ঢাকা ০৭:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




ঈদে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে বিশেষ সার্ভিসে ২৩ যাত্রীবাহী লঞ্চ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৪২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০১৯ ৮২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল;
আসন্ন ঈদ-উল ফিতরের বিশেষ সার্ভিসে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে যাত্রী পরিবহনে যুক্ত হচ্ছে ২৩টি বেসরকারি বিলাসবহুল নৌযান। পাশাপাশি গ্রিনলাইন ওয়াটার ওয়েজ কোম্পানির দু’টি ও অ্যাভেঞ্চার কোম্পানির একটি জাহাজ দিবা সার্ভিসে দেবে। এছাড়া বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ৫টি জাহাজও যাত্রীসেবায় নিয়োজিত থাকছে।

তবে যাত্রী চাহিদার ওপর ভিত্তি করে লঞ্চের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে লঞ্চ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি লঞ্চ কোম্পানি ঈদ সার্ভিসের টিকিটও বিক্রি শুরু করে দিয়েছে। বিশেষ করে এমভি কীর্তনখোলা, এমভি মানামী, এমভি টিপু ও গ্রিনলাইন নগদ ভিত্তিতে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য একদিন আগে অর্থাৎ ১১ মে থেকে সরাসরি যাত্রীদের কাছে স্পেশাল সার্ভিসের টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু করে অ্যাডভেঞ্চার লঞ্চ কোম্পানি।

এছাড়া বরিশাল-ঢাকা নৌরুটের তিনটি লঞ্চে বিশেষ সার্ভিসের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির অগ্রিম টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ অগ্রিম টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে গত ১২ মে থেকে আবেদন নেওয়া শুরু করেছে। এ আবেদন গ্রহণের কার্যক্রম চলবে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত। পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই শেষে নির্দিষ্ট বিশেষ সার্ভিসের কেবিন ও সোফার টিকিট যাত্রীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে জানা গেছে।

সালমা শিপিং কর্পোরেশেনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস সময়ের আলোকে বলছেন- এবারের ঈদে যাত্রীদের ফিরতে যেন কোন দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সেই বিষয়টি খেয়াল রেখে আগেভাগেই টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। তাছাড়া বিশেষ সার্ভিসেও বিগত বছরগুলোর তুলনায় নৌযান বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে এবার বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে যাত্রী ভোগান্তি থাকবে না বলে মনে করেন তিনি।

সন্দুরবন নেভিগেশন কোম্পানির মালিক ও কেন্দ্রীয় লঞ্চ মলিক সমিতির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু জানিয়েছেন- ঈদ-উল ফিতরের বিশেষ সার্ভিসে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে ২৩ টি প্রাথমিকভাবে নামানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি লঞ্চ দিনে দুটি করে ট্রিপ দেবে। এর পরে যাত্রী চাহিদা থাকলে লঞ্চের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।

তাছাড়া ১৮ মে রাজধানীতে মালিক সমিতির একটি বৈঠক রয়েছে। সেখানেও বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস শুরু নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।

এর আগে গত সপ্তাহে ঈদ সার্ভিস উপলক্ষে রাজধানীতে আন্ত: মন্ত্রণালয় একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে নিরবিচ্ছিন্ন যাত্রীসেবা দেওয়ার বিষয়েও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মালিক পক্ষের আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

অপরদিকে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে ঈদ-উল ফিতরের বিশেষ সার্ভিস দিতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশনের পক্ষ থেকেও প্রস্তুতির বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

এই প্রতিষ্ঠানটির বরিশাল অফিসের সহকারি মহা-ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন- তাদের প্রতিষ্ঠানের এমভি মধুমতি, এমভি বাঙালী, পিএস চান, পিএস মাসুদ ও পিএস লেপচা নামক ৫টি জাহাজ যাত্রীসেবায় নিয়োজিত থাকবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ঈদে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে বিশেষ সার্ভিসে ২৩ যাত্রীবাহী লঞ্চ

আপডেট সময় : ০৪:৪২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল;
আসন্ন ঈদ-উল ফিতরের বিশেষ সার্ভিসে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে যাত্রী পরিবহনে যুক্ত হচ্ছে ২৩টি বেসরকারি বিলাসবহুল নৌযান। পাশাপাশি গ্রিনলাইন ওয়াটার ওয়েজ কোম্পানির দু’টি ও অ্যাভেঞ্চার কোম্পানির একটি জাহাজ দিবা সার্ভিসে দেবে। এছাড়া বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ৫টি জাহাজও যাত্রীসেবায় নিয়োজিত থাকছে।

তবে যাত্রী চাহিদার ওপর ভিত্তি করে লঞ্চের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে লঞ্চ মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি লঞ্চ কোম্পানি ঈদ সার্ভিসের টিকিটও বিক্রি শুরু করে দিয়েছে। বিশেষ করে এমভি কীর্তনখোলা, এমভি মানামী, এমভি টিপু ও গ্রিনলাইন নগদ ভিত্তিতে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। অবশ্য একদিন আগে অর্থাৎ ১১ মে থেকে সরাসরি যাত্রীদের কাছে স্পেশাল সার্ভিসের টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু করে অ্যাডভেঞ্চার লঞ্চ কোম্পানি।

এছাড়া বরিশাল-ঢাকা নৌরুটের তিনটি লঞ্চে বিশেষ সার্ভিসের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির অগ্রিম টিকিট বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ অগ্রিম টিকিট দেওয়ার ক্ষেত্রে গত ১২ মে থেকে আবেদন নেওয়া শুরু করেছে। এ আবেদন গ্রহণের কার্যক্রম চলবে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত। পরবর্তীতে যাচাই-বাছাই শেষে নির্দিষ্ট বিশেষ সার্ভিসের কেবিন ও সোফার টিকিট যাত্রীদের মধ্যে বিতরণ করা হবে জানা গেছে।

সালমা শিপিং কর্পোরেশেনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস সময়ের আলোকে বলছেন- এবারের ঈদে যাত্রীদের ফিরতে যেন কোন দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সেই বিষয়টি খেয়াল রেখে আগেভাগেই টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। তাছাড়া বিশেষ সার্ভিসেও বিগত বছরগুলোর তুলনায় নৌযান বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে এবার বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে যাত্রী ভোগান্তি থাকবে না বলে মনে করেন তিনি।

সন্দুরবন নেভিগেশন কোম্পানির মালিক ও কেন্দ্রীয় লঞ্চ মলিক সমিতির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু জানিয়েছেন- ঈদ-উল ফিতরের বিশেষ সার্ভিসে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে যাত্রীদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে ২৩ টি প্রাথমিকভাবে নামানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি লঞ্চ দিনে দুটি করে ট্রিপ দেবে। এর পরে যাত্রী চাহিদা থাকলে লঞ্চের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।

তাছাড়া ১৮ মে রাজধানীতে মালিক সমিতির একটি বৈঠক রয়েছে। সেখানেও বিশেষ লঞ্চ সার্ভিস শুরু নিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।

এর আগে গত সপ্তাহে ঈদ সার্ভিস উপলক্ষে রাজধানীতে আন্ত: মন্ত্রণালয় একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে নিরবিচ্ছিন্ন যাত্রীসেবা দেওয়ার বিষয়েও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে মালিক পক্ষের আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

অপরদিকে বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে ঈদ-উল ফিতরের বিশেষ সার্ভিস দিতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশনের পক্ষ থেকেও প্রস্তুতির বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

এই প্রতিষ্ঠানটির বরিশাল অফিসের সহকারি মহা-ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন- তাদের প্রতিষ্ঠানের এমভি মধুমতি, এমভি বাঙালী, পিএস চান, পিএস মাসুদ ও পিএস লেপচা নামক ৫টি জাহাজ যাত্রীসেবায় নিয়োজিত থাকবে।’