দেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
সভা সূত্র জানায়, বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল এবং রেল স্টেশনে টিকেট কালোবাজারি প্রতিরোধ, অজ্ঞান ও মলম পার্টির অপতৎপরতা বন্ধ এবং চুরি-ছিনতাই রোধে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন করে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় ব্যাংক ও অর্থ লগ্নিকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে মানি এস্কর্ট দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
মহাসড়কে সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা ও হাইওয়ে পুলিশকে নির্দেশ দেন পুলিশপ্রধান জাবেদ পাটোয়ারী।
সভায় সারদা পুলিশ একাডেমির প্রিন্সিপাল অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ নাজিবুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি (এঅ্যান্ডও) ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত আইজি আবদুস সালাম, অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত আইজি মোহাম্মদ আবুল কাশেম, রেলওয়ে রেঞ্জের অতিরিক্ত আইজি মো. মহসিন হোসেন, এসবি প্রধান মীর শহীদুল ইসলাম, সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম ছাড়াও বিভিন্ন মেট্রোপলিটন এলাকার পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ও হাইওয়ে পুলিশসহ অন্যান্য ইউনিটের ডিআইজিরা উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও সভায় ঢাকা, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।