বিশেষ প্রতিনিধি;
বকশিস না পাওয়ায় নাটোরের বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশ ৩৫ হাজার ডিম নষ্ট করে দেয়। ছবি: ইত্তেফাক
২০ হাজার টাকা বকশিস না পাওয়ায় নাটোরের বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের ৩৫ হাজার পিস মুরগির ডিম নষ্ট করার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনায় সম্পৃক্ত ৬ পুলিশ সদস্যকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করে হাইওয়ে বগুড়া রিজিয়ন সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গত ১৬ মে ‘বকশিস না পেয়ে ৩৫ হাজার ডিম নষ্ট’ শিরোনামের সংবাদ পুলিশ সদরের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এরপরই ডিমের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটি অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। ডিমের মালিক বিপ্লব কুমার সাহা (৩৫) বগুড়া হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার বরাবর যে অভিযোগ করেছেন তা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগ ও প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা অনুসন্ধানে হাইওয়ে পুলিশ বগুড়া রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহিদ উল্লাহকে প্রধান করে শুক্রবার এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে মতামতসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত তদন্তের স্বার্থে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত ৬ পুলিশ সদস্যকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করে হাইওয়ে বগুড়া রিজিয়ন সদর দফতরে সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান সোহেল রানা।
আরো পড়ুন: ক্রিকেট নিয়ে প্রতীক হাসানের নতুন গান
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ভোরে নাটোরের বড়াইগ্রাম হাটিকুমরুল মহাসড়কের আগ্রান সুতিরপাড় এলাকায় ঘুষ না দেয়ায় রশি কেটে পিকআপে থাকা পৌনে তিন লাখ টাকার ডিম রাস্তায় ফেলে নষ্ট করে দেয় বনপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশ। এতে প্রায় সব ডিম ভেঙে নষ্ট হয়ে যায়। ডিমের মালিক সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল গ্রামের মেসার্স প্রীতিমনি এন্টারপ্রারাইজের মালিক বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, আমি চালকের মোবাইল দিয়ে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারের সঙ্গে কথা বলেছি। রশি না কাটার জন্য হাতে-পায়ে ধরে পুলিশকে অনুরোধ করেছি। তারা আমার কোনো কথাই শোনেনি। সবগুলো ডিম নষ্ট হয়ে গেল। আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম।