গ্রাম্য সালিশে বাবাকে দিয়ে জুতাপেটা, লজ্জায় স্কুলছাত্রের আত্মহত্যা

- আপডেট সময় : ১০:৩৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০১৯ ১১৪ বার পড়া হয়েছে

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) প্রতিনিধি;
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করার অপরাধে গ্রাম্য সালিশে বাবাকে দিয়ে জুতাপেটা করানোয় লজ্জায় এক স্কুলছাত্র আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিহতের তার নাম জসিম উদ্দিন (১৫)। সে উপজেলার সাহাব্দিপুর গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে ও পিরিজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ি থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে উপজেলার সরমংলা খাড়ির পাশে র্নিজন এলাকায় একটি গাছে তার লাশ ঝুলতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, পিরিজপুর এলাকার এক স্কুলছাত্রীর সঙ্গে জসিমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পিরিজপুর এলাকার মাঠে তারা দুজন দেখা করে। তখন স্থানীয়রা তাদের একটি বাড়িতে আটকে রাখে। পরে রাতেই গ্রাম্য সালিশ বসানো হয়। সেখানে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রফিকুল ইসলাম জসিমের বাবাকে দিয়ে তাকে জুতাপেটা করান। এরপর আর রাতে বাড়ি ফেরেনি জসিম। ধারণা করা হচ্ছে, লোকলজ্জায় রাতেই সরমংলা খাড়ির পাশের একটি গাছে রশি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয় সে।
ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম সালিশ বৈঠক করার কথা স্বীকার করেছেন। তবে সেখানে জসিমকে জুতাপেটা করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ী থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। নিহতের বাবার সঙ্গে কথা হচ্ছে। সব বিষয় জেনে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ময়নাতদন্তের জন্য জসিমের লাশ রাজশাহী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।