ঢাকা ১১:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo নয়াদিল্লিতে আগামিকাল ভারতের নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদি Logo “দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হয়েও দীপ্তর স্বপ্ন শিল্পপতি হবে সে” Logo ‘সি’ ইউনিটের পরীক্ষায়ও জবি এলাকায় তীব্র যানজট: ভোগান্তিতে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা! Logo গুচ্ছ সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার Logo দ্রব্যমূল্যের অস্থিরতা, বিপাকে সাধারণ মানুষ Logo কেরানীগঞ্জে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ, নিপুন রায়সহ আহত ৫০ Logo দ্বিতীয় মেয়াদে ইউজিসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ায় প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহকে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক এর অভিনন্দন Logo কামারখালিতে কলেজ প্রভাষকের অশ্লীলতা ভাইরাল: নিরব কলেজ কর্তৃপক্ষ! Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির এক ব্যাচে জাতীয় দলের দুই ক্রিকেটারঃ জাকের হাসানের পর ভর্তি হলেন জাকের আলী অনিক Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার জাকির হাসান




৭ বছর ধরে শিকলবন্দি নান্দাইলের মিজানুর!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩৪:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০১৯ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি; 
মাদকের ছোবলে সাত বছর ধরে শিকলবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন মিজানুর রহমান (২২)। ঘরের বারান্দার একটি কক্ষে খুঁটির সঙ্গে দুই পায়ে শিকলে বেঁধে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন তার মা-বাবা।

শিকল থেকে মুক্তি পেতে ছটফট করেন মিজানুর। তার চিৎকারে কেউ এগিয়ে আসে না; খোলে না শিকলের তালা। এভাবেই কেটে যায় তার সাতটি বছর।

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় মুশলী ইউনিয়নের কাউয়ার গাতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, মিজানুর রহমান মো. নুরু মিয়া ও হেলেনা বেগমের একমাত্র ছেলে। সঙ্গদোষে হঠাৎ মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন মিজানুর।

মা হেলেনা বেগম জানান, ছেলে যখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে তখন হঠাৎ করে তার আচরণের পরিবর্তন দেখা গেলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম হয় তাদের। পরে বাধ্য হয়ে কোনো উপায় দেখতে না পেয়ে ১৫ বছর বয়সে ছেলেকে থানায় দেয়া হয়। ৬ মাস জেল খাটার পর জামিনে মিজানুর মুক্ত হয়। কিন্তু বাড়িতে এসে কিছুদিন ভালো থাকলেও সেই আগের মতোই হয়ে যায় ছেলে।

তিনি বলেন, ছেলে আমাদের মারধর করে। তাই নিরাপত্তহীনতার কারণেই তাকে শিকল দিয়ে বেঁধেছি। অর্থের অভাবে ছেলের চিকিৎসা করানো এখন দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় সমাজসেবক আতাউর রহমান বাচ্চু মাদকাসক্ত ছেলেটিকে উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য প্রশাসন ও বিত্তবানদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাদ্দেক মেহেদী ইমাম বলেন, ওই যুবককে শিকলে বাঁধা থেকে মুক্ত করে উপজেলা সমাজকল্যাণ কার্যালয়ের রোগী কল্যাণ তহবিল থেকে অর্থ সহযোগিতা নেয়া হবে। এর পর তাকে মাদকাসক্ত নিরাময়কেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




৭ বছর ধরে শিকলবন্দি নান্দাইলের মিজানুর!

আপডেট সময় : ০২:৩৪:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০১৯

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি; 
মাদকের ছোবলে সাত বছর ধরে শিকলবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন মিজানুর রহমান (২২)। ঘরের বারান্দার একটি কক্ষে খুঁটির সঙ্গে দুই পায়ে শিকলে বেঁধে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন তার মা-বাবা।

শিকল থেকে মুক্তি পেতে ছটফট করেন মিজানুর। তার চিৎকারে কেউ এগিয়ে আসে না; খোলে না শিকলের তালা। এভাবেই কেটে যায় তার সাতটি বছর।

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় মুশলী ইউনিয়নের কাউয়ার গাতি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, মিজানুর রহমান মো. নুরু মিয়া ও হেলেনা বেগমের একমাত্র ছেলে। সঙ্গদোষে হঠাৎ মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন মিজানুর।

মা হেলেনা বেগম জানান, ছেলে যখন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে তখন হঠাৎ করে তার আচরণের পরিবর্তন দেখা গেলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম হয় তাদের। পরে বাধ্য হয়ে কোনো উপায় দেখতে না পেয়ে ১৫ বছর বয়সে ছেলেকে থানায় দেয়া হয়। ৬ মাস জেল খাটার পর জামিনে মিজানুর মুক্ত হয়। কিন্তু বাড়িতে এসে কিছুদিন ভালো থাকলেও সেই আগের মতোই হয়ে যায় ছেলে।

তিনি বলেন, ছেলে আমাদের মারধর করে। তাই নিরাপত্তহীনতার কারণেই তাকে শিকল দিয়ে বেঁধেছি। অর্থের অভাবে ছেলের চিকিৎসা করানো এখন দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্থানীয় সমাজসেবক আতাউর রহমান বাচ্চু মাদকাসক্ত ছেলেটিকে উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য প্রশাসন ও বিত্তবানদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে নান্দাইল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাদ্দেক মেহেদী ইমাম বলেন, ওই যুবককে শিকলে বাঁধা থেকে মুক্ত করে উপজেলা সমাজকল্যাণ কার্যালয়ের রোগী কল্যাণ তহবিল থেকে অর্থ সহযোগিতা নেয়া হবে। এর পর তাকে মাদকাসক্ত নিরাময়কেন্দ্রে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।