নতুন বছরের প্রথম দিনেই বই উৎসব, প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি
- আপডেট সময় : ১০:৩২:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৮৬ বার পড়া হয়েছে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে নির্ধারিত দিনে বই উৎসব পালনে অনিশ্চয়তা দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত এ দিনই উৎসব পালন করা হবে। আগামী ২৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন। আর ১ জানুয়ারি বই উৎসব পালন করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাজমুল হক খান বলেন, ‘আগামী ২৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী বই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। আর ১ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ অথবা শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন সারাদেশে একযোগে বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন। শিক্ষামন্ত্রী যদি উৎসবের দিন অংশ নিতে না পারেন তাহলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বই উৎসবের উদ্বোধন করবেন।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বছরের প্রথম দিনই সারাদেশে একযোগে বই উৎসব পালনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয় প্রধানমন্ত্রীকে। প্রস্তাবে ১ জানুয়ারি বই উৎসব এবং ২৬ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের উল্লেখ করে সারাংশ পাঠানো হয়। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী ২৪ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও ১ জানুয়ারি সারাদেশে বই উৎসব পালনের সম্মতি দেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের পরের দিন ৩১ ডিসেম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এর একদিন পর ১ জানুয়ারি বই উৎসবের দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে। ফলে সেদিন উৎসব পালনে কোনও সমস্যা নেই।
রেওয়াজ অনুযায়ী প্রতিবছর ৩০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বই উৎসবের উদ্বোধন করেন। এরপর ১ জানুয়ারি দেশব্যাপী বই উৎসব পালন করা হয়। বছরের প্রথম দিন শিক্ষামন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এই উৎসবের সূচনা করেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে কারণে এ বছর ৩০ ডিসেম্বরের বদলে আগামী ২৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বই উৎসব পালনের অনুমোদন দেন।
মাধ্যমিকও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব (মাধ্যমিক) সালমা জাহান বলেন, ‘২০১৯ শিক্ষাবর্ষের ৮০ শতাংশ বই ছাপা শেষ হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই বাকি বই ছাপা শেষ হবে। বিনামূল্যের এসব বই বিতরণে কোনও সমস্যা হবে না।’
মন্ত্রণালয় সূত্রে আরও জানা যায়, প্রাক-প্রাথমিকের জন্য ৬৮ লাখ ৫৬ হাজার ২০ কপি, প্রাথমিকের জন্য ৯ কোটি ৮৮ লাখ ৮২ হাজার ৮৯৯ কপি, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষায় ২ লাখ ৭৬ হাজার ৭৮৪ কপি,ইবতেদায়ির জন্য ২ কোটি ২৫ লাখ ৩১ হাজার ২৮৩ কপি, দাখিল মাদ্রাসার জন্য ৩ কোটি ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩৪ কপি, মাধ্যমিক (বাংলা ভার্সন) ১৮ কোটি ৫৩ হাজার ১২২ কপি, ইংরেজি ভার্সনের ১২ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৬ কপি, কারিগরির শিক্ষার্থীদের জন্য ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৯৪৮ কপি, এসএসসি ভোকেশনালের জন্য ১ লাখ ৪৩ হাজার ৮৭৫ কপি, ব্রেইল বই ৫ হাজার ৮৫৭ কপি ও সম্পূরক কৃষির জন্য (ষষ্ঠ থেকে নবম) ১ লাখ ২৪ হাজার ২৬১ কপি বই ছাপা হচ্ছে।