যুবকের চার আঙুল কেটেছেন ‘ছাত্রলীগ নেতা’
- আপডেট সময় : ১০:৫৯:০৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০১৯ ৭৪ বার পড়া হয়েছে
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি,
জমিজমার বিরোধের জেরে সাতক্ষীরায় এক যুবকের ডান হাতের চার আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতা ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে।
শনিবার কলারোয়া উপজেলা সদরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত জি এম তুষার কলারোয়ার পাটুরিয়া গ্রামের মুনসুর গাজীর ছেলে। তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহতের বাবা মুনসুর গাজী বলেন, পাটুরিয়া গ্রামে ৩৩ শতক জমি নিয়ে তাদের সঙ্গে স্থানীয় মন্টুদের বিরোধ চলছিল।
জি এম তুষার জি এম তুষার “এর জের ধরে দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান নাইসের নেতৃত্বে মন্টু, পলাশ, জুয়েলসহ কয়েকজন নেতা-কর্মী তুষারকে পিটিয়ে আহত করে এবং এক পর্যায়ে রামদা দিয়ে তার ডান হাতের চারটি আঙুল কেটে নেয় নাইস।”
তিনি জানান, গুরুতর আহত অবস্থায় তুষারকে উদ্ধার করে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কলারোয়া থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় আহত তুষারের চাচা আবু সিদ্দিক বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ মেহেদী হাসান নাইস বলেন, একটি জমি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল উপজেলার পাটলিয়া গ্রামের মুনসুর আলী গাজীর ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জিএম তুষারের সঙ্গে।
শেখ মেহেদী হাসান নাইস শেখ মেহেদী হাসান নাইস তিনি বলেন, এই নিয়ে কলারোয়া ইসলামী ব্যাংকের সামনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তুষার ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে কথাকাটিকাটি ও মারপিট হয়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ২/৩ জন সামান্য আহত হয়। পরে ছাত্রলীগ নেতা তুষার বিষয়টি থানা পুলিশকে জানিয়ে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন।
“এ খবর পেয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী বেলা দেড়টার দিকে সেখানে উপস্থিত হন।হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা তুষারের সাথে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কথা বলতেই হঠাৎ লোহাকুড়া গ্রামের বাবু তার কাছে থাকা দা দিয়ে তুষারকে কোপ দেয়। এতে সে হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তার ডান হাত কেটে যায়।”
বাবু ছাত্রলীগের কেউ নয় দাবি করে মেহেদী হাসান বলেন, বিষয়টি ঘোলাটে করতে বাবু এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে আহত তুষারের পরিবার তার নামে অভিযোগ করছে কেন জানতে চাইলে শেখ মেহেদী হাসান নাইস বলেন, ঘটনার সময় তিনি ছিলেন, কিন্তু কোপ মারেননি। এ সময় তিনি উত্তেজিত ছিলেন বলে সম্ভবত তার নাম এসেছে বলে তার ধারণা।