ঢাকা ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




ডাক্তারকে ‘ধর্ষণের’ হুমকি দাতা সেই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তারের ৪৫ মিনিটেই জামিন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০১৯ ৬৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক,
সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে ‘ধর্ষণের’ হুমকি দেওয়া ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার হোসেন চৌধুরী আটকের ৪৫ মিনিট পরই জামিনে মুক্ত পেয়েছেন।

মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোস্তাইন বিল্লাহ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এ কারণে আটকের ৪৫ মিনিটের মাথায় তিনি ছাড়া পান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আইয়ুব আলী জানান, আদালত শুনানি শেষে ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্র জানায়, মামলাটি জামিন যোগ্য ধারায় হওয়াতে আদালত দক্ষিণ সুরমা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সারোয়ার হোসেনকে জামিন প্রদান করেন।

সারোয়ার হোসেনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিঞা বলেন, ‘বেলা আড়াইটার দিকে আদালতের গেট থেকে তাকে ধরার পর সারোয়ার পুলিশকে জানায় সে জামিন নিয়েছে। পরবর্তীতে আদালতের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তাকে সোয়া ৩টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’

এর আগে, সোমবার রাতে সারোয়ারের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফেরদৌস আহমেদ। মামলায় ১৩ জন চিকিৎসককে সাক্ষী করা হয়েছে।

গত ৯ মে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর চিকিৎসাসেবা নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সারোয়ার হোসেন চৌধুরীর। একপর্যায়ে চিকিৎসক ডা. নাজিফা আনজুম নিশাতকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেন সারোয়ার। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এ ঘটনায় শনিবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তারা বলেন, ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার ইন্টার্ন চিকিৎসককে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে অসদাচরণ করার প্রতিবাদে সকাল থেকে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। তারা সারোয়ার হোসেন চৌধুরীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ডাক্তারকে ‘ধর্ষণের’ হুমকি দাতা সেই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তারের ৪৫ মিনিটেই জামিন

আপডেট সময় : ০৫:২১:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক,
সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে ‘ধর্ষণের’ হুমকি দেওয়া ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার হোসেন চৌধুরী আটকের ৪৫ মিনিট পরই জামিনে মুক্ত পেয়েছেন।

মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হওয়ার আগেই সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোস্তাইন বিল্লাহ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এ কারণে আটকের ৪৫ মিনিটের মাথায় তিনি ছাড়া পান।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বেঞ্চ সহকারী আইয়ুব আলী জানান, আদালত শুনানি শেষে ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার হোসেনের জামিন মঞ্জুর করেন।

আদালত সূত্র জানায়, মামলাটি জামিন যোগ্য ধারায় হওয়াতে আদালত দক্ষিণ সুরমা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সারোয়ার হোসেনকে জামিন প্রদান করেন।

সারোয়ার হোসেনকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি সেলিম মিঞা বলেন, ‘বেলা আড়াইটার দিকে আদালতের গেট থেকে তাকে ধরার পর সারোয়ার পুলিশকে জানায় সে জামিন নিয়েছে। পরবর্তীতে আদালতের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তাকে সোয়া ৩টার দিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’

এর আগে, সোমবার রাতে সারোয়ারের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফেরদৌস আহমেদ। মামলায় ১৩ জন চিকিৎসককে সাক্ষী করা হয়েছে।

গত ৯ মে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর চিকিৎসাসেবা নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সারোয়ার হোসেন চৌধুরীর। একপর্যায়ে চিকিৎসক ডা. নাজিফা আনজুম নিশাতকে ধর্ষণ ও হত্যার হুমকি দেন সারোয়ার। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

এ ঘটনায় শনিবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। তারা বলেন, ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ার ইন্টার্ন চিকিৎসককে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে অসদাচরণ করার প্রতিবাদে সকাল থেকে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। তারা সারোয়ার হোসেন চৌধুরীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।