ঢাকা ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান Logo সাফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যাডহক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হলেন এইচ এম আল-আমিন Logo সওজ ও গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ দোসর মুস্তাফিজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ২০০ কোটি টাকা নয়ছয় করেও বহাল জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয় জিম্মি শহিদুল! Logo আওয়ামী লীগের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলায় এনআরবি ব্যাংক’ ২ পরিচালকের অর্থ সহায়তা Logo ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ফায়ারের উপ-পরিচালক দীনোমনির বিরূদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগ




ভেজাল বিরোধী অভিযানের ‘সুফল পাচ্ছেন না’ ভোক্তারা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০১৯ ১৭৭ বার পড়া হয়েছে

সকালের সংবাদ;
একদিকে ভেজাল, অন্যদিকে অতিরিক্ত মূল্য। সব মিলিয়ে আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার যেন এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় ভোগান্তি নগরবাসীর জন্য। প্রতিনিয়ত অভিযান চললেও তা পর্যাপ্ত না হওয়ায় কোনো সুফল মিলছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

প্রয়োজনের কাছে অসহায় নগরবাসী। আর রমজান আসলে যেন তা বেড়ে যায় বহুগুণে। অতিরিক্ত মূল্য আর ভেজাল পণ্য-একে অন্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়িয়ে যাচ্ছে ভোক্তাদের দুর্ভোগ।

কয়েকজন ভোক্তা বলেন, প্রায় সকল পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।

অভিযোগ অকপটে স্বীকার করলেও মূলত পাইকারি বাজারের অস্থিরতাকেই দায়ী করছেন বিক্রেতারা।

এই ভোগান্তি সহনীয় পর্যায়ে আনতে বছরজুড়েই চলে অভিযান। তবে রমজানকে সামনে রেখে তা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে জনবল সংকট।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে পারলে সমস্যার সমাধান সম্ভব। তবে আমাদের জনবলের সংকট রয়েছে।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, রমজান আসলে আমাদের নজরদারি বাড়াতে হয়। এই সময়ে অধিক মুনাফার লোভে অনেকে ভেজাল করতে চান।

স্থায়ী সমাধান চান ভোক্তারা। সমাধান কোথায়? প্রশ্নের উত্তরে কঠোর শাস্তি প্রয়োগের পাশাপাশি অভিযান চলমান রাখার কথা জানাল কর্তৃপক্ষ।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শফিকুল ইসলাম লস্কর বলেন, যারা ভেজাল করেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। বারবার কেউ এই কাজ করলে তার লাইসেন্স বাতিলের আবেদন জানানো হবে।

বাজার তদারকির সময় দায়িত্বরত কর্মকর্তার কোনো গাফিলতি বা দুর্নীতির প্রমাণ পেলে তা দ্রুত লিখিত আকারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে দেয়ার পরামর্শ কর্তৃপক্ষের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ভেজাল বিরোধী অভিযানের ‘সুফল পাচ্ছেন না’ ভোক্তারা

আপডেট সময় : ০৭:৫৯:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০১৯

সকালের সংবাদ;
একদিকে ভেজাল, অন্যদিকে অতিরিক্ত মূল্য। সব মিলিয়ে আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার যেন এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় ভোগান্তি নগরবাসীর জন্য। প্রতিনিয়ত অভিযান চললেও তা পর্যাপ্ত না হওয়ায় কোনো সুফল মিলছে না বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

প্রয়োজনের কাছে অসহায় নগরবাসী। আর রমজান আসলে যেন তা বেড়ে যায় বহুগুণে। অতিরিক্ত মূল্য আর ভেজাল পণ্য-একে অন্যের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়িয়ে যাচ্ছে ভোক্তাদের দুর্ভোগ।

কয়েকজন ভোক্তা বলেন, প্রায় সকল পণ্যের দাম বেড়ে গেছে।

অভিযোগ অকপটে স্বীকার করলেও মূলত পাইকারি বাজারের অস্থিরতাকেই দায়ী করছেন বিক্রেতারা।

এই ভোগান্তি সহনীয় পর্যায়ে আনতে বছরজুড়েই চলে অভিযান। তবে রমজানকে সামনে রেখে তা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে জনবল সংকট।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে পারলে সমস্যার সমাধান সম্ভব। তবে আমাদের জনবলের সংকট রয়েছে।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, রমজান আসলে আমাদের নজরদারি বাড়াতে হয়। এই সময়ে অধিক মুনাফার লোভে অনেকে ভেজাল করতে চান।

স্থায়ী সমাধান চান ভোক্তারা। সমাধান কোথায়? প্রশ্নের উত্তরে কঠোর শাস্তি প্রয়োগের পাশাপাশি অভিযান চলমান রাখার কথা জানাল কর্তৃপক্ষ।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শফিকুল ইসলাম লস্কর বলেন, যারা ভেজাল করেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব। বারবার কেউ এই কাজ করলে তার লাইসেন্স বাতিলের আবেদন জানানো হবে।

বাজার তদারকির সময় দায়িত্বরত কর্মকর্তার কোনো গাফিলতি বা দুর্নীতির প্রমাণ পেলে তা দ্রুত লিখিত আকারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে দেয়ার পরামর্শ কর্তৃপক্ষের।