মোঃ জিহাদ রানা, বরিশাল;
কোচিং সেন্টারে স্কুল ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে বরিশাল নগরীর হালিমা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। আজ সোমবার (১৩ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্কুলের শ্রেণি কক্ষে পাঠদান করা অবস্থায় তাকে আটক করা হয়।
পুলিশের দাবী আটক নয়, বরং জিজ্ঞাবাদের জন্য ওই শিক্ষককে থানায় নেয়া হয়েছে। আটককৃত শিক্ষকের নাম এনামুল হক নাসিম। তিনি হালিমা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গনিতের খন্ডকালীন শিক্ষক।
জানা গেছে, হালিমা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এনামুল হক নাসিম স্কুল সংলগ্ন গোরাচাদ দাশ রোডের একটি বাসার নীচতলা ভাড়া নিয়ে সেখানে কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে আসছিলেন। গত সপ্তাহে বিকেলে কোচিং শেষ হলে সকল শিক্ষার্থী চলে গেলেও হালিমা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে পড়ার অজুহাতে কোচিং সেন্টারে রেখে দেয়।
এর কিছুক্ষন পরে কথা বলার ছলে শিক্ষক এনামুল হক নাসিম শিক্ষার্থীর শরীরের স্পর্শকাতর অংশে হাত দেয়। তখন ওই শিক্ষার্থী ভয়ে কান্নাকাটি শুরু করলে শিক্ষক নাসিম তাকে ছেড়ে দেয়।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন, শিক্ষক নাসিম এর আগেও এ ধরনের একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছেন। প্রায়ই অশ্লীল ও কুপ্রস্তাব দেয়সহ শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক কোচিং করানোর অভিযোগ করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এদিকে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার (উপ-পরিদর্শক) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হালিমা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক এনামুল হক নাসিমের বিরুদ্ধে একই স্কুলের ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মৌখিক এই অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার (১৩ মে) তাকে স্কুল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অপরদিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসএম ফখরুজ্জামান বলেন, ইতিপূর্বে আমাদের কাছে এ ধরনের কোন অভিযোগ কেউ করেননি। তবে মৌখিক ভাবে ঘটনাটি শুনেছি। কিন্তু স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা সম্ভব হয়নি। আমরা ভেবেছিলাম স্কুল খোলার পরে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
কিন্তু তার আগেই যৌন হয়রানীর অভিযোগে শিক্ষক নাসিমকে স্কুলে অতিরিক্ত ক্লাস করানোর সময় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। যে কারনে আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষ জরুরী ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করে দিয়েছি। একই সাথে শিক্ষক নাসিমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।