ঢাকা ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




মাসে লাখ টাকা চাঁদা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের পকেটে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০২:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০১৯ ১৫০ বার পড়া হয়েছে

বরিশাল প্রতিনিধি;
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার বগুড়া পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

দোকানপাট, ফুটপাতে বসা ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসে প্রায় লাখ টাকা চাঁদা তোলেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শরিফুল ইসলাম।

ভুক্তভোগীরা জানান, ফাঁড়ি এলাকার ফুটপাতে বসা দোকান থেকে নির্দিষ্ট অংকের টাকা দালালের মাধ্যমে ফাঁড়ি ইনচার্জের পকেটে যায়। বিএম কলেজের সামনে ভ্রাম্যমাণ দোকানসহ ৭টি দোকান থেকে মাসে ১৫শ’ টাকা নেন শরিফুল ইসলাম।

নতুনবাজারের ফুটপাতে বসা ৪০টি দোকান থেকে মাসে ৪শ’, জেলখানা মোড়ের ৭টি চটপটির দোকান থেকে ১ হাজার, তিনটি ভাঙ্গারি দোকান থেকে মাসে ১৫শ’, মরকখোলার পুলের স্ট্যান্ড থেকে মাসে ২ হাজার টাকা নেন তিনি। মুন্সী গ্যারেজে ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করা ১০টি ভ্যান থেকে প্রতিদিন ১শ’, ফাঁড়ি এলাকার টেম্পো স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন ২শ’, ভিসা অফিসের দালালদের কাছ থেকে প্রতিদিন ৫শ’সহ বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে টাকা আদায় করে থাকেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।

অভিযোগ রয়েছে, নতুনবাজার এলাকা, বিএম কলেজ ও আশপাশের এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরাও তাকে চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করে থাকেন। বিএম কলেজ এলাকার এক মাদক ব্যবসায়ী জানান, প্রতি মাসের ১ তারিখের মধ্যে টাকা না পেলে আমাদের ডিস্টার্ব করেন ফাঁড়ি ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম। টাকা দিলে সব ঠিক থাকে। বিএম কলেজের সামনের এক ব্যবসায়ী জানান, আমরা আগে সরাসরি টাকা দিতাম, কিন্তু এখন এক লোক সব দোকানির টাকা একসঙ্গে করে তাকে দিয়ে আসেন।

মাসে আগে ১ হাজার টাকা দিতাম, কিন্তু এখন ১৫শ’ দেই। টাকা দিলে ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারি, আর তা না হলে পুলিশ এসে সরিয়ে দেয় এখান থেকে। নতুনবাজারের কয়েকজন ফুটপাতের ব্যবসায়ী জানান, সবাই তাকে টাকা দেয়, তাই আমরাও দেই। টাকা দিয়ে যদি ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারি, সমস্যা কি। টাকা দিয়ে ঝামেলা সরিয়ে রাখাই ভালো।

বগুড়া পুলিশ ফাঁড়ির এক সদস্য জানান, এখানের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার কাছে একটি লিস্ট আছে। কোথা থেকে টাকা আসবে এবং কবে সেই টাকা আসবে। লিস্ট অনুযায়ী টাকা সবসময়ই আসে, আর না আসলে অভিযান (ফুটপাত থেকে উচ্ছেদ) চলে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের ফুটপাত থেকে সরিয়ে দেয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করছে। এদের কারণে যান চলাচলে সমস্যা হয়। জনভোগান্তি রোধে কাজ করায় এসব ব্যবসায়ীর সমস্যা হচ্ছে। তাই তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মাসে লাখ টাকা চাঁদা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের পকেটে

আপডেট সময় : ১১:০২:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০১৯

বরিশাল প্রতিনিধি;
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার বগুড়া পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

দোকানপাট, ফুটপাতে বসা ও ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসে প্রায় লাখ টাকা চাঁদা তোলেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শরিফুল ইসলাম।

ভুক্তভোগীরা জানান, ফাঁড়ি এলাকার ফুটপাতে বসা দোকান থেকে নির্দিষ্ট অংকের টাকা দালালের মাধ্যমে ফাঁড়ি ইনচার্জের পকেটে যায়। বিএম কলেজের সামনে ভ্রাম্যমাণ দোকানসহ ৭টি দোকান থেকে মাসে ১৫শ’ টাকা নেন শরিফুল ইসলাম।

নতুনবাজারের ফুটপাতে বসা ৪০টি দোকান থেকে মাসে ৪শ’, জেলখানা মোড়ের ৭টি চটপটির দোকান থেকে ১ হাজার, তিনটি ভাঙ্গারি দোকান থেকে মাসে ১৫শ’, মরকখোলার পুলের স্ট্যান্ড থেকে মাসে ২ হাজার টাকা নেন তিনি। মুন্সী গ্যারেজে ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করা ১০টি ভ্যান থেকে প্রতিদিন ১শ’, ফাঁড়ি এলাকার টেম্পো স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন ২শ’, ভিসা অফিসের দালালদের কাছ থেকে প্রতিদিন ৫শ’সহ বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে টাকা আদায় করে থাকেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।

অভিযোগ রয়েছে, নতুনবাজার এলাকা, বিএম কলেজ ও আশপাশের এলাকার মাদক ব্যবসায়ীরাও তাকে চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করে থাকেন। বিএম কলেজ এলাকার এক মাদক ব্যবসায়ী জানান, প্রতি মাসের ১ তারিখের মধ্যে টাকা না পেলে আমাদের ডিস্টার্ব করেন ফাঁড়ি ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম। টাকা দিলে সব ঠিক থাকে। বিএম কলেজের সামনের এক ব্যবসায়ী জানান, আমরা আগে সরাসরি টাকা দিতাম, কিন্তু এখন এক লোক সব দোকানির টাকা একসঙ্গে করে তাকে দিয়ে আসেন।

মাসে আগে ১ হাজার টাকা দিতাম, কিন্তু এখন ১৫শ’ দেই। টাকা দিলে ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারি, আর তা না হলে পুলিশ এসে সরিয়ে দেয় এখান থেকে। নতুনবাজারের কয়েকজন ফুটপাতের ব্যবসায়ী জানান, সবাই তাকে টাকা দেয়, তাই আমরাও দেই। টাকা দিয়ে যদি ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারি, সমস্যা কি। টাকা দিয়ে ঝামেলা সরিয়ে রাখাই ভালো।

বগুড়া পুলিশ ফাঁড়ির এক সদস্য জানান, এখানের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তার কাছে একটি লিস্ট আছে। কোথা থেকে টাকা আসবে এবং কবে সেই টাকা আসবে। লিস্ট অনুযায়ী টাকা সবসময়ই আসে, আর না আসলে অভিযান (ফুটপাত থেকে উচ্ছেদ) চলে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের ফুটপাত থেকে সরিয়ে দেয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করছে। এদের কারণে যান চলাচলে সমস্যা হয়। জনভোগান্তি রোধে কাজ করায় এসব ব্যবসায়ীর সমস্যা হচ্ছে। তাই তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।