ঢাকা ০৪:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




৮৪ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার, আটক ৫ পাচারকারীকে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫০:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০১৯ ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক; 

অবৈধভাবে সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচারের সময় ৮৪ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ও পুলিশ; আটক করা হয়েছে মানব পাচারকারী দলের পাঁচজনকে।

সেইন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ সৈকত এলাকা ও পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া ঘাট থেকে শুক্রবার মধ্যরাতে এই রোহিঙ্গাদের উদ্ধার ও পাচারকারীদের আটক করা হয়।

কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম ফয়জুল ইসলাম মন্ডল বলেন, “একটি মানবপাচারকারী চক্র অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় কিছু লোক পাচার করছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেইন্ট মার্টিনের দক্ষিণ বিচ এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ মানবপাচারকারীকে আটক এবং ১৭ জন রোহিঙ্গা সদস্যকে উদ্ধার করা হয়।”

উদ্ধার রোহিঙ্গাদের মধ্যে শিশুসহ ১০ জন পুরুষ ও সাতজন নারী রয়েছেন।

মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারে শরণার্থী জীবন কাটাচ্ছেন। তারা মানবপাচারকারীদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্যবস্তেু পরিণত হয়েছে।

উদ্ধার ১৭ রোহিঙ্গা এবং আটক ৫ দালালকে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা ফয়জুল।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, “পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। রোহিঙ্গা সদস্যদেরকে আদালতে উপস্থিত করে তাদের নিজ নিজ ক্যাম্পে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।”

অন্য ৬৭ জনকে আটক করা হয় পেকুয়ার উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া ঘাট থেকে।

পেকুয়া থানার ওসি মো. জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য পেকুয়ার উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া ঘাটে কিছুসংখ্যক লোকজনকে জড়ো করা হয়েছে বলে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে যায়।

“এ সময় পুলিশের উপস্থিতির টের পেয়ে পাচারকারী দলের সদস্যরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে ৬৭ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী ও ১৫ জন শিশু রয়েছে।”

ওই রোহিঙ্গাদের জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, “তারা সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য জড়ো হয়েছে বলে স্বীকার করেছে। এতে তারা পাচারকাজে জড়িত বাংলাদেশি চার দালালের নাম পুলিশের কাছে প্রকাশ করে। দালালরা হলেন পেকুয়ার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ টিটু, আব্দুল গনি, মোহাম্মদ মনসুর ও মোহাম্মদ মেজবাহ।”

এসব রোহিঙ্গাকে আবার তাদের শরণার্থী শিবিরে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




৮৪ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার, আটক ৫ পাচারকারীকে

আপডেট সময় : ১০:৫০:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক; 

অবৈধভাবে সাগর পথে মালয়েশিয়া পাচারের সময় ৮৪ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে কোস্ট গার্ড ও পুলিশ; আটক করা হয়েছে মানব পাচারকারী দলের পাঁচজনকে।

সেইন্ট মার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ সৈকত এলাকা ও পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া ঘাট থেকে শুক্রবার মধ্যরাতে এই রোহিঙ্গাদের উদ্ধার ও পাচারকারীদের আটক করা হয়।

কোস্ট গার্ডের টেকনাফ স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম ফয়জুল ইসলাম মন্ডল বলেন, “একটি মানবপাচারকারী চক্র অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় কিছু লোক পাচার করছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেইন্ট মার্টিনের দক্ষিণ বিচ এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ মানবপাচারকারীকে আটক এবং ১৭ জন রোহিঙ্গা সদস্যকে উদ্ধার করা হয়।”

উদ্ধার রোহিঙ্গাদের মধ্যে শিশুসহ ১০ জন পুরুষ ও সাতজন নারী রয়েছেন।

মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার হয়ে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারে শরণার্থী জীবন কাটাচ্ছেন। তারা মানবপাচারকারীদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্যবস্তেু পরিণত হয়েছে।

উদ্ধার ১৭ রোহিঙ্গা এবং আটক ৫ দালালকে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান কোস্ট গার্ড কর্মকর্তা ফয়জুল।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস বলেন, “পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। রোহিঙ্গা সদস্যদেরকে আদালতে উপস্থিত করে তাদের নিজ নিজ ক্যাম্পে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।”

অন্য ৬৭ জনকে আটক করা হয় পেকুয়ার উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া ঘাট থেকে।

পেকুয়া থানার ওসি মো. জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের জন্য পেকুয়ার উজানটিয়া করিমদাদ মিয়া ঘাটে কিছুসংখ্যক লোকজনকে জড়ো করা হয়েছে বলে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে যায়।

“এ সময় পুলিশের উপস্থিতির টের পেয়ে পাচারকারী দলের সদস্যরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে ৬৭ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ২১ জন পুরুষ, ৩১ জন নারী ও ১৫ জন শিশু রয়েছে।”

ওই রোহিঙ্গাদের জিজ্ঞাসাবাদের তথ্য দিয়ে তিনি বলেন, “তারা সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য জড়ো হয়েছে বলে স্বীকার করেছে। এতে তারা পাচারকাজে জড়িত বাংলাদেশি চার দালালের নাম পুলিশের কাছে প্রকাশ করে। দালালরা হলেন পেকুয়ার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ টিটু, আব্দুল গনি, মোহাম্মদ মনসুর ও মোহাম্মদ মেজবাহ।”

এসব রোহিঙ্গাকে আবার তাদের শরণার্থী শিবিরে পাঠানো হবে বলে তিনি জানান।