ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার, ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
- আপডেট সময় : ১১:৩২:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০১৯ ১৩৮ বার পড়া হয়েছে
অপরাধ প্রতিবেদক;
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে যুগ্ম সচিব (প্রশাসন ও অর্থ) আসাদুল ইসলামের নামে একটি ওয়ার্ক অর্ডার বের হয় গত ১০ মার্চ। এতে সীমান্ত এলাকায় গবাদি পশুর বিট শুল্ক আদায়ের জন্য আউট সোর্সিংয়ের মাধ্যমে ১ হাজার ৭৪৩ জনকে নিয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয় সিয়া এন্টারপ্রাইজ নামে এক প্রতিষ্ঠানকে। জনবল নিয়োগের জন্য প্রতিষ্ঠানটি একটি পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে। চলতি বছরের ১২ মে এর মধ্যে এই লোকবল নিয়োগ সম্পন্ন করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ওয়ার্ক অর্ডারে।
কিন্তু গত ১৪ মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এক চিঠিতে জানিয়েছে, আসাদুল ইসলাম নামে কোনও যুগ্ম সচিব রাজস্ব বোর্ডে নেই। ওয়ার্ক অর্ডারটি ভুয়া এবং এই ওয়ার্ক অর্ডারের সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কোনও সম্পৃক্ততা নেই। র্যাব-৩ এর অধিনায়ক বরাবর পাঠানো এই চিঠিতে ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার ও নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির পেছনে যারা রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানায় রাজস্ব বোর্ড।
র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. এমরানুল হাসান বলেন, আমরা চিঠি পাওয়ার পর ঘটনার তদন্ত শুরু করি। ১৫ এপ্রিল বিকালে মালিবাগ চৌধুরীপাড়া এলাকা থেকে দুই প্রতারককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। তারা দীর্ঘদিন এভাবে ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রকাশ করে চাকরি প্রত্যাশীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।’
এই প্রতারকদের গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-৩ এর অপারেশন অফিসার অ্যাডিশনাল এসপি এ বি এম ফয়জুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রতারক চক্রের দুজন হলেন- হারুন অর রশিদ অরফে পরাগ (৫৪) ও মো. নুরুল ইসলাম শেখ (৫৬)। তারা গত ১০ মার্চ ‘দৈনিক প্রতিদিন নামে’ একটি পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়।
এতে বলা হয়, ট্যাক্স আদায়ের জন্য এসএসসি পাশ লোক আবশ্যক। পরবর্তীতে বিষয়টি এনবিআরের নজরে আসে। তারা আমাদের একটি চিঠি দিয়ে এটা জানায়। আমরা প্রতারকদের গ্রেফতার করেছি। তাদের বিরুদ্ধে রামপুরা থানায় মামলা হয়েছে।
মামলার তদন্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রতারকদের একজনের বাড়ি পটুয়াখালী, অপরজনের বাড়ি ফরিদপুরে। প্রতারকরা মালিবাগ, চৌধুরীপাড়া মজিদ সাহেবের বাড়ির (বি-৩৩) ৪র্থ তলায় চক্রটি প্রিন্টিং প্রেস ব্যবসার আড়ালে প্রতারণার কাজগুলো করতো।
বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগের নামে চাকরি প্রত্যাশী লোকজনের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা আদায়ের মাধ্যমে প্রতারণা করে আসছিল। যা তারা তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে স্বীকার করেছে।
রামপুরা থানার এসআই শরীফ জানান, প্রতারণার মামলায় তাদের আদালতে পাঠানোর পর আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়েছে। আসামিরা বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।