ফতুল্লায় প্রতারণার অভিযোগে যুবলীগ কর্মী আটক

- আপডেট সময় : ০৯:১৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০১৯ ১৯৮ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ;
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পল্লী চিকিৎসককে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ইউসুফ (৩৫) নামের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। সে ফতুল্লা থানা যুবলীগের কর্মী বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাতে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুরস্থ রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউসুফকে আটক করা হয়। ইউসুফ ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুরস্থ রেলস্টেশন এলাকার নুরু ঘটকের ছেলে।
প্রতারণার শিকার ফতুল্লার মুসলিমনগর নয়াবাজার এলাকার মৃত আজহার আলীর ছেলে মিলন হোসেন। তিনি নয়াবাজার এলাকার একজন পল্লী চিকিৎসক। নয়াবাজারে তার ফার্মেসির দোকান রয়েছে।
মিলন হোসেন জানান, ১২ মে দুপুরে ফামের্সির ওষুধ নিতে ঢাকায় যাওয়ার জন্য ফতুল্লা রেল স্টেশনে যায় মিলন। স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষা করার সময় ৫-৬ লোক অস্ত্রের মুখে তাকে একটু দূরে নিয়ে কিছু বলার আগেই মারধর এবং পকেটে থাকা ১০ হাজার টাকা ও একটি স্বর্ণের আংটি ছিনিয়ে নেয়। এরপর নারী দিয়ে ফাঁসানো ভয় দেখিয়ে আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। এ সময় জান ও মান বাঁচাতে মিলন বিকাশের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ৩০ হাজার টাকা এনে দিলে ছেড়ে দেয়া হয়। ছাড়া পাওয়ার পর খোঁজ নিয়ে মিলন জানতে পারে তারা প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা ফতুল্লার রেলস্টেশনসহ আশপাশের এলাকায় নারী দিয়ে ফাসানোর ভয় দেখনোসহ বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। এ ঘটনায় মিলন হোসেন বাদী হয়ে ফতুল্লার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকার শাহজামালের ছেলে রুবেল, নুরু ঘটকের ছেলে ইউসুফ, শাহার ছেলে সানী, শাহজালালের ছেলে জুয়েলকে আসামি করে ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ করেন।
তিনি আরও জানান, ফতুল্লা রেলস্টেশনসহ আশপাশের এলাকায় একটি প্রতারক চক্র রয়েছে। চক্রটি ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলীর সঙ্গে রাজনীতি করে। তারা যুবলীগ নেতার পরিচয় দিয়ে এসব অপকর্ম করে। মীর সোহেলের লোক হওয়ায় কেউ কোনো প্রতিবাদ করে না।
ফতুল্লা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসানুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, প্রতারণার করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা নেয়া ও মারধরের ঘটনায় ইউসুফ নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা এবং অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।