অনলাইন ডেস্ক |
শেষ তিন ওভারে দরকার ছিল ২৭ রান। বোলিংয়ে এলেন ফাবিয়ান অ্যালেন। উইন্ডিজ এই স্পিনারের ওভারেই ম্যাচ দফারফা করে ফেললেন মোসাদ্দেক হোসেন। নিলেন তিন ছক্কা ও এক চারসহ ২৫ রান! জয় চলে আসে বাংলাদেশ দলের একেবারে নাগালে।
ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারানোর পর মোসাদ্দেক জানালেন, দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে অ্যালেনের ওই ওভারটাই টার্গেট করেছিলেন তারা।
“ঐ ওভারে একটা ছক্কার পর মনে হলো, এ ওভারে রান যতটা এগিয়ে নেওয়া যায়। ৩ ওভারে ২৭ রান দরকার ছিল। ঐ ওভারটা আমরা টার্গেট করেছিলাম, রানটা এগিয়ে রাখব।”
দলের অবিশ্বাস্য জয়ে পাঁচ ছক্কা ও দুই চারে ২৪ বলে ৫২ রান করে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন মোসাদ্দেক। অপরাজিত ইনিংসটি খেলার পথে ২০ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করে বাংলাদেশের ইতিহাসে ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটি হাঁকানোর রেকর্ডটিও নিজের করে নেন মিডঅ অর্ডার এই ব্যাটসম্যান।
কঠিন পরিস্থিতিটা সামাল দেওয়া প্রসঙ্গে ম্যাচসেরা মোসাদ্দেক বলেন, “যখন ব্যাটিংয়ে যাই একটা বিষয়ই কাজ করছিল যে আমাকে ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে হবে। তখন পরিস্থিতি খুব বেশি সহজ ছিল না। চেষ্টা করছিলাম যেমন বল হবে সে অনুযায়ী খেলবো।”
আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনের মেলাহাইড স্টেডিয়ামে শুক্রবার উইন্ডিজের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর ফাইনালে ৫ উইকেটের জয়ে দারুণ এক ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশ। সাতবারের চেষ্টায় প্রথম কোনো বহুজাতিক সিরিজে ট্রফি জয়ের আনন্দে মাতে তারা।
ঐতিহাসিক ম্যাচটিতে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০.১ ওভারে ১৩১ রান করার বৃষ্টি বাগড়া দেয় খেলায়। সোয়া পাঁচ ঘণ্টা পর খেলা আবার শুরু হলে ম্যাচ নেমে আসে ২৪ ওভারে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তোলে ১ উইকেটে ১৫২ রান। ডাকওয়ার্থ-লুইসে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২১০। বড় এই লক্ষ্যে খেই হারায়নি টাইগাররা। সৌম্য-মোসাদ্দেকের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ৭ বল হাতে রেখেই জয়ের আনন্দে ভাসে তারা।