বান্দরবানে পরিত্যক্ত রকেট লাঞ্চার বিস্ফোরণে ২ সেনাসদস্য নিহত, আহত ১০
- আপডেট সময় : ১০:২৪:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০১৯ ১২৩ বার পড়া হয়েছে
বান্দরবান প্রতিনিধি;
বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের আমতলি এলাকায় সেনাবাহিনীর ফায়ারিং প্রশিক্ষণ রেঞ্জে পরিত্যক্ত রকেট লাঞ্চার বিস্ফোরণে দুই সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। শুক্রবার সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- জাহিদুল ইসলাম ও নিপুণ চাকমা। তাদের মধ্যে জাহিদুলের বাড়ি বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নে। নিপুণের বা ড়ি রাঙামাটি জেলায়। আহতদেরকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রাজু ও হাসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সেনাবাহিনীর ১৬ প্যারা ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শনিবার বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নে সেনাবাহিনীর ফায়ারিং রেঞ্জ এলাকায় ফায়ারিং প্রশিক্ষণ হওয়ার কথা ছিল। তাই শুক্রবার সকালে ওই এলাকায় জঙ্গল পরিস্কার করছিলেন কয়েকজন সেনাসদস্য। সকাল ১০টা ২০ মিনিটের দিকে প্রশিক্ষণের জন্য আগে ছোড়া অবিস্ফোরিত রকেট লাঞ্চার বিস্ফোরিত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই জাহিদুল ইসলামের মৃত্যু ঘটে। হেলিকপ্টারে করে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়ার পথে নিপুণ চাকমার মৃত্যু হয়।
সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে আহত সেনাসদস্যদের উদ্ধার করে প্রথমে সাতকানিয়া বিজিবির বাইতুল ইজ্জত ট্রেনিং সেন্টারের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর গুরুতর আহত ৫ জনকে দ্রুত হেলিকপ্টারে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে রাজু ও হাসানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত অপর পাঁচজনকে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে আসাদ, তারিকুল, মোস্তাফিজ, আরিফসহ অন্যরা শঙ্কামুক্ত রয়েছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে জাহিদুলের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এরপর গাড়িতে করে লাশ লামায় তার বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছিল। এদিকে নিহত নিপুণ চাকমার লাশও ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে তার রাঙামাটির বাড়িতে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
লামা প্রতিনিধি জানান, জাহিদুল ইসলামের মৃত্যুর খবরে লামা উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের হায়দারনাশী পাড়ায় তার বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। ছেলে হারানোর শোক সইতে না পেরে বার বার অজ্ঞান হয়ে পড়ছিলেন বাবা ইউসুফ আলী। মূর্ছা যাচ্ছিলেন জাহিদুলের মাও।