কুষ্টিয়া প্রতিনিধি |
কুষ্টিয়ায় শিক্ষিকাকে ধর্ষণের দায়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান জনাকীর্ণ আদালতে আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার ভবরপাড়া গ্রামের মৃত রহমান মোল্লার ছেলে এবং মুজিবনগর আম্রকানন নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষিকা ২০১৬ সালের ১৩ মে মাধ্যমিক স্কুলশিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে অভিযুক্ত শিক্ষক শরিফুল ইসলামের সঙ্গে কুষ্টিয়া আসেন। কুষ্টিয়া শহরের বড়বাজার এলাকায় আল আমিন আবাসিক হোটেলে মামা-ভাগনি পরিচয়ে পাশাপাশি দুটি কক্ষ ভাড়া নেন। পরদিন সকালে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে শিক্ষক শরিফুল ইসলাম ওই শিক্ষিকার কক্ষে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং বিষয়টি কাউকে না জানাতে বলে হত্যার হুমকিও দেন । এ ঘটনায় গুরুতর অসুস্থ শিক্ষিকা একটি ইজিবাইক ভাড়া করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষক আহত শিক্ষিকাকে ফেলে কৌশলে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষিকা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইনে অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।
কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ কৌঁসুলি আকরাম হোসেন দুলাল জানান, চাঞ্চল্যকর শিক্ষিকা ধর্ষণ মামলায় আসামি শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন পূর্বক বিজ্ঞ আদালত দীর্ঘ সাক্ষ্য শুনানি করেন এবং আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ১ লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন। এই রায়ে ন্যায় বিচার পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা।